বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে গৃহীত প্রকল্প কোনটি?
A
HEQEP
B
SEQAEP
C
TQI -II
D
PEDP-3
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে গৃহীত প্রকল্প হলো HEQEP (Higher Education Quality Enhancement Project)। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়ন করা, যাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতামূলক ও মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান করা যায়। HEQEP প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে বাস্তবায়িত হয়ে থাকে এবং বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এর কার্যক্রম চলমান থাকে।
এখন HEQEP প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানি:
-
উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়ন: HEQEP প্রকল্পটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা এবং তাদের সৃজনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নানা সুযোগ তৈরি করা হয়।
-
উন্নত শিক্ষাক্রম: HEQEP প্রকল্পের আওতায় নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন, আধুনিক শিক্ষণ পদ্ধতি এবং গবেষণার মান উন্নয়ন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে তারা আধুনিক শিক্ষার ধারায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে পারেন।
-
বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি: এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো, পাঠদানের পদ্ধতি, গবেষণার পরিবেশসহ নানা ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার মান আন্তর্জাতিক মানের কাছে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে।
-
গবেষণায় উন্নতি: HEQEP প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা কার্যক্রমের উন্নতির জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষকরা গবেষণায় আরও বেশি মনোনিবেশ করতে পারছেন।
এখন প্রশ্নে উল্লেখিত অন্যান্য প্রকল্পগুলো নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা:
-
SEQAEP: এটি একটি উচ্চশিক্ষা প্রকল্প হলেও এর উদ্দেশ্য ছিল প্রধানত মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, যা HEQEP-এর থেকে আলাদা।
-
TQI-II: এটি একটি প্রকল্প যা শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য কাজ করছে, তবে এটি মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষার উন্নয়ন সংক্রান্ত নয়।
-
PEDP-3: এটি মূলত প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প এবং এর লক্ষ্য ছিল প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন।
এইভাবে, HEQEP প্রকল্প বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, যা শিক্ষা ব্যবস্থার আন্তর্জাতিক মানে উন্নতি সাধন করতে সহায়ক হয়ে উঠেছে।
0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশে শিক্ষার আইনগত ভিত্তির প্রধান উৎস কোনটি?
Created: 1 day ago
A
সরকারি আদেশ-নির্দেশ
B
জাতিসংঘের ঘোষণাবলী
C
সংবিধান
D
Acts and Ordinances
বাংলাদেশে শিক্ষার আইনগত ভিত্তির প্রধান উৎস হলো সংবিধান। এটি দেশের সর্বোচ্চ আইন এবং দেশের বিভিন্ন মৌলিক নীতি ও নির্দেশনার মূল উৎস হিসেবে কাজ করে। শিক্ষার ক্ষেত্রে, সংবিধানই একটি মৌলিক গাইডলাইন প্রদান করে, যা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার কাঠামো নির্ধারণে সহায়ক।
শিক্ষার অধিকার বাংলাদেশের সংবিধানে উল্লেখিত এক মৌলিক অধিকার, যা সকল নাগরিকের জন্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হওয়ার পর, এটি শিক্ষাকে একটি মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের জন্য একটি দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে, যা তা নিশ্চিত করে যে, প্রতিটি নাগরিকের জন্য শিক্ষা প্রাপ্তির সুযোগ থাকবে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৭ অনুযায়ী, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি এবং সর্বস্তরের মানুষের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রের কার্যক্রম নির্ধারিত হয়েছে।
ক) সরকারি আদেশ-নির্দেশ: সরকারি আদেশ বা নির্দেশগুলি প্রয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হলেও, এগুলি শিক্ষা ব্যবস্থার মৌলিক আইনগত ভিত্তি নয়। এগুলি কখনও কখনও শিক্ষার কিছু নির্দিষ্ট দিক যেমন পাঠ্যক্রম বা নীতি নির্ধারণে প্রভাবিত করতে পারে, তবে এগুলি সংবিধান থেকে নিম্নস্তরের আইন হিসেবে গণ্য হয়।
-
খ) জাতিসংঘের ঘোষণাবলী: জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (UNESCO) এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন ঘোষণাবলী শিক্ষার উন্নয়নের জন্য গাইডলাইন প্রদান করে, তবে এগুলি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃত এবং পরামর্শমূলক। এগুলি বাংলাদেশের আইনগত ভিত্তি হিসেবে গণ্য নয়।
-
ঘ) Acts and Ordinances: এটি দেশের আইন এবং বিধি-নিষেধ সম্পর্কিত একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, যা শিক্ষার কিছু নির্দিষ্ট দিক পরিচালনা করতে সাহায্য করতে পারে, কিন্তু দেশের সংবিধানই শিক্ষার মূল আইনগত ভিত্তি।
এছাড়াও, সংবিধান শিক্ষার অধিকার প্রদান এবং এর মাধ্যমে শিক্ষার সম্প্রসারণে রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিশ্চিত করে। এর মাধ্যমে দেশের মানুষের জন্য উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আইনগত একটি ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে।
0
Updated: 1 day ago