মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ কোন জেলায় অবস্থিত?
A
যশোর
B
মেহেরপুর
C
কুষ্টিয়া
D
বাগেরহাট
উত্তরের বিবরণ
মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এটি মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর গ্রামে অবস্থিত এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য ভূমিকা পালন করেছে। এই স্মৃতিসৌধটি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্মারক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তকে চিরকাল স্মরণীয় করে রাখে।
-
মুজিবনগর স্মৃতিসৌধটি ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনী এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের সময় মুজিবনগর ছিল মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
-
এখানে ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ তারিখে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ সময় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদ শপথ নেন। এ সময় মুজিবনগর ছিল দেশের রাজনৈতিক দিক থেকে একটি শক্তিশালী কেন্দ্র।
-
স্মৃতিসৌধটি মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর গ্রামে অবস্থিত, যা বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে পরিগণিত হয়। এটি বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
-
মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৭৩ সালে, এবং এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় অংশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসকে তুলে ধরার পাশাপাশি, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একটি স্মৃতিসৌধ হিসেবে কাজ করছে।
-
মেহেরপুর জেলার এই স্মৃতিসৌধটি প্রতি বছর হাজার হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ মানুষদের আকর্ষণ করে। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস জানার জন্য একটি আদর্শ স্থান হিসেবে পরিচিত।
এভাবে, মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ মেহেরপুর জেলায় অবস্থিত এবং এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে রেখেছে।
0
Updated: 1 day ago
‘সাবাস বাংলাদেশ’ ভাস্কর্যটির স্থপতি কে?
Created: 1 month ago
A
হামিদুজ্জামান খান
B
রবিউল হুসাইন
C
আব্দুর রাজ্জাক
D
নিতুন কুণ্ডু
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্য হলো ‘সাবাস বাংলাদেশ’। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনা ও সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে নির্মিত হয়েছে।
-
ভাস্কর্যটির নির্মাতা ভাস্কর নিতুন কুন্ডু।
-
এটি উদ্বোধন করেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম, ১৯৯২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি।
-
ভাস্কর্যটির নামকরণ করা হয় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘সাবাশ বাংলাদেশ’ কবিতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে।
নিতুন কুন্ডু সম্পর্কিত তথ্য:
-
তিনি ছিলেন চিত্রশিল্পী, নকশাবিদ, ভাস্কর ও শিল্পপতি।
-
জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৫ সালের ৩ ডিসেম্বর দিনাজপুরে।
-
সিনেমার ব্যানার এঁকে অর্জিত আয়ে নিজের শিক্ষা চালিয়ে যান।
-
১৯৫৪ সালে ভর্তি হন ঢাকার চারুকলা ইনস্টিটিউটে এবং ১৯৫৯ সালে চিত্রশিল্পে স্নাতক সমমানের পাঁচ বছরের কোর্স সম্পন্ন করেন।
-
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের অধীনে তথ্য ও প্রচার বিভাগে ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন।
-
মুক্তিযুদ্ধকালে তাঁর নকশা করা একটি বিখ্যাত পোস্টারের স্লোগান ছিল “সদাজাগ্রত বাংলার মুক্তিবাহিনী”।
0
Updated: 1 month ago