ব্যানবেইস কোন কাজ করে?
A
শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও প্রকাশ করে
B
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও পরিবীক্ষণ করে
C
মাধ্যমিক শিক্ষকদের নিবন্ধন দেয়
D
মাধ্যমিক শিক্ষকদের এমপিও ভুক্ত করে
উত্তরের বিবরণ
ব্যানবেইস বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে। এটি শিক্ষা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও প্রকাশের মাধ্যমে সরকারের নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিচে প্রতিষ্ঠানটির মূল কার্যক্রম ও ভূমিকা বিশদভাবে তুলে ধরা হলো।
• ব্যানবেইসের পূর্ণরূপ হলো Bangladesh Bureau of Educational Information and Statistics, যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি দপ্তর। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৭ সালে, মূলত শিক্ষা সম্পর্কিত পরিসংখ্যানগত তথ্য ব্যবস্থাপনা ও বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে।
• সংস্থাটির প্রধান কাজ হলো শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ ও প্রকাশ করা। এর মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে নীতি প্রণয়নে সহায়তা করা হয়।
• ব্যানবেইস দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অবকাঠামো ও শিক্ষার মান সম্পর্কিত তথ্যভাণ্ডার তৈরি করে থাকে। এই তথ্যগুলো শিক্ষার পরিকল্পনা ও উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যবহৃত হয়।
• প্রতিষ্ঠানটি ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরি করেছে, যেখানে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করা হয়। এটি সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
• ব্যানবেইসের আরেকটি উল্লেখযোগ্য কাজ হলো শিক্ষা সম্পর্কিত পরিসংখ্যান প্রতিবেদন (Education Statistics Report) প্রকাশ করা। এতে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে উপস্থাপন করা হয়।
• এই সংস্থা শিক্ষা পরিকল্পনা ও গবেষণায় সহায়ক তথ্য সরবরাহ করে, যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারণ, বাজেট প্রণয়ন ও প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হয়।
• ব্যানবেইস আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন UNESCO, UNICEF, World Bank-এর সাথেও তথ্য বিনিময় করে, যা বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে পর্যালোচনায় সহায়তা করে।
• এছাড়া ব্যানবেইসের একটি বিশেষ শাখা EMIS (Education Management Information System), যা শিক্ষা ব্যবস্থার তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণের জন্য কাজ করে।
• ভুল বিকল্পগুলোর বিশ্লেষণ:
– খ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও পরিবীক্ষণ করার কাজটি পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (Directorate of Inspection and Audit - DIA) করে।
– গ) মাধ্যমিক শিক্ষকদের নিবন্ধন দেয় NTRCA (Non-Government Teachers’ Registration and Certification Authority)।
– ঘ) মাধ্যমিক শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার দায়িত্ব মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (DSHE)-এর অধীনে।
সবশেষে বলা যায়, ব্যানবেইস শিক্ষা ব্যবস্থার তথ্যভিত্তিক উন্নয়নের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। এটি শিক্ষা খাতের প্রতিটি স্তরে তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও প্রকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষা পরিকল্পনা ও নীতি বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
0
Updated: 1 day ago
একীভূত শিক্ষার মূল লক্ষ্য কী?
Created: 18 hours ago
A
শিক্ষক একীভূত প্রশিক্ষণ নিশ্চিতকরণ
B
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ
C
সকল শিক্ষার্থীর স্বতন্ত্র শিখনচাহিদা পূরণ
D
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের কার্যকর শিখন
একীভূত শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিটি শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত চাহিদা, সামর্থ্য ও পার্থক্যকে সম্মান জানিয়ে সবার জন্য সমান শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা। এই শিক্ষাব্যবস্থায় কোনো শিক্ষার্থীকে পিছনে ফেলে রাখা হয় না; বরং সবাইকে একই শ্রেণিকক্ষে থেকে শেখার সুযোগ দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষা হয় বৈচিত্র্যময়, মানবিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক।
• একীভূত শিক্ষা এমন একটি পদ্ধতি যা সকল শিক্ষার্থীকে একই শিক্ষা ব্যবস্থায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়, তা তারা প্রতিবন্ধী, মেধাবী বা অন্য যে কোনো বিশেষ চাহিদাসম্পন্নই হোক না কেন।
• এর মূল লক্ষ্য সকল শিক্ষার্থীর স্বতন্ত্র শিখনচাহিদা পূরণ, অর্থাৎ প্রত্যেকের ভিন্ন দক্ষতা, শেখার গতি ও পদ্ধতিকে সম্মান জানিয়ে শিক্ষা প্রদান করা।
• এই ব্যবস্থায় পাঠ্যক্রম, মূল্যায়ন পদ্ধতি এবং শ্রেণিকক্ষের কার্যক্রম এমনভাবে সাজানো হয় যাতে কেউ বঞ্চিত না হয় এবং সবাই শেখার আনন্দ উপভোগ করতে পারে।
• শিক্ষকের ভূমিকা এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষককে প্রতিটি শিক্ষার্থীর শেখার ধরন বুঝে সেই অনুযায়ী শিক্ষা পদ্ধতি নির্ধারণ করতে হয়।
• একীভূত শিক্ষায় সহানুভূতি, সহযোগিতা ও পারস্পরিক সম্মান গড়ে ওঠে, যা সমাজে বৈষম্য কমিয়ে আনে।
• এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করে, ফলে তারা সমাজে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে।
• বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা করে নয়, বরং সকলের জন্য একসাথে শিখনের সুযোগ তৈরি করাই একীভূত শিক্ষার আসল দর্শন।
• এই ব্যবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, অভিভাবক ও সমাজের সম্মিলিত সহযোগিতা অপরিহার্য, যাতে প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা বিকাশ করতে পারে।
• একীভূত শিক্ষা জাতিসংঘ ঘোষিত সবার জন্য শিক্ষা (Education for All) ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG-4) বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, একীভূত শিক্ষার মূল লক্ষ্য কেবলমাত্র প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের অন্তর্ভুক্ত করা নয়, বরং প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বতন্ত্র শিখনচাহিদা পূরণের মাধ্যমে একটি ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা পরিবেশ তৈরি করা।
0
Updated: 18 hours ago
Drone কি?
Created: 5 days ago
A
যাত্রীবাহী দ্রুতগামী বিমান
B
যাত্রীবিহীন বিমান
C
চালকসহ বিমান
D
চালকবিহীন বিমান
ড্রোন হলো এক ধরনের চালকবিহীন উড়োজাহাজ, যা রিমোট কন্ট্রোল বা স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এটি মানুষবিহীন হওয়ায় সাধারণ বিমানের মতো চালকের প্রয়োজন হয় না। ড্রোন সামরিক, কৃষি, চলচ্চিত্র নির্মাণ, উদ্ধার অভিযান ও পণ্য পরিবহনে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলে ড্রোন পৃথিবীর প্রায় সব ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
0
Updated: 5 days ago
এশিয়ার নোবেলখ্যাত ম্যাগসাইএর ২০১২ সালে বাংলাদেশ থেকে পুরস্কৃত হয়েছেন–
Created: 1 week ago
A
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
B
অধ্যাপক কবির চৌধুরী
C
হুমায়ূন আহমেদ
D
অধ্যাপক মোজফফর আহমেদ
২০১২ সালে এশিয়ার “নোবেল” খ্যাত রামন ম্যাগসাই-অ্যাওয়ার্ড পান বাংলাদেশের পরিবেশবিদ ও আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি ‘জুডিশিয়াল অ্যাক্টিভিজমের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা’ শীর্ষক তার অবদানের জন্য এই সম্মান পেয়েছেন ।
0
Updated: 1 week ago