SDG বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৪ নং লক্ষ্যমাত্রা ফোকাস কোনটি?
A
কর্মমূখী শিক্ষা
B
টেকসই উন্নয়নে শিক্ষা
C
সবার জন্য শিক্ষা
D
মানসম্মত শিক্ষা
উত্তরের বিবরণ
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) হলো একটি বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ, যার লক্ষ্য বিশ্বের সব দেশের মধ্যে সমতা, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের পথ সুগম করা। SDG-এ মোট ১৭টি লক্ষ্য এবং ১৬৯টি সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য রয়েছে, যার মাধ্যমে জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোর উদ্দেশ্য সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৪নং লক্ষ্যটি বিশেষভাবে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির উপর ফোকাস করেছে।
এই লক্ষ্যটির সঠিক লক্ষ্য হলো মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা, যা সবার জন্য সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা। SDG-এর ৪নং লক্ষ্যটি নিম্নলিখিত বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে:
-
শিক্ষায় সমতা: শিক্ষার সুযোগ সকলের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে, যাতে কোন শিশু বা ব্যক্তি জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ, বা আর্থ-সামাজিক অবস্থার কারণে পিছিয়ে না পড়ে।
-
শিক্ষার মান উন্নয়ন: মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করা, যা শুধু পড়াশোনার মাধ্যমে নয়, বরং সমাজের প্রতিটি স্তরের জন্য দক্ষতা ও প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জনকে উৎসাহিত করে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকে।
-
আজীবন শিক্ষা: আজীবন শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা, যা শুধুমাত্র স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং কর্মক্ষেত্রে বা জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার প্রসার ঘটানো। এর ফলে ব্যক্তি জীবনে উন্নয়ন ও সমাজে সুস্থ ও কার্যকর অংশগ্রহণ সম্ভব হয়।
-
শিক্ষার গুণগত মান: একটি উচ্চমানের শিক্ষাব্যবস্থা তৈরির জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রশিক্ষিত শিক্ষক, আধুনিক শিক্ষা উপকরণ এবং সমন্বিত পাঠ্যক্রম নিশ্চিত করা।
এই ৪নং লক্ষ্যটির উদ্দেশ্য এমন একটি পৃথিবী গড়তে সহায়তা করা, যেখানে প্রতিটি ব্যক্তি—বিশেষত নারী, শিশু এবং প্রান্তিক জনগণের জন্য শিক্ষা অধিকার নিশ্চিত হবে, এবং তারা একটি উন্নত ও প্রতিযোগিতামূলক সমাজের অংশ হতে পারবে।
অন্য বিকল্পগুলি:
-
কর্মমূখী শিক্ষা: এটি কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত করতে সহায়তা করে, তবে SDG 4 এর মূল ফোকাস নয়।
-
টেকসই উন্নয়নে শিক্ষা: যদিও এটি গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটি SDG 4-এর মূল উদ্দেশ্যকে পূর্ণ করে না।
-
সবার জন্য শিক্ষা: SDG 4-এর উদ্দেশ্যটি সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা, কিন্তু এটি মানসম্মত শিক্ষার গুরুত্বকে ব্যাখ্যা করে না।
SDG 4-এর লক্ষ্য হলো মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করে বিশ্বব্যাপী শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করা, যা সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবে এবং উন্নত সমাজ গড়ার পথ সুগম করবে।
0
Updated: 1 day ago
SIM-এর পূর্ণরূপ কী?
Created: 1 week ago
A
Subscriber International Module
B
Subscriber Identification Module
C
Subscriber Identification Module
D
Subscriber Information Memory
SIM বা Subscriber Identification Module হলো একটি ছোট চিপ, যা মোবাইল ফোনের অপরিহার্য অংশ। এটি মূলত ব্যবহারকারীর পরিচয় এবং নেটওয়ার্ক তথ্য নিরাপদে সংরক্ষণ করে। সহজভাবে বলা যায়, এই চিপ ছাড়া মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে পারে না। নিচে এর প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো।
-
অর্থ ও সংজ্ঞা: SIM হলো একটি Integrated Circuit (IC), যা মোবাইল ব্যবহারকারীর তথ্য সংরক্ষণ করে এবং নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ স্থাপন নিশ্চিত করে। এর পূর্ণরূপ Subscriber Identification Module।
-
মূল কাজ: এটি ব্যবহারকারীর IMSI (International Mobile Subscriber Identity) এবং Authentication Key ধারণ করে, যা নেটওয়ার্কের সাথে যোগাযোগের সময় পরিচয় যাচাই করতে সাহায্য করে।
-
গঠন ও উপাদান: SIM কার্ড সাধারণত একটি Microcontroller এবং Memory Chip নিয়ে তৈরি। এতে EEPROM মেমরি থাকে যেখানে ডেটা যেমন ফোন নম্বর, বার্তা ও কনট্যাক্ট সংরক্ষিত থাকে।
-
ব্যবহার ও কার্যপ্রণালী: ফোন চালু হলে SIM নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। নেটওয়ার্ক তখন IMSI যাচাই করে এবং গ্রাহকের বৈধতা নিশ্চিত করে। এভাবেই কল করা, বার্তা পাঠানো ও ডেটা ব্যবহার সম্ভব হয়।
-
ধরন: বর্তমানে বিভিন্ন আকারের SIM ব্যবহৃত হয় — Standard SIM, Micro SIM, Nano SIM এবং eSIM (Embedded SIM)। নতুন প্রজন্মে eSIM সবচেয়ে আধুনিক, যা আলাদা কার্ড ছাড়াই ফোনে যুক্ত থাকে।
-
প্রযুক্তিগত গুরুত্ব:
SIM কার্ড GSM, CDMA, LTE এবং 5G নেটওয়ার্কে যোগাযোগের জন্য অপরিহার্য। এটি ডেটা এনক্রিপশন করে ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষিত রাখে। -
সুবিধা:
এটি সহজে পরিবর্তনযোগ্য, ফলে ব্যবহারকারী অন্য ফোনে স্থানান্তর করতে পারেন। এছাড়াও বিদেশে ভ্রমণের সময় স্থানীয় নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে সাহায্য করে। -
উদাহরণ ও পরিসংখ্যান:
২০২5 সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ৬ বিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় SIM ব্যবহার হচ্ছে, যা মোবাইল যোগাযোগের বিস্তারকে প্রমাণ করে।
SIM হলো মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থার হৃদয়। এটি ব্যবহারকারীর পরিচয় সংরক্ষণ, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং নেটওয়ার্ক সংযোগের মূল মাধ্যম। সহজভাবে বলতে গেলে, SIM ছাড়া কোনো মোবাইল ফোন কার্যকর হয় না।
0
Updated: 1 week ago
নিচের কোনটি মনোপেশীজ ক্ষেত্রের শিখন উদ্দেশ্য ?
Created: 1 day ago
A
তথ্য উপাত্ত থেকে লেখচিত্র অঙ্কন
B
অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে অনুজীব শনাক্তকরন
C
কবিতার মর্মার্থ অনুধাবন
D
গাণিতিক সমস্যা সমাধান
মনোপেশীজ বা একক শিখন ক্ষেত্রের মূল উদ্দেশ্য হলো ছাত্রদের এমন দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা যা নির্দিষ্ট একটি বিষয় বা ক্ষেত্রে তাদের উন্নতি ঘটায়। এই ধরনের শিখনে ছাত্ররা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট ধরনের সমস্যা বা দক্ষতা সমাধানে ফোকাস করে। প্রশ্নে উল্লেখিত বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে, গাণিতিক সমস্যা সমাধান মনোপেশীজ শিখনের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে, কারণ এটি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য লক্ষ্যবদ্ধ।
তথ্য উপাত্ত থেকে লেখচিত্র অঙ্কন:
এটি একটি বহুমুখী দক্ষতা এবং সাধারণত গাণিতিক বা বৈজ্ঞানিক তথ্যের বিশ্লেষণ করা হয়। যদিও এটি গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটি মনোপেশীজ শিখনের অন্তর্গত নয়, কারণ এটি একাধিক ক্ষেত্র বা স্কিলের মধ্যে সংযোগ তৈরি করতে পারে, যেমন গণনা, বিশ্লেষণ, এবং উপস্থাপন।
অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে অনুজীব শনাক্তকরন:
এটি একটি বিশেষজ্ঞ দক্ষতা, যা জীববিজ্ঞান বা মাইক্রোবায়োলজি সম্পর্কিত একাডেমিক এলাকায় ব্যবহৃত হয়। তবে এটি মনোপেশীজ শিখন হিসেবে পরিগণিত নয়, কারণ এটি একটি নির্দিষ্ট কার্যক্রম এবং একাধিক ক্ষেত্রের মধ্যে মিশ্রণ সৃষ্টি হতে পারে। এটি আরও একটি গবেষণা বা পরীক্ষামূলক দক্ষতা, যেখানে ছাত্ররা কিছু নির্দিষ্ট যন্ত্র ব্যবহার করে কাজ করে।
কবিতার মর্মার্থ অনুধাবন:
এটি সাহিত্য শিখনে বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়, তবে এটি মনোপেশীজ শিখনের অন্তর্ভুক্ত নয়। কবিতার মর্মার্থ বোঝার মধ্যে একটি বহুস্তরীয় দক্ষতার চর্চা থাকে, যেখানে ভাষা, ভাবনা এবং সংস্কৃতি সম্পর্কিত জ্ঞান আবশ্যক। এটি একটি বিস্তৃত শিখন, যা অনেক ক্ষেত্রের মাঝে সংযোগ তৈরি করতে পারে।
গাণিতিক সমস্যা সমাধান:
এটি পুরোপুরি মনোপেশীজ শিখনের উদাহরণ। গাণিতিক সমস্যা সমাধান একটি নির্দিষ্ট দক্ষতা যা ছাত্রদের গাণিতিক চিন্তা, বিশ্লেষণ এবং সমাধানের জন্য প্রস্তুত করে। ছাত্ররা যখন গাণিতিক সমস্যা সমাধান শেখে, তখন তারা একটি নির্দিষ্ট শাখায় দক্ষতা অর্জন করছে। এটি মনোপেশীজ শিখনের মূল উদ্দেশ্য, যেখানে ছাত্রদের একটি বিশেষ শাখায় দক্ষতা বৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়।
এভাবে, গাণিতিক সমস্যা সমাধান মনোপেশীজ শিখনের সবচেয়ে উপযুক্ত উদাহরণ, কারণ এটি একটি নির্দিষ্ট দক্ষতার উন্নতি ঘটায় এবং ছাত্রদের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ করে তোলে।
0
Updated: 1 day ago
কোন টীকাটি ই পি আই প্রোগ্রামে দেয়া হয় না?
Created: 2 days ago
A
M M R
B
BCG
C
DPT
D
Polio
জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি বা EPI (Expanded Programme on Immunization) হচ্ছে এমন একটি স্বাস্থ্যসেবা উদ্যোগ যেখানে শিশুদের প্রাণঘাতী রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে বিভিন্ন টিকা প্রদান করা হয়। এই কর্মসূচিতে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিছু টিকা অন্তর্ভুক্ত করেছে। তবে MMR টিকা (Measles, Mumps, Rubella) বর্তমানে EPI-এর আওতায় প্রদান করা হয় না। নিচে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।
• EPI প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য হলো শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং সংক্রামক রোগ থেকে জনস্বাস্থ্যকে নিরাপদ রাখা। এই কর্মসূচি শুরু হয় ১৯৭৯ সালে এবং ১৯৮৫ সাল থেকে এটি সারাদেশে বিস্তৃত হয়।
• বর্তমানে বাংলাদেশের EPI প্রোগ্রামে নিম্নলিখিত টিকাগুলো প্রদান করা হয়—
BCG (যক্ষ্মা প্রতিরোধে), OPV বা Polio (পোলিও প্রতিরোধে), Pentavalent Vaccine বা DPT-HepB-Hib (ডিপথেরিয়া, পারটুসিস, টিটেনাস, হেপাটাইটিস বি ও হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধে), PCV (নিউমোকক্কাল সংক্রমণ প্রতিরোধে), Rota Vaccine (রোটা ভাইরাস ডায়রিয়া প্রতিরোধে) এবং MR Vaccine (হাম ও রুবেলা প্রতিরোধে)।
• MMR টিকা মূলত তিনটি রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়—Measles (হাম), Mumps (গাম্ভীর্য বা মাম্পস) এবং Rubella (জার্মান হাম)। তবে বাংলাদেশের EPI প্রোগ্রামে বর্তমানে MR (Measles-Rubella) টিকা দেওয়া হয়, Mumps বা মাম্পস-এর বিরুদ্ধে টিকা এখনও জাতীয় কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এ কারণেই MMR টিকা EPI প্রোগ্রামে প্রদান করা হয় না।
• MMR টিকা সাধারণত বেসরকারি বা বিশেষ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে পাওয়া যায়। এটি শিশুদের অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রদান করে, কিন্তু সরকারি EPI কেন্দ্রের নিয়মিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নয়।
• EPI প্রোগ্রামের সুবিধা হলো এটি বিনামূল্যে এবং জনসাধারণের কাছে সহজলভ্য। প্রতি ইউনিয়ন, পৌরসভা ও ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট তারিখে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়, যাতে শিশুরা জন্মের পর থেকেই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
• MMR টিকার অন্তর্ভুক্তি না থাকার কারণ মূলত দেশের টিকা সরবরাহব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যনীতি নির্ভর করে। অনেক দেশ ইতোমধ্যে MMR চালু করেছে, কিন্তু বাংলাদেশে MR টিকাই যথেষ্ট কার্যকর বিবেচিত হচ্ছে হাম ও রুবেলা প্রতিরোধে।
• বর্তমানে সরকার ধীরে ধীরে টিকাগুলোর আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে। ভবিষ্যতে প্রয়োজন ও গবেষণার ভিত্তিতে MMR টিকা EPI প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
অতএব, উপরোক্ত বিশ্লেষণ অনুযায়ী EPI প্রোগ্রামে MMR টিকা দেওয়া হয় না, কারণ এর একটি উপাদান অর্থাৎ Mumps টিকা জাতীয় টিকাদান সূচিতে অন্তর্ভুক্ত নয়, যদিও হাম ও রুবেলার টিকা (MR) বর্তমানে কার্যকরভাবে প্রদান করা হচ্ছে।
0
Updated: 2 days ago