পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত?
A
৭.১৫ কি.মি.
B
৬.১৫ কি.মি.
C
৪.৫ কি.মি.
D
৫.১৫ কি.মি.
উত্তরের বিবরণ
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক, যা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে যুক্ত করেছে। এই সেতুটি বাংলাদেশের প্রকৌশল, অর্থনীতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। এটি পুরোপুরি দেশের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হওয়ায় জাতীয় গর্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
• পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার, যা বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু। এটি মুন্সিগঞ্জ জেলার মাওয়া এবং শরীয়তপুর জেলার জাজিরা প্রান্তকে সংযুক্ত করেছে।
• সেতুটি দুই তলাবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট কাঠামোতে নির্মিত, যেখানে উপরের তলায় চার লেনের মহাসড়ক এবং নিচের তলায় রেলপথ রয়েছে। এটি বাংলাদেশের প্রথম ডাবল-ডেকার সেতু, যা সড়ক ও রেল যোগাযোগকে একত্রিত করেছে।
• পদ্মা সেতুতে ৪১টি স্প্যান ব্যবহার করা হয়েছে, প্রতিটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫০ মিটার। এই স্প্যানগুলো চীনের শানডং প্রদেশে তৈরি করে বাংলাদেশে আনা হয় এবং বিশাল ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে নদীর পিলারের ওপর স্থাপন করা হয়েছে।
• সেতুর মোট প্রস্থ ১৮.১০ মিটার, যা একসঙ্গে বিপরীতমুখী যানবাহনের চলাচলকে সহজ করেছে। এর নকশা তৈরি করেছে আমেরিকান প্রতিষ্ঠান AECOM, আর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে চীনের চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (MBEC)।
• সেতুর নিচ দিয়ে পদ্মা নদীর গভীরতা ৬২ মিটার পর্যন্ত, যা বিশ্বের অন্যতম গভীর পাইল ফাউন্ডেশনের উদাহরণ। প্রতিটি পাইল স্টিলের তৈরি এবং নদীর প্রবল স্রোতের সঙ্গে লড়াই করার উপযোগীভাবে স্থাপন করা হয়েছে।
• পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে, আর যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ২৫ জুন ২০২২ সালে। উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি প্রকল্পটির সূচনা থেকে শেষ পর্যন্ত তত্ত্বাবধান করেছেন।
• এই সেতু নির্মাণের ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে বদলে গেছে। কৃষি, শিল্প, পর্যটন ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেতুটি দেশের জিডিপি প্রায় ১.২% পর্যন্ত বাড়াতে সক্ষম।
• পদ্মা সেতুর মোট ব্যয় প্রায় ৩০,১৯৩ কোটি টাকা, যা পুরোপুরি সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিল হওয়ার পর বাংলাদেশের সরকার নিজ দায়িত্বে কাজটি সম্পন্ন করে জাতীয় আত্মনির্ভরতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
• এই সেতু শুধু একটি অবকাঠামো নয়, বরং বাংলাদেশের জনগণের আত্মবিশ্বাস, ঐক্য ও সক্ষমতার প্রতীক। এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে দেশের উন্নয়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে।
0
Updated: 1 day ago
(তৎকালীন 'সাম্প্রতিক প্রশ্ন'। তখনকার সময়ের সঠিক উত্তর এখন আর গুরুত্বপূর্ণ নয়।অনুগ্রহ করে ব্যাখ্যা থেকে আপডেট তথ্য দেখে নিন।) প্রস্তাবিত পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত কিমি?
Created: 3 months ago
A
৫.০৩
B
৬.০৩
C
৪.৮
D
৬.৮ ( ব্যাখ্যা দেখুন)
• পদ্মা সেতু
- পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত পদ্মা সেতু একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু।
- এটি বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু।
- সেতুটি মুন্সিগঞ্জের মাওয়া, লৌহজংকে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।
- এর ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত উত্তর-পুর্বাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
- মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার।
- সেতুতে মোট পাইল রয়েছে ২৭২টি।
- পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় করে।
- পদ্মা সেতুর মোট স্প্যান ৪১টি, যার প্রতিটির দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার।
- পদ্মা সেতুর মোট পিলার রয়েছে ৪২টি।
- পদ্মা সেতুর নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স ১৮.৩০ মিটার।
- ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে প্রথম স্প্যান বসানো হয়।
- ১০ ডিসেম্বর ২০২০ সালে শেষ স্প্যান বসানো হয়।
- ২৫ জুন ২০২২ সালে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তথ্যসূত্র - ডেইলি স্টার বাংলা, জুন ২৫, ২০২২।
0
Updated: 3 months ago
নির্মানাধীন পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত হবে?
Created: 3 days ago
A
৫.৫ কিমি
B
৬.১৫ কিমি
C
৬.২ কিমি
D
৬.৫ কিমি
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের গর্বের প্রতীক এবং এটি দেশের অন্যতম বৃহত্তম অবকাঠামোগত প্রকল্প। এই সেতুটি পদ্মা নদীর উপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু, যা দেশের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করবে।
-
সেতুটি লৌহজং (মুন্সিগঞ্জ) এর সাথে শরিয়তপুর ও মাদারীপুর জেলার সংযোগ স্থাপন করবে।
-
এটি নির্মিত হচ্ছে দুই স্তরে, যেখানে ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়ক পথ, আর নিচের স্তরে থাকবে একক রেলপথ।
-
পুরো সেতুটি ষ্টিল ও কংক্রিটে নির্মিত ট্রাস ব্রিজ কাঠামোতে তৈরি হচ্ছে।
-
এতে থাকবে ৪১টি স্পান, প্রতিটির দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার।
-
সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।
-
এই সেতু সম্পূর্ণ হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পণ্য পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হবে।
-
পদ্মা সেতুর মাধ্যমে ঢাকা থেকে খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলীয় অঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন সম্ভব হবে।
-
এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেতু প্রকল্প, যা দেশের উন্নয়নের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
0
Updated: 3 days ago
প্রস্তাবিত পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য-
Created: 1 week ago
A
৫.৫ কিমি
B
৬.১৫ কিমি
C
৬.৭৫ কিমি
D
৭ কিমি
প্রস্তাবিত পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প, যা পদ্মা নদী পারাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
-
দৈর্ঘ্য: পদ্মা সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার, যা দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু হিসেবে পরিচিত হবে।
-
অবস্থান: এই সেতু শরীয়তপুর এবং মাদারীপুর জেলার সংযোগস্থলে তৈরি হচ্ছে, যা দক্ষিণাঞ্চলকে রাজধানী ঢাকা এবং দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে যুক্ত করবে।
-
গঠন: সেতুটি মহাসড়ক এবং রেলপথ উভয়ই সমন্বিত হবে, ফলে এটি পরিবহন ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে।
-
অর্থনৈতিক প্রভাব: পদ্মা সেতু বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় অঞ্চলের সাথে যোগাযোগের সুবিধা বৃদ্ধি করবে।
-
উন্নয়ন: এটি শুধু বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাবে না, বরং দেশীয় ব্যবসা ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
পদ্মা সেতুর এই প্রকল্প বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে।
0
Updated: 1 week ago