রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন রচিত গ্রন্থ কোনটি?
A
অবরোধবাসিনী
B
মাধবী কঙ্কন
C
পদ্মগোখরা
D
অচলায়তন
উত্তরের বিবরণ
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, বাংলা সাহিত্য ও নারীর মুক্তির আন্দোলনের একজন অগ্রণী নেত্রী, যিনি তাঁর রচনাগুলির মাধ্যমে সমাজের অন্ধকারাচ্ছন্ন দিকগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। তাঁর রচনা শুধু সাহিত্যিক অবদানই নয়, সমাজ সংস্কারক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ছিল। তিনি নারীর অধিকার, শিক্ষা, এবং স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন। তাঁর সেরা সাহিত্যিক কাজের মধ্যে "অবরোধবাসিনী" একটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ, যা নারীর উপর সমাজের নির্যাতন এবং অবরোধের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা প্রদান করে।
অবরোধবাসিনী গ্রন্থের ব্যাখ্যা:
- 
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের "অবরোধবাসিনী" ১৯১৮ সালে প্রকাশিত হয়। এটি একটি নাটক, যা প্রধানত নারীর শোষণ ও অবরোধের বিরুদ্ধে আলোচনা করে।
 - 
গ্রন্থটি একটি সামাজিক কাহিনী তুলে ধরে যেখানে নারীদের অবরোধে থাকার কষ্ট এবং তাদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ করা হয়।
 - 
"অবরোধবাসিনী" গ্রন্থে নারীদের সমাজে তুচ্ছ, অশিক্ষিত, এবং অধিকারহীন হিসেবে দেখা হয়, তবে এই নাটকের মাধ্যমে রোকেয়া নারীদের স্বাধীনতা এবং শিক্ষা লাভের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
 - 
গ্রন্থটির মূল প্রতিপাদ্য ছিল নারীদের অবরোধ মুক্ত করার আহ্বান, যাতে তারা সমাজের মূলধারায় স্থান পেতে পারে।
 - 
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নিজে এই নাটকে নারীর শক্তির উত্থান এবং সামাজিক পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন।
 - 
এটি শুধু সাহিত্যের ক্ষেত্রে নয়, সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রেও একটি যুগান্তকারী কাজ হিসেবে বিবেচিত।
 
অন্যান্য গ্রন্থসমূহ:
- 
মাধবী কঙ্কন: এটি ছিল একটি ছোট গল্প যা রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের সাহিত্যিক কীর্তির একটি অংশ, কিন্তু "অবরোধবাসিনী"-এর তুলনায় এটি তেমন প্রভাব ফেলেনি।
 - 
পদ্মগোখরা: এই গ্রন্থটি হোসেনের অন্যতম রচনার মধ্যে পড়ে, কিন্তু এই গ্রন্থে তিনি নারীদের মুক্তির কথা বিশেষভাবে তুলে ধরেননি।
 - 
অচলায়তন: এটি একটি সামাজিক কাহিনী হলেও রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের প্রকৃত গ্রন্থ নয়।
 
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের "অবরোধবাসিনী" তার সাহিত্যিক এবং সামাজিক দর্শনের গুরুত্বপূর্ণ উপস্থাপনা, যা আজও নারীদের অধিকার, স্বাধীনতা এবং শিক্ষা নিয়ে আলোচনায় প্রাসঙ্গিক।
0
Updated: 23 hours ago
নওয়াব ফয়জুন্নেসার রচিত ‘রূপজালাল’ গ্রন্থটি কী ধরনের রচনা?
Created: 3 weeks ago
A
নাটক
B
ঐতিহাসিক উপন্যাস
C
আত্মজীবনীমূলক রচনা
D
কাব্যগ্রন্থ
বাংলা সমাজে নারীশিক্ষা ও সমাজকল্যাণে অসাধারণ ভূমিকা রেখে গেছেন নওয়াব ফয়জুন্নেসা। তিনি ছিলেন বাংলার প্রথম নারী যিনি ‘নওয়াব’ উপাধিতে ভূষিত হন। সাহিত্য, সমাজসেবা ও নারীজাগরণে তাঁর অবদান উনবিংশ শতাব্দীর বাংলা সমাজে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
মূল তথ্যসমূহ:
- 
নওয়াব ফয়জুন্নেসা ছিলেন একজন জমিদার, নারীশিক্ষার প্রবর্তক, সমাজসেবক ও কবি।
 - 
তিনি ১৮৩৪ সালে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার পশ্চিমগাঁও গ্রামে এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
 - 
জমিদারি লাভের আগেই তিনি সমাজকল্যাণ ও দরিদ্রজনের সহায়তামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।
 - 
তাঁর জনহিতৈষণার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৮৯ সালে মহারানী ভিক্টোরিয়া তাঁকে ‘নওয়াব’ উপাধিতে ভূষিত করেন, যা কোনো বাংলা নারীর জন্য প্রথম ঘটনা।
 - 
‘বান্ধব’, ‘ঢাকা প্রকাশ’, ‘মুসলমান বন্ধু’, ‘সুধাকর’ ও ‘ইসলাম প্রচারক’ প্রভৃতি বাংলা পত্রিকা তাঁর আর্থিক সহায়তা পেত।
 - 
তিনি ছিলেন একজন সাহিত্যিক নারী, যার রচনা সমাজবাস্তবতা ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ।
 - 
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ‘রূপজালাল’ (১৮৭৬) — গদ্য ও পদ্য মিলিত একটি রূপকধর্মী আত্মজীবনীমূলক কাব্য, যেখানে তিনি তাঁর বিড়ম্বিত দাম্পত্য জীবনের করুণ কাহিনি তুলে ধরেছেন।
 - 
এছাড়া তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থ হলো ‘সঙ্গীতসার’ ও ‘সঙ্গীতলহরী’।
 - 
তিনি ১৯০৩ সালে স্বগ্রামে মৃত্যুবরণ করেন এবং পারিবারিক গোরস্থানে সমাহিত হন।
 - 
তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৪ সালে তাঁকে (মরণোত্তর) একুশে পদক প্রদান করা হয়।
 
0
Updated: 3 weeks ago
'আনোয়ারা' গ্রন্থটি কার রচনা?
Created: 2 months ago
A
কাজী এমদাদুল হক
B
মীর মশাররফ হোসেন
C
মোহাম্মদ নজিবর রহমান
D
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
‘আনোয়ারা’ উপন্যাস
- 
লেখক: মোহাম্মদ নজিবর রহমান
 - 
প্রকাশ: প্রথম প্রকাশ ১৯১৪ সালের ১৫ জুলাই, কলকাতা (১৩২১ বঙ্গাব্দে)
 - 
ধরন: সামাজিক উপন্যাস
 - 
প্রধান থিম: ধর্ম ও সত্যের জয়, অধর্মের পরাজয়, আনোয়ারার স্বামীনিষ্ঠা।
 - 
মূল বক্তব্য: “সতীর সর্বস্ব পতি, সতী শুধু পতিময়, বিধাতার প্রেমরাজ্যে সতত সতীর জয়।” উপন্যাসে নারীর ইচ্ছার পৃথক কোনো মূল্য নেই।
 
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
- 
আনোয়ারা
 - 
নুরুল এসলাম
 - 
খাদেম
 - 
আজিমুল্লাহ
 - 
গোলাপজান
 
মোহাম্মদ নজিবর রহমান
- 
পেশা: মূলত ঔপন্যাসিক
 - 
জন্ম ও মৃত্যু: ১৮ অক্টোবর ১৯২৩ সালে রায়গঞ্জের হাটি কুমরুল গ্রামে মৃত্যু।
 - 
সাহিত্য জীবন: ইসমাইল হোসেন সিরাজীর অনুপ্রেরণায় সাহিত্যকর্মে ব্রত।
 - 
সাফল্য: প্রথম সামাজিক উপন্যাস আনোয়ারা লিখে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
 - 
বিশেষতা: গ্রামীণ মুসলিম পরিবারের জীবনচিত্র উপন্যাসে বাস্তবভাবে উপস্থাপন।
 - 
উপাধি: সাহিত্যে অবদানের জন্য ‘সাহিত্যরত্ন’।
 
অন্যান্য উপন্যাস:
- 
চাঁদতারা বা হাসান গঙ্গা বাহমনি
 - 
পরিণাম
 - 
গরীবের মেয়ে
 - 
দুনিয়া আর চাই না
 
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
প্রবোধচন্দ্রিকা” গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
Created: 2 months ago
A
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
B
মনোএল দা আস্সুম্পসাঁউ
C
ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড
D
উইলিয়াম কেরী
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
- 
তিনি উনিশ শতকের একজন বিশিষ্ট সংস্কৃত পণ্ডিত, ভাষাবিদ ও লেখক ছিলেন।
 - 
জন্ম: তৎকালীন ওড়িষা প্রদেশের মেদিনীপুর জেলা।
 - 
নাটোর রাজবাড়ির দরবারে লেখাপড়া করে তিনি একজন উচ্চমানের সংস্কৃত পণ্ডিতে পরিণত হন।
 - 
বাংলা গদ্যের প্রাথমিক যুগে তিনি প্রধান লেখক এবং উনিশ শতকের প্রথম শ্রেষ্ঠ বাংলা গদ্যকার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
 - 
উইলিয়াম কেরীর সুপারিশে ১৮০১ সালের ৪ মে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের হেড-পণ্ডিত নিযুক্ত হন।
 - 
এছাড়াও তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ‘জজ-পণ্ডিত’ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
 - 
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের লেখকদের মধ্যে সর্বাধিক গ্রন্থের রচয়িতাহিসেবে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
 
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ
- 
বত্রিশ সিংহাসন
 - 
রাজাবলী
 - 
হিতোপদেশ
 - 
বেদান্তচন্দ্রিকা
 - 
প্রবোধচন্দ্রিকা
 
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago