একজন কাউন্সেলর একটি অপরাধপ্রবণ কিশোরের ধারাবাহিকভাবে তথ্য সংগ্রহ করলেন। তিনি কোন পদ্ধতি ব্যবহার করলেন?
A
পর্যবেক্ষণ
B
ক্রম বিকাশ
C
কেস স্টাডি
D
পরীক্ষণ
উত্তরের বিবরণ
এই প্রশ্নে, একজন কাউন্সেলর যদি একটি অপরাধপ্রবণ কিশোরের ধারাবাহিকভাবে তথ্য সংগ্রহ করেন, তবে তিনি কেস স্টাডি পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। কেস স্টাডি একটি গভীর ও বিস্তারিত বিশ্লেষণ পদ্ধতি, যা বিশেষ করে ব্যক্তি বা ঘটনার ব্যাপারে গভীরভাবে বোঝার জন্য ব্যবহৃত হয়। চলুন, আমরা এই পদ্ধতিটি এবং অন্যান্য বিকল্প পদ্ধতিগুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি।
-
কেস স্টাডি: কেস স্টাডি পদ্ধতিতে, কাউন্সেলর বা গবেষক কোনো বিশেষ ব্যক্তি, গোষ্ঠী, বা ঘটনাকে দীর্ঘ সময় ধরে পর্যবেক্ষণ করেন এবং এর সম্পর্কিত সব তথ্য সংগ্রহ করেন। এখানে অপরাধপ্রবণ কিশোরের মতো একজন ব্যক্তির আচরণ, মনস্তত্ত্ব, সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এটি বিশেষত সমাজবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, এবং অপরাধবিদ্যা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। কেস স্টাডির মাধ্যমে কাউন্সেলর বা গবেষক একজন ব্যক্তির জীবনযাত্রা, মানসিক অবস্থা এবং আচরণ পরিবর্তনের কারণগুলো খুঁজে বের করতে পারেন।
-
পর্যবেক্ষণ: পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে কাউন্সেলর সরাসরি একজন ব্যক্তির আচরণ বা পরিস্থিতি লক্ষ্য করেন, কিন্তু এটি সাধারণত খুবই সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হয় এবং এটি গহীন বিশ্লেষণ বা বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেয়ে কম গভীর হয়। তাই, এটি কেস স্টাডির তুলনায় ব্যাপক এবং দীর্ঘ সময়ের তথ্য সংগ্রহের জন্য উপযুক্ত নয়।
-
ক্রম বিকাশ: ক্রম বিকাশ পদ্ধতি সাধারণত একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা মানুষের সময়কালীন বিকাশের পরিবর্তন পর্যালোচনা করে। এটি কিশোরদের শারীরিক বা মানসিক বিকাশ পর্যবেক্ষণ করতে ব্যবহৃত হতে পারে, কিন্তু এটি কেস স্টাডির মতো বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য নয়।
-
পরীক্ষণ: পরীক্ষণ পদ্ধতিতে কোনও বিষয় বা পরিস্থিতি পরীক্ষা করা হয় সাধারণত সুনির্দিষ্ট অবস্থার অধীনে এবং তার ফলাফল বিশ্লেষণ করা হয়। এটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে করা হয় এবং এর মধ্যে একজন ব্যক্তির জীবনের বিস্তারিত বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত থাকে না, যা কেস স্টাডির বিশেষত্ব।
যেহেতু প্রশ্নে একটি অপরাধপ্রবণ কিশোরের ধারাবাহিকভাবে তথ্য সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে, এখানে কেস স্টাডি পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে কিশোরের জীবনের বিভিন্ন দিক যেমন তার সামাজিক পরিবেশ, পরিবার, মানসিক অবস্থা, এবং অপরাধ প্রবণতার সূচনা ও পরিবর্তন বিশ্লেষণ করা হয়, যা অপরাধমূলক আচরণ বোঝার জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
0
Updated: 1 day ago
কত ওজনের Newborn বাচ্চাকে Low Birth Weight বলে?
Created: 2 days ago
A
৩ কেজির নিচে
B
২(১/২) কেজির নিচে
C
২ কেজির নিচে
D
১(১/২) কেজির নিচে
নবজাতকের ওজন তার স্বাস্থ্য ও জীবনধারণের অন্যতম প্রধান সূচক। জন্মের সময় শিশুর ওজন যদি স্বাভাবিক মানের নিচে থাকে, তাকে Low Birth Weight (LBW) বলা হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে, ২.৫ কেজি বা ২(১/২) কেজির নিচে ওজনবিশিষ্ট নবজাতককে Low Birth Weight বলা হয়। এটি শিশু মৃত্যুহার বৃদ্ধির অন্যতম কারণ এবং মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের মান নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
• বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুযায়ী, ২.৫ কেজির নিচে জন্ম নেওয়া শিশুদের ‘Low Birth Weight’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। এটি শুধুমাত্র ওজনের মাপকাঠি নয়, বরং শিশুর গর্ভকালীন পুষ্টি, মাতৃস্বাস্থ্য, এবং গর্ভধারণকালীন যত্নের মানকেও প্রতিফলিত করে।
• Low Birth Weight শিশুর কারণ বিভিন্ন হতে পারে—যেমন গর্ভকাল ৩৭ সপ্তাহের কম হওয়া (Preterm birth), মায়ের অপুষ্টি, রক্তস্বল্পতা, ধূমপান বা মাদক গ্রহণ, উচ্চ রক্তচাপ, এবং সংক্রমণ। এ ছাড়াও গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুষ্টিকর খাবারের অভাবও এর অন্যতম কারণ।
• প্রভাব ও ঝুঁকি: ওজন কম থাকলে শিশুর দেহে শক্তি সঞ্চয়, শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ, তাপমাত্রা বজায় রাখা ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা কমে যায়। এসব কারণে Low Birth Weight শিশুদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, রক্তে শর্করার তারতম্য, এবং বিকাশজনিত সমস্যার ঝুঁকি বেশি দেখা যায়।
• বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, UNICEF-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতি দশজন শিশুর মধ্যে প্রায় তিনজন Low Birth Weight নিয়ে জন্মায়। দরিদ্রতা, অপুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবার সীমাবদ্ধতা এর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত।
• প্রতিরোধ ও যত্ন:
-
গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত ও সুষম খাবার গ্রহণ জরুরি।
-
মায়ের নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা, ভিটামিন ও আয়রন সাপ্লিমেন্ট নেওয়া উচিত।
-
ধূমপান, অ্যালকোহল বা মানসিক চাপ থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।
-
নবজাতক জন্মের পরপরই বুকের দুধ খাওয়ানো শিশুর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
• Low Birth Weight বনাম Very Low Birth Weight: ২.৫ কেজির নিচে শিশুকে Low Birth Weight বলা হলেও, ১.৫ কেজির নিচে জন্ম নেওয়া শিশুকে Very Low Birth Weight হিসেবে গণ্য করা হয়। এদের জন্য বিশেষ চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণ অপরিহার্য।
সব মিলিয়ে, ২.৫ কেজির নিচে ওজনবিশিষ্ট নবজাতকই Low Birth Weight হিসেবে বিবেচিত হয়। এদের জন্য জন্মের পর বিশেষ যত্ন, মায়ের বুকের দুধ, এবং উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এটি শুধু শিশুর বেঁচে থাকার সম্ভাবনাই বাড়ায় না, ভবিষ্যতে সুস্থভাবে বেড়ে ওঠারও ভিত্তি গড়ে দেয়।
0
Updated: 2 days ago
পৃথিবীতে সবচেয়ে মূল্যবান ধাতু কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
স্বর্ণ
B
হীরা
C
সিলভার
D
প্লাটিনাম
প্লাটিনাম স্বর্ণের তুলনায় কম উৎপাদিত হয় বার্ষিক মাত্র ~১৯০ টন), ফলে এর বাজারমূল্য বেশি। এটি রাসায়নিকভাবে স্থিতিশীল, ১৭৭০°C গলনাঙ্কবিশিষ্ট এবং প্রধানত গাড়ির ক্যাটালাইটিক কনভার্টার, চিকিৎসা যন্ত্র ও ইলেকট্রনিকস তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 3 weeks ago
কোন মশার কামড়ে চিকুনগুনিয়া জ্বর হয়?
Created: 4 days ago
A
কিউলেক্স
B
এনোফিলিস
C
এডিস
D
Sand fly
চিকুনগুনিয়া জ্বর একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে নির্দিষ্ট প্রজাতির মশার মাধ্যমে। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার মূল বাহক হলো এডিস মশা, বিশেষ করে Aedes aegypti এবং Aedes albopictus প্রজাতি। এ মশাগুলো সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায় এবং ঘরের ভেতর বা আশপাশের জমে থাকা পানিতে বংশবিস্তার করে।
• এডিস মশা-ই চিকুনগুনিয়া ভাইরাস বহন করে। এই ভাইরাসটি মূলত Togaviridae পরিবারের অন্তর্গত এবং Alphavirus শ্রেণির অন্তর্গত। সংক্রমিত ব্যক্তি যখন এডিস মশার কামড়ে আক্রান্ত হয়, তখন সেই মশাটি ভাইরাস গ্রহণ করে এবং পরবর্তীতে আরেকজন মানুষকে কামড়ালে তার দেহে ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়।
• এডিস মশা সাধারণত দিনের আলোতে, বিশেষত সকাল ও বিকেলের দিকে বেশি সক্রিয় থাকে। অন্য মশার মতো এটি রাতে ততটা সক্রিয় নয়। এদের বংশবিস্তার হয় ঘরের ভেতর বা বাইরে রাখা ফুলের টব, ফেলে রাখা টায়ার, ভাঙা বোতল, বা যেকোনো স্থির পানিতে।
• চিকুনগুনিয়া ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার ২ থেকে ৭ দিনের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পায়। প্রধান লক্ষণগুলো হলো উচ্চ জ্বর, জয়েন্টে প্রচণ্ড ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখে ব্যথা, চামড়ায় র্যাশ, এবং দুর্বলতা। বিশেষ করে জয়েন্টের ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
• এই রোগ সাধারণত মারাত্মক নয়, তবে বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য এটি জটিল হতে পারে। চিকুনগুনিয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ বা টিকা নেই, তবে বিশ্রাম, তরল খাবার এবং ব্যথানাশক ওষুধ দিয়ে উপসর্গ উপশম করা হয়।
• প্রতিরোধই হলো চিকুনগুনিয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রধান উপায়। এজন্য ঘরের আশপাশে কোথাও পানি জমে থাকতে দেওয়া যাবে না, টব ও ড্রাম পরিষ্কার রাখতে হবে, মশারি ব্যবহার করতে হবে, এবং শরীর ঢাকা পোশাক পরতে হবে।
• ভুল বিকল্পগুলোর মধ্যে—
-
কিউলেক্স মশা মূলত জাপানিজ এনসেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত রোগ ছড়ায়।
-
এনোফিলিস মশা হলো ম্যালেরিয়া রোগের বাহক।
-
Sand fly ছড়ায় কালা-আজার বা visceral leishmaniasis।
সব মিলিয়ে বলা যায়, চিকুনগুনিয়া জ্বরের জন্য দায়ী মশাটি হলো এডিস, যা একই সঙ্গে ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাসেরও বাহক হিসেবে পরিচিত। তাই এ মশার নিয়ন্ত্রণই জনস্বাস্থ্য রক্ষার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
0
Updated: 4 days ago