বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে?
A
মসজিদ- মন্দিরের মাধ্যমে
B
দূরশিক্ষণের মাধ্যমে
C
কমিউনিটি স্কুলের মাধ্যমে
D
স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (BOU) মূলত দূরশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে। এটি একটি বিশেষ শিক্ষা ব্যবস্থা যা ছাত্রদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে পড়াশোনা করার সুযোগ দেয়। এই পদ্ধতিতে ছাত্ররা কোনো নির্দিষ্ট সময় এবং স্থানে উপস্থিত না থেকেও শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, যা তাদের সুবিধাজনক। এই শিক্ষা পদ্ধতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষত শহর বা গ্রামে, যেখানে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহজে পৌঁছানো সম্ভব নয়, সেখানে বিশেষভাবে কার্যকরী।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর মাধ্যমে দূরশিক্ষণের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, যা সারা দেশব্যাপী ছড়িয়ে আছে। এই পদ্ধতিতে পাঠ্যক্রম সরাসরি ক্যাম্পাস বা শ্রেণীকক্ষে যাওয়ার প্রয়োজন ছাড়াই সম্পন্ন করা হয়। এই পদ্ধতির কিছু বৈশিষ্ট্য:
-
সুবিধাজনক সময়সূচি: শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের সময়সূচি অনুযায়ী পড়াশোনা করতে পারে, যার ফলে কর্মজীবী বা অন্যান্য ব্যস্ত ব্যক্তি সহজেই তাদের শিক্ষাজীবন পরিচালনা করতে পারে।
-
শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে দূরত্ব: ছাত্ররা সরাসরি কোনো শিক্ষক বা শিক্ষিকার সাথে দেখা না করে লেখাপড়া করতে পারে, তবে যোগাযোগের জন্য বিভিন্ন মাধ্যম যেমন টেলিফোন, ইমেইল, ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়।
-
টেলিভিশন এবং রেডিও শিক্ষণ: দূরশিক্ষণের মাধ্যমে পাঠদান শুধু পাঠ্যপুস্তক এবং শ্রেণীকক্ষে নয়, বরং টেলিভিশন ও রেডিও মাধ্যমেও হতে পারে।
-
অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা: এই পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা, যারা শহরে বসবাস না করে, তারা সহজে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
-
ফ্লেক্সিবল শিক্ষণ: পাঠ্যক্রমের গতি ও সময়সূচি এতটাই নমনীয় থাকে যে, ছাত্ররা কাজকর্ম বা অন্যান্য দায়িত্বের পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দূরশিক্ষণ পদ্ধতি শিক্ষার বিস্তৃতিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। এটি শুধু শহুরে শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বরং গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।
এই পদ্ধতিতে ব্যবহৃত পাঠ্যবই, ভিডিও ক্লাস, অনলাইন লেকচার, এবং অন্যান্য শিক্ষামূলক উপকরণ শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত শিক্ষা প্রদান করে এবং তাদের একাডেমিক ও পেশাগত জীবনে সফল হতে সাহায্য করে।
0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশের ওয়ারেন্ট অফ প্রেসিডেন্স অনুযায়ী সর্ব প্রথম কে অবস্থান করেন?
Created: 3 weeks ago
A
প্রধানমন্ত্রী
B
রাষ্ট্রপতি
C
প্রধান উপদেষ্টা
D
প্রধান বিচারপতি
জুলাই ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত ওয়ারেন্ট অফ প্রেসিডেন্স অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি দেশের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত। এই তালিকায় সরকারি ও সাংবিধানিক পদগুলোর একটি নির্দিষ্ট পদক্রম নির্ধারিত আছে, যা রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান ও প্রোটোকল অনুসারে মানা হয়।
১. রাষ্ট্রপতি (President of the Republic)
-
২. প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister)
-
৩. জাতীয় সংসদের স্পিকার (Speaker of the Parliament)
-
৪. বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিগণ
-
৫. কেবিনেট মন্ত্রিগণ; কেবিনেটের প্রধান হুইপ; সংসদের ডেপুটি স্পিকার; সংসদে বিরোধী দলের নেতা
-
৬. পদমর্যাদায় মন্ত্রিসভার সমমানের পদে থাকা ব্যক্তিবর্গ
-
৭. বিশেষ দূত ও বাংলাদেশে নিযুক্ত কমনওয়েলথ দেশের হাইকমিশনারগণ
-
৮. প্রধান নির্বাচন কমিশনার; পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান; সংসদে বিরোধী দলের ডেপুটি নেতা; সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারকগণ; রাষ্ট্রের রাজ্য মন্ত্রীগণ; সংসদের হুইপ
ওয়ারেন্ট অফ প্রেসিডেন্সে মোট ২৫টি পদক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
0
Updated: 3 weeks ago
দেশের মোট রপ্তানিকৃত আলুর বেশিরভাগ কোন দেশে রপ্তানি হয়? [অক্টোবর, ২০২৫]
Created: 3 weeks ago
A
সিঙ্গাপুর
B
ভুটান
C
শ্রীলঙ্কা
D
মালয়েশিয়া
বাংলাদেশ দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে আলু রপ্তানি করছে এবং দেশের মোট রপ্তানিকৃত আলুর বড় অংশ মালয়েশিয়ায় যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাজারে আলুর চাহিদা রয়েছে এবং এটি অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
-
রপ্তানি প্রধান দেশ: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের আলুর প্রায় ৮০ শতাংশ মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হয়।
-
অন্যান্য গন্তব্য: সিঙ্গাপুর, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাহরাইন এবং মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশে আলু রপ্তানি করা হচ্ছে। পূর্বে রাশিয়াতেও রপ্তানি হতো, কিন্তু বর্তমানে সেখানে আলুর চাহিদা কমেছে। এখন পর্যন্ত মোট ১৪টি দেশে বাংলাদেশের আলু পৌঁছেছে।
-
রপ্তানির পরিমাণ: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে মোট ৬২,১৩৫ টন আলু রপ্তানি করা হয়েছে।
-
চাষের এলাকা: একই অর্থবছরে আলু চাষ হয়েছে রেকর্ড ৫.২৪ লাখ হেক্টর জমিতে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি।
-
রপ্তানিযোগ্য জাত: রপ্তানির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত আলুর জাত হলো ‘গ্রানোলা’, ‘ডায়মন্ড-৭’ এবং ‘ম্যাজেস্টিক’।
0
Updated: 3 weeks ago
চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
দলীয় সংগঠনবিহীন
B
দলীয় কর্মসূচিবিহীন
C
নির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়া
D
উপরের সবগুলো
চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হলো এমন একটি জনসমষ্টি যারা সরকারি নীতি ও সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে, মূলত তাদের সমজাতীয় স্বার্থ রক্ষা করার উদ্দেশ্যে।
এই গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা সাধারণত রাজনৈতিক দলের তুলনায় কম, এবং অভিন্ন স্বার্থের কারণে তারা একত্রিত থাকে। সাংগঠনিক দিক থেকে এগুলো রাজনৈতিক দলের তুলনায় দুর্বল হলেও, তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো সরকারি সিদ্ধান্তকে নিজেদের স্বার্থের সুবিধার জন্য প্রভাবিত করা।
• চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর লক্ষ্য হলো সরকারি নীতি প্রভাবিত করা।
• এটি এমন জনসমষ্টি যারা সমজাতীয় স্বার্থে উদ্বুদ্ধ এবং রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করে।
• সদস্য সংখ্যা রাজনৈতিক দলের তুলনায় কম এবং সদস্যরা অভিন্ন স্বার্থের কারণে ঐক্যবদ্ধ থাকে।
• সাংগঠনিক দিক থেকে রাজনৈতিক দলের তুলনায় দুর্বল।
• প্রধান উদ্দেশ্য হলো সরকারি সিদ্ধান্তকে নিজেদের স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা।
চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
• দলীয় সংগঠনবিহীন
• দলীয় কর্মসূচিবিহীন
• নির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়া
• সরকারি নীতিকে প্রভাবিত করা
• সরাসরি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নয়
• সমজাতীয় মনোভাব
• বেসরকারি সংগঠন
0
Updated: 3 weeks ago