Andragogy বলতে কী বোঝায়?
A
শিশু শিখন তত্ত্ব ও তার প্রয়োগ
B
বয়স্ক শিখন তত্ত্ব ও তার প্রয়োগ
C
শিক্ষার মনোবৈজ্ঞানিক তত্ত্বের প্রয়োগ
D
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বিজ্ঞান
উত্তরের বিবরণ
Andragogy শব্দটি বয়স্কদের শিক্ষা ও শিখন তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে গঠিত একটি ধারণা। এটি মূলত বয়স্কদের শেখানোর পদ্ধতিগত পদ্ধতি এবং তাদের শিখন প্রক্রিয়াকে উপযোগীভাবে নির্দেশ করে। এই তত্ত্বটি শিশুদের শিক্ষা পদ্ধতির তুলনায় আলাদা, যেখানে প্রাপ্তবয়স্কদের শিখনের জন্য বিশেষ কিছু নীতিমালা ও ধারণা প্রয়োগ করা হয়। এই তত্ত্বটির প্রতিষ্ঠাতা মালকম নোয়েল (Malcolm Knowles), যিনি Andragogy এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
-
বয়স্কদের শিখন প্রক্রিয়া: Andragogy তত্ত্ব অনুযায়ী, বয়স্করা নিজের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শেখেন এবং তাদের শেখার প্রক্রিয়া ব্যক্তিগত ও বাস্তব জীবনের সাথে সম্পর্কিত। শিশুদের তুলনায়, বয়স্করা শিখতে চাইলে তাদের আত্মবিশ্বাস এবং ইতিবাচক অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
স্ব-উদ্দেশ্য ও প্রবৃত্তি: বয়স্করা নিজেকে শিখন প্রক্রিয়ায় আরও বেশি যুক্ত করতে চায়। তাদের কাছে শিক্ষার উদ্দেশ্য থাকে বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধান খোঁজা। এজন্য তারা আত্মনির্ভরশীল হতে চায় এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে মনোনিবেশ করে।
-
উন্নত অভিজ্ঞতার ব্যবহার: প্রাপ্তবয়স্কদের শিক্ষা দেওয়ার সময় তাদের পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতার সাথে নতুন বিষয়গুলো সংযুক্ত করার চেষ্টা করা হয়। তাদের পেছনে থাকে বাস্তব অভিজ্ঞতা যা শেখার ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
-
উদ্দীপনা ও প্রেরণা: বয়স্কদের শেখার প্রক্রিয়া অনেক ক্ষেত্রে প্রেরণা ও উদ্দীপনার ওপর নির্ভর করে। প্রাপ্তবয়স্করা বেশি কার্যকরীভাবে শিখতে পারে যখন তাদের প্রয়োজনীয়তা, সমস্যা ও আগ্রহের সাথে বিষয়টি সম্পর্কিত থাকে।
-
শিক্ষকের ভূমিকা: Andragogy তত্ত্ব অনুযায়ী, শিক্ষকরা বয়স্ক শিক্ষার্থীদের সহায়ক হিসেবে কাজ করে। তারা শিক্ষার্থীদের প্রক্রিয়াতে সহযোগিতা করতে সাহায্য করে, যা শিশুদের শিক্ষা পদ্ধতির তুলনায় আরও ভিন্ন। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা এবং চিন্তাভাবনার মাধ্যমে শেখার সুযোগ প্রদান করেন।
এভাবে, Andragogy তত্ত্বটি বয়স্ক শিক্ষার্থীদের শেখানোর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হয়, যেখানে শেখানোর পদ্ধতি তাদের বয়স, অভিজ্ঞতা এবং আগ্রহের প্রতি মনোযোগী হয়।
0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশের ‘জাতীয় গ্রন্থাগার ‘কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 week ago
A
শাহবাগে
B
গুলিস্তানে
C
আগারগাঁও
D
উত্তরায়
বাংলাদেশের ‘জাতীয় গ্রন্থাগার’ রাজধানী ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত, যেখানে জাতীয় পর্যায়ের বই, পাণ্ডুলিপি ও গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহ রাখা হয়, তাই সঠিক উত্তর ক) শাহবাগে।
0
Updated: 1 week ago
আলোকিত মানুষ তৈরীর কর্মসূচি কোন সংগঠনের?
Created: 5 days ago
A
ব্রাক ব্যাংক
B
এশিয়াটিক সোসাইটি
C
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র
D
গ্রামীন ব্যাংক
“আলোকিত মানুষ তৈরির কর্মসূচি” বাংলাদেশের একটি অনন্য উদ্যোগ যা সমাজে জ্ঞানচর্চা ও নৈতিক মূল্যবোধ গঠনের মাধ্যমে মানুষকে আলোকিত করে তোলার লক্ষ্য নিয়েছে। এই কর্মসূচি পরিচালনা করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, যা দেশের অন্যতম প্রভাবশালী সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান।
• বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৮ সালে। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও চিন্তাবিদ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য ছিল বইপড়া, জ্ঞানচর্চা ও মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটানো।
• “আলোকিত মানুষ তৈরির কর্মসূচি” মূলত এই কেন্দ্রের প্রধান মিশন। এর উদ্দেশ্য হলো এমন নাগরিক তৈরি করা যারা কেবল শিক্ষিত নয়, বরং সচেতন, দায়িত্ববান এবং সমাজের প্রতি ইতিবাচক মনোভাবসম্পন্ন।
• এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্মকে বই পড়ায় উৎসাহিত করা হয়। এজন্য স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে বিভিন্ন বইপড়া কার্যক্রম, পাঠচক্র এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
• এই প্রকল্পের অন্যতম স্লোগান হলো “পড়ো বই, গড়ো নিজেকে”, যা তরুণ সমাজে বইয়ের প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তুলেছে।
• বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ বই পাঠাগার (Mobile Library) কর্মসূচি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বই পৌঁছে দেয়। এর ফলে প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার্থীরাও আলোকিত মানুষ তৈরির ধারায় যুক্ত হতে পারে।
• এই কর্মসূচি শুরুতে ঢাকায় সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে দেশের প্রায় সব জেলায় এর কার্যক্রম বিস্তৃত হয়েছে।
• ইউনিলিভার, গ্রামীণফোন, ও ব্র্যাকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রকল্পে অংশীদার হিসেবে সহযোগিতা করেছে।
• ২০১৩ সালে ইউনেস্কো বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রকে “Reading Promotion Award” প্রদান করে, যা তাদের কার্যক্রমের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
• কেন্দ্রটি কেবল বইপড়া নয়, বরং নৈতিক শিক্ষা, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানবিক চেতনা গড়ে তোলার দিকেও সমান গুরুত্ব দেয়।
• এ কর্মসূচি তরুণদের মধ্যে পজিটিভ চিন্তাভাবনা, সৃজনশীলতা ও আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে, যা একটি উন্নত ও সচেতন সমাজ গঠনে অপরিহার্য।
অন্যদিকে, ব্রাক ব্যাংক, এশিয়াটিক সোসাইটি, ও গ্রামীণ ব্যাংক নিজ নিজ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও তারা “আলোকিত মানুষ তৈরির কর্মসূচি” পরিচালনা করে না। তাই সঠিক উত্তর হলো — গ) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।
0
Updated: 5 days ago
কোন জন 'চযাপদে'র পদকর্তা?
Created: 11 hours ago
A
শবরপা
B
বিদ্যাপতি
C
চণ্ডীদাস
D
ভারতচন্দ্র
‘চযাপদে’ (Chayapad) বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ ধারা। এটি মূলত বাংলা মধ্যযুগীয় সাহিত্যর এক অমূল্য রত্ন, যেখানে গান, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাসসহ নানা সাহিত্যিক সৃষ্টি ও চিন্তা চেতনার ছোঁয়া দেখা যায়। প্রশ্নে উল্লেখিত পদকর্তার মধ্যে শবরপা ‘চযাপদে’র পদকর্তা হিসেবে চিহ্নিত।
শবরপা ছিলেন বাংলার অন্যতম পুরানো কবি, যিনি "চযাপদে" কাব্যধারায় অবদান রেখেছিলেন। তাঁর কবিতা বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম কাব্যধারা হিসেবে পরিচিত।
-
শবরপা মূলত এক বিশেষ ধরনের পদকর্তা, যার কবিতাগুলো প্রধানত ভক্তিমূলক ও আধ্যাত্মিক।
-
তিনি ছিলেন বাংলার ভক্তি আন্দোলনের অন্যতম একজন কবি, যিনি তাঁর কবিতায় শিব বা দেবতা পূজার বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা করেছেন।
-
শবরপা, তাঁর কবিতায়, সাধারণ মানুষের অনুভূতি, প্রাত্যহিক জীবন, এবং ধর্মীয় চেতনার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।
এছাড়া, অন্যান্য অপশনগুলোও কিছুটা বিভ্রান্তিকর হতে পারে, কারণ:
-
বিদ্যাপতি: তিনি ছিলেন বিহার এবং বাংলার বিখ্যাত ভক্তি আন্দোলনের কবি, কিন্তু তার কবিতা প্রধানত বৈষ্ণব ভক্তি নিয়ে রচিত ছিল। তিনি চযাপদে’র পদকর্তা ছিলেন না।
-
চণ্ডীদাস: তিনি বাংলার মধ্যযুগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কবি। তাঁর কবিতা প্রধানত প্রেম ও বৈষ্ণব ভাবনা নিয়ে রচিত ছিল। তবে তিনি ‘চযাপদে’র পদকর্তা ছিলেন না।
-
ভারতচন্দ্র: তিনি ১৭-১৮ শতকের বিখ্যাত কবি, কিন্তু তাঁর সাহিত্য চযাপদে’র অন্তর্ভুক্ত নয়।
তাহলে, সঠিক উত্তর হলো শবরপা যিনি 'চযাপদে' কাব্যধারার অন্যতম প্রধান পদকর্তা।
0
Updated: 11 hours ago