ভূ-প্রকৃতি অনুযায়ী বাংলাদেশকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে?
A
৩
B
৪
C
৫
D
৬
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতিকে সুস্পষ্ট তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়:
- 
প্লাবন সমভূমি: এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভূ-প্রকৃতি অঞ্চল, যা সমতল এবং নদী দ্বারা সেচিত। এখানে প্রধানত নদী, বিল এবং জলাভূমি রয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় ৭০% অংশ এই প্লাবন সমভূমি অঞ্চলে অবস্থিত।
 - 
সোপান অঞ্চল: এই অঞ্চলে ভূমির উচ্চতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং এটি দেশের মধ্যাঞ্চলের কিছু অংশকে অন্তর্ভুক্ত করে। এটি পাহাড়ি অঞ্চল ও সমভূমির মধ্যে একটি সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করে এবং এখানে ছোট পাহাড় ও টিলা রয়েছে।
 - 
পার্বত্য অঞ্চল: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত, যেখানে পাহাড় ও বনজঙ্গল রয়েছে। এই অঞ্চলের প্রধান ভূমিরূপ হলো পাহাড় ও পর্বতমালা, যেমন চট্টগ্রাম এবং সিলেটের পার্বত্য অঞ্চল।
 
এই তিনটি ভূ-প্রকৃতি অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের বৈচিত্র্যকে প্রকাশ করে।
0
Updated: 22 hours ago
ভূ-প্রকৃতির ভিত্তিতে প্রধানত বাংলাদেশকে কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
৩টি
B
৫টি
C
৭টি
D
২টি
ভূ-প্রকৃতি:
- 
ভূ-প্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে প্রধানত তিন ভাগে বিভক্ত করা যায়:
১) টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ
২) প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ
৩) সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি 
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ:
- 
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব, উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ এ অঞ্চলের অন্তর্গত।
 - 
হিমালয় পর্বত উত্থিত হওয়ার সময়, টারশিয়ারি যুগে এসব পাহাড় সৃষ্টি হয়।
 - 
এগুলো বেলেপাথর, শেল ও কর্দম দ্বারা গঠিত।
 - 
এ পাহাড়গুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে:
- 
(ক) দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ
 - 
(খ) উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ
 
 - 
 
প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ:
- 
প্রায় ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলা হয়।
 - 
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বরেন্দ্রভূমি, মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় বা উচ্চভূমি এ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।
 - 
এসব সোপান প্লাইস্টোসিনকালে গঠিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
 
সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি:
- 
টারশিয়ারি যুগের পাহাড় ও প্লাইস্টোসিনকালের সোপান ব্যতীত সমগ্র বাংলাদেশই নদীবিধৌত এক বিস্তীর্ণ প্লাবন সমভূমি।
 - 
এখানে কিছু সংখ্যক পরিত্যক্ত অশ্বখুরাকৃতি নদীখাত রয়েছে।
 - 
স্থানীয়ভাবে এগুলোকে বিল, ঝিল ও হাওড় বলা হয়।
 - 
এর মধ্যে চলনবিল, মাদারিপুর বিল ও সিলেট অঞ্চলের হাওড়সমূহ উল্লেখযোগ্য।
 
0
Updated: 1 month ago