দক্ষিণ এশীয়ার কোন দেশটির সাক্ষরতার হার বেশি?
A
পাকিস্তান
B
শ্রীলংকা
C
বাংলাদেশ
D
ভারত
উত্তরের বিবরণ
দক্ষিণ এশিয়ায় শিক্ষা এবং সাক্ষরতার হার অনেকটাই ভিন্ন। শ্রীলংকা একটি দেশ যা শিক্ষার প্রতি তার গুরুত্ব এবং উন্নতির জন্য পরিচিত। এই দেশটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাক্ষরতার হার অর্জন করেছে। শ্রীলংকা, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে একটি শক্তিশালী শিক্ষা ব্যবস্থা এবং সরকারের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে শ্রীলংকার সাক্ষরতার হার বেশ উন্নত। শ্রীলংকার শিক্ষা ব্যবস্থার কিছু মূল কারণ:
-
শিক্ষার প্রতি সরকারের অঙ্গীকার: শ্রীলংকার সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। দেশটি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় বিনিয়োগ করেছে। এতে করে জনগণের মধ্যে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
-
মুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা: শ্রীলংকায় সরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষার সুযোগ থাকে অনেক বেশি, এবং সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করা হয়। ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ শিক্ষার আওতায় আসে, বিশেষ করে গ্রামের মানুষ।
-
শিক্ষার মান বৃদ্ধি: শ্রীলংকার শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক উন্নত এবং আন্তর্জাতিক মানের। এতে করে শিক্ষার্থীরা শুধু তাদের দেশের মধ্যে নয়, বিদেশে যাওয়ার জন্যও ভালো প্রস্তুতি পায়।
-
নারীদের শিক্ষা: শ্রীলংকায় নারীদের শিক্ষার হার অন্যান্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির তুলনায় অনেক বেশি। দেশের নারীরা বিভিন্ন শিক্ষার প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এবং তাদের শিক্ষা জীবনে ভালো সাফল্য অর্জন করে।
অন্য দেশগুলির তুলনায় শ্রীলংকার অগ্রগতি:
-
পাকিস্তান: পাকিস্তানে শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা তুলনামূলকভাবে শ্রীলংকার চেয়ে দুর্বল। এখানকার বেশিরভাগ অঞ্চলেই শিক্ষা সুবিধার অভাব এবং আর্থিক সংকটের কারণে জনগণের শিক্ষার হার কম।
-
বাংলাদেশ: বাংলাদেশের শিক্ষার হার ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে এখনও কিছু অঞ্চলে শিক্ষা সেবা পৌঁছানো কঠিন। দেশটির শহরাঞ্চলে শিক্ষা পরিস্থিতি উন্নত হলেও গ্রামাঞ্চলে এদিক থেকে আরো উন্নতি প্রয়োজন।
-
ভারত: ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী পরিচিত হলেও এখানে কিছু অঞ্চলে শিক্ষা সংকট বিদ্যমান। তবে দেশের বৃহত্তম অংশে শ্রীলংকার তুলনায় সাক্ষরতার হার কিছুটা কম।
অর্থাৎ, শ্রীলংকা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাক্ষরতার হার অর্জন করেছে, যা তার শক্তিশালী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতিফলন।
0
Updated: 23 hours ago
শ্রীলংকার কোন সমুদ্রবন্দর চীনের নিকট ৯৯ বছরের জন্য লীজ দেয়া হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
ত্রিঙ্কোমালী
B
হাম্বানটোটা
C
গল বন্দর
D
পোর্ট অব কলম্বো
শ্রীলংকা
-
শ্রীলংকা দক্ষিণ এশিয়ার একটি দ্বীপরাষ্ট্র।
-
এটি ভারত মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত, বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিম এবং আরব সাগরের দক্ষিণ-পূর্বে।
-
রাজধানী: শ্রী জয়বর্ধনপুর কোট্টে।
-
বৃহত্তম শহর: কলম্বো।
-
মুদ্রা: শ্রীলঙ্কান রুপি।
গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর
শ্রীলঙ্কার দক্ষিণে কলম্বোর পরে হাম্বানটোটা সমুদ্রবন্দর দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর। এটি ৯ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে চীনের কাছে ৯৯ বছরের জন্য লিজে দেওয়া হয়। বন্দরটি কখনও কখনও মাগামপুরা মাহিন্দা রাজাপাকসে পোর্ট নামে পরিচিত।
উৎস: Britannica
0
Updated: 1 month ago
জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির ব্যাপকতা তুলে ধরার জন্য কোন দেশটি সমুদ্রের গভীরে মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছে?
Created: 2 months ago
A
ফিজি
B
পাপুয়া নিউগিনি
C
গোয়াম
D
মালদ্বীপ
মালদ্বীপে সমুদ্রের তলদেশে মন্ত্রিসভার বৈঠক
মালদ্বীপ সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির গুরুত্ব বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিতে একটি অনন্য উদ্যোগ নিয়েছে। ভারত মহাসাগরের তলদেশে ডুবুরির পোশাকে মন্ত্রীসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের নেতৃত্বে মন্ত্রীরা এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকের জন্য বিশেষভাবে টেবিল বসানো হয়, যার চারপাশে প্রবাল এবং উজ্জ্বল রঙের মাছের মধ্য দিয়ে মন্ত্রীরা হাতের ইশারায় আলোচনা করেন এবং দলিলে স্বাক্ষর করেন। যারা স্কুবা ডাইভিং জানতেন না, তাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, এবং প্রত্যেক মন্ত্রীর সঙ্গে একজন প্রশিক্ষক থাকতেন।
বৈঠকের পর জলের ওপর উঠে সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট নাশিদ জানান, এই অভিনব উদ্যোগের মাধ্যমে তারা বিশ্বের কাছে জরুরি বার্তা পাঠাতে চেয়েছেন। বৈঠকে মন্ত্রীসভার একমাত্র মহিলা সদস্যও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, বৈঠক থেকে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমন কমানোর আহ্বান জানানো হয়।
উল্লেখযোগ্য, ২০০৯ সালে নেপালের প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার এবং অন্যান্য ২২ জন মন্ত্রী হিমালয়ের কালাপাথর শৃঙ্গ থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭,১৯২ ফুট উচ্চতায় বৈঠক করেছিলেন। নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে হিমালয়ের বরফ বিপজ্জনকভাবে গলছে এবং এতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে নেপাল অন্যতম। তিনি তুষারের স্বাভাবিক চূড়ান্ত দৃশ্য ও তুষারঝড় দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা, ১৭ অক্টোবর ২০০৯; ডয়েচভেলে রিপোর্ট।
0
Updated: 2 months ago
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
Created: 3 months ago
A
লন্ডন
B
ব্রাসেলস
C
বন
D
প্যারিস
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU)
-
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা EU হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক জোট।
-
এটি গঠিত হয়েছে ১ নভেম্বর, ১৯৯৩ সালে।
-
এর প্রধান কার্যালয় বেলজিয়ামের ব্রাসেলস শহরে।
-
শুরুতে এই জোটে ছিল ৬টি দেশ।
-
বর্তমানে EU-ভুক্ত দেশের সংখ্যা ২৭টি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো হলো
অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন এবং সুইডেন।
আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
-
EU-এর একক মুদ্রার নাম ইউরো।
-
ইউরো মুদ্রার ধারণা দিয়েছিলেন অর্থনীতিবিদ রবার্ট মুন্ডেল।
-
ইউরো চালু হয় ১ জানুয়ারি, ১৯৯৯ সালে।
-
EU দেশগুলোর সীমান্ত রক্ষার জন্য একটি বাহিনী রয়েছে, যার নাম FRONTEX।
তথ্যসূত্র: ইউরোপীয় ইউনিয়নের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
0
Updated: 3 months ago