'সবার জন্য শিক্ষা' বলতে প্রকৃতপক্ষে কী বোঝায়?
A
সমাজের সর্বস্তরের জনগণের জীবন দক্ষতা অর্জন
B
জ্ঞান অন্বেষী গড়ে তোলা
C
একটি দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীর মৌলিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণ
D
৬-১০ বছরের সকল শিশুর জন্য প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণ
উত্তরের বিবরণ
"সবার জন্য শিক্ষা" বলতে মূলত একটি দেশের সকল নাগরিকের মৌলিক শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার কথা বোঝানো হয়। এটি একটি সমাজের সমগ্র জনগণের জন্য শিক্ষার সুযোগ এবং সুবিধা প্রদান করতে লক্ষ্য করে। বিশেষভাবে, এটি একটি দেশের উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। "সবার জন্য শিক্ষা" প্রতিষ্ঠা করার মানে হচ্ছে, সমাজের প্রতিটি সদস্যের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা, যাতে কেউ পিছিয়ে না পড়ে এবং দেশের সবার মাঝে সমান শিক্ষা প্রদান করা হয়।
এই বিষয়টির মূল উদ্দেশ্য হলো একটি দেশের জনসংখ্যার সব স্তরের মানুষ যেন তাদের মৌলিক শিক্ষা পেতে পারে, যাতে তারা জীবনে উন্নতি করতে পারে এবং একটি সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। এর মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং ভবিষ্যতে সমৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হয়।
- 
সমাজের সকল স্তরের জনগণের শিক্ষা: "সবার জন্য শিক্ষা" উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা সমাজের সব স্তরের, বিশেষ করে দরিদ্র ও অবহেলিত জনগণের জন্য শিক্ষার সুযোগ তৈরি করতে পারি। এর ফলে সমাজের প্রতিটি সদস্যের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়।
 - 
মৌলিক শিক্ষার গুরুত্ব: "মৌলিক শিক্ষা" বলতে সাধারণত প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাকে বোঝানো হয়, যা প্রতিটি নাগরিকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু পড়াশোনা নয়, বরং সামাজিক জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
 - 
এটি জাতির উন্নতির জন্য অপরিহার্য: শিক্ষা একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যখন সবাই শিক্ষা পাবে, তখন দেশের উন্নয়ন হতে বাধ্য। উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত জনগণ দেশটিকে বিশ্ব মঞ্চে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
 - 
এটি সকলের মৌলিক অধিকার: সবার জন্য শিক্ষা মানে শুধু প্রাথমিক শিক্ষার অধিকার দেওয়া নয়, বরং এটি একটি মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। মানুষের অধিকার নিশ্চিতকরণ দেশের সামাজিক ন্যায়বিচারেরও অংশ।
 
"সবার জন্য শিক্ষা" বলতে এই সমস্ত উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যগুলোই বোঝানো হয়। এটি একটি নীতিগত এবং সামাজিক উদ্যোগ, যার মাধ্যমে একটি দেশের প্রত্যেকটি নাগরিককে উন্নত ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করা হয়।
0
Updated: 23 hours ago
বাংলাদেশে মণিপুরী নাচ কোন অঞ্চলের ঐতিহ্য?
Created: 2 weeks ago
A
সিলেট
B
ময়মনসিংহ
C
রাজশাহী
D
কুষ্টিয়া
বাংলাদেশে মণিপুরী নাচ মূলত সিলেট অঞ্চলের ঐতিহ্য। এই নৃত্যশৈলী মণিপুরের প্রভাব থেকে উদ্ভূত হলেও সিলেটের সংস্কৃতিতে গভীরভাবে মিশে আছে। মণিপুরী নাচ সাধারণত ধর্মীয় এবং ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয়, যেখানে সূক্ষ্ম আন্দোলন ও সূক্ষ্ম কোরিওগ্রাফি বিশেষভাবে লক্ষণীয়। সিলেট অঞ্চলের সাংস্কৃতিক পরিচিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটি।
0
Updated: 2 weeks ago
রেড ইন্ডিয়ান কাদের বলা হয়?
Created: 4 days ago
A
ইন্ডিয়ান আদি অধিবাসীগণ
B
ইন্দোনেশিয়ার আদি অধিবাসীগণ
C
আমেরিকায় আগত ভারতবাসীগণ
D
আমেরিকার আদি অধিবাসীগণ
রেড ইন্ডিয়ান বলতে মূলত আমেরিকার আদি অধিবাসীদের বোঝানো হয়, যারা ইউরোপীয়দের আগমনের বহু আগে থেকেই এই মহাদেশে বসবাস করতেন। তারা নিজেদের সংস্কৃতি, ভাষা, ধর্ম ও জীবনধারায় ছিল স্বতন্ত্র। ইউরোপীয় উপনিবেশবাদীরা প্রথম যখন আমেরিকায় আসে, তখন ভুলবশত তাদের ‘ইন্ডিয়ান’ বলে ডাকতে শুরু করে, কারণ তারা ভেবেছিল এশিয়ার ভারতবর্ষে এসে পৌঁছেছে। পরে এই জনগোষ্ঠীকে “রেড ইন্ডিয়ান” নামেই পরিচিত করা হয়।
তাদের সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে দেওয়া হলো
• উৎপত্তি ও পরিচয়: রেড ইন্ডিয়ানরা মূলত উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার আদিবাসী গোষ্ঠী। তাদের মধ্যে নাভাহো, অ্যাপাচি, চেরোকি, সিউ, ও ইনকা জাতিগোষ্ঠী উল্লেখযোগ্য। এই জনগোষ্ঠী হাজার হাজার বছর আগে এশিয়া থেকে আলাস্কার মাধ্যমে আমেরিকায় প্রবেশ করেছিল বলে ইতিহাসবিদরা ধারণা করেন।
• ‘রেড ইন্ডিয়ান’ নামের উৎপত্তি: ইউরোপীয় অভিযাত্রীরা (বিশেষ করে ক্রিস্টোফার কলম্বাস) যখন ১৫ শতকে আমেরিকায় আসে, তখন ভুলবশত মনে করেছিল তারা ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পৌঁছেছে। তাই স্থানীয় অধিবাসীদের “ইন্ডিয়ান” বলা হয়। পরবর্তীতে তাদের ত্বকের তামাটে বা লালচে আভা থেকে “রেড ইন্ডিয়ান” নামটি প্রচলিত হয়।
• সংস্কৃতি ও জীবনধারা: রেড ইন্ডিয়ানদের নিজস্ব সামাজিক সংগঠন, উপজাতীয় সরকারব্যবস্থা, ও প্রকৃতি-নির্ভর ধর্মীয় বিশ্বাস ছিল। তারা সূর্য, চাঁদ, বৃষ্টি ও পশুপাখিকে দেবতার রূপে পূজা করত। তাদের জীবন ছিল কৃষি, শিকার ও মৎস্য আহরণকেন্দ্রিক। তাঁবুতে বা কাঠের কুটিরে তারা পরিবারসহ বসবাস করত।
• ইউরোপীয় উপনিবেশের প্রভাব: ১৬ শতকের পর ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপনের ফলে রেড ইন্ডিয়ানদের জমি, সংস্কৃতি ও জনসংখ্যা ধ্বংস হতে শুরু করে। যুদ্ধ, রোগ ও দাসপ্রথার কারণে তাদের সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পায়। অনেককে জোরপূর্বক ইউরোপীয়দের সংস্কৃতি ও ভাষা গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়।
• বর্তমান অবস্থা: বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে এই জনগোষ্ঠীর বংশধররা বাস করেন। যুক্তরাষ্ট্রে তাদের “Native Americans” এবং কানাডায় “First Nations” নামে পরিচিত। তারা এখনো তাদের ঐতিহ্য, উৎসব ও ভাষা সংরক্ষণে সচেষ্ট।
• ঐতিহাসিক গুরুত্ব: রেড ইন্ডিয়ানরা আমেরিকার প্রকৃত অধিকারী হিসেবে বিবেচিত। তাদের সংস্কৃতি, শিল্পকলা, ও প্রাকৃতিক ভারসাম্যের ধারণা আজও পরিবেশ সংরক্ষণে অনুপ্রেরণা জোগায়।
সবশেষে বলা যায়, রেড ইন্ডিয়ানরা হলো আমেরিকার মূল বা আদি অধিবাসী, যারা ইউরোপীয় আগ্রাসনের বহু আগে থেকেই সেখানে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করত। তাদের ইতিহাস মানবসভ্যতার এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা আজও জাতিগত বৈচিত্র্য ও সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে মূল্যায়িত হয়।
0
Updated: 4 days ago
এশিয়ার নোবেলখ্যাত ম্যাগসাইএর ২০১২ সালে বাংলাদেশ থেকে পুরস্কৃত হয়েছেন–
Created: 1 week ago
A
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
B
অধ্যাপক কবির চৌধুরী
C
হুমায়ূন আহমেদ
D
অধ্যাপক মোজফফর আহমেদ
২০১২ সালে এশিয়ার “নোবেল” খ্যাত রামন ম্যাগসাই-অ্যাওয়ার্ড পান বাংলাদেশের পরিবেশবিদ ও আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি ‘জুডিশিয়াল অ্যাক্টিভিজমের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা’ শীর্ষক তার অবদানের জন্য এই সম্মান পেয়েছেন ।
0
Updated: 1 week ago