একটি মর্টারের মধ্যে বাঁধাইয়ের উপাদান কোনটি?
A
বালি
B
সুরকী
C
সিমেন্ট
D
সব কয়টি
উত্তরের বিবরণ
মর্টার একটি নির্মাণ উপাদান, যা প্রাথমিকভাবে ইট, পাথর বা অন্য কোনো নির্মাণ সামগ্রীকে একত্রে দৃঢ়ভাবে যুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। এটি এমন একটি মিশ্রণ, যা সাধারণত তিনটি উপাদান দিয়ে তৈরি হয়: বালি, সুরকী, এবং সিমেন্ট। এই উপাদানগুলো একত্রিত হলে মর্টারটি শক্ত এবং কার্যকরী হয়। প্রশ্নের উত্তর "সব কয়টি" সঠিক, কারণ এই তিনটি উপাদানই মর্টার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
-
বালি: বালি মর্টারের মুল উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি মর্টারের স্থিতিস্থাপকতা এবং দৃঢ়তা বাড়ায়। বালি সাধারণত নদী বা সমুদ্রের তাজা বালি থেকে আসে এবং এটি কোণাকোণি আকারে থাকে, যা মর্টারকে মিশ্রিত করার জন্য উপযুক্ত।
-
সুরকী: সুরকী হলো মাটির তৈরি পাথর বা ইটের টুকরা, যা মর্টারের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি সাধারণত কাঁচা ইট ভেঙে বা পাথর ভেঙে তৈরি করা হয় এবং মর্টারের মধ্যে যুক্ত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
-
সিমেন্ট: সিমেন্ট হলো এক প্রকার বন্ধনী পদার্থ যা মর্টারের মিশ্রণকে শক্ত করে এবং দীর্ঘস্থায়ী করে। এটি মর্টারকে জল প্রতিরোধী এবং অধিক টেকসই করে তোলে।
মর্টার প্রস্তুত করতে এই তিনটি উপাদান মিশ্রিত করা হয় এবং পানির সাথে তা প্রয়োগ করা হয়। সিমেন্ট ও বালির সঠিক অনুপাত মর্টারের শক্তি ও কার্যকারিতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এই কারণে, সঠিক উত্তর হলো সব কয়টি, কারণ বালি, সুরকী, এবং সিমেন্ট তিনটি উপাদানই মর্টারের প্রস্তুতিতে অপরিহার্য।
0
Updated: 1 day ago
কত ওজনের Newborn বাচ্চাকে Low Birth Weight বলে?
Created: 2 days ago
A
৩ কেজির নিচে
B
২(১/২) কেজির নিচে
C
২ কেজির নিচে
D
১(১/২) কেজির নিচে
নবজাতকের ওজন তার স্বাস্থ্য ও জীবনধারণের অন্যতম প্রধান সূচক। জন্মের সময় শিশুর ওজন যদি স্বাভাবিক মানের নিচে থাকে, তাকে Low Birth Weight (LBW) বলা হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে, ২.৫ কেজি বা ২(১/২) কেজির নিচে ওজনবিশিষ্ট নবজাতককে Low Birth Weight বলা হয়। এটি শিশু মৃত্যুহার বৃদ্ধির অন্যতম কারণ এবং মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের মান নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
• বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুযায়ী, ২.৫ কেজির নিচে জন্ম নেওয়া শিশুদের ‘Low Birth Weight’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। এটি শুধুমাত্র ওজনের মাপকাঠি নয়, বরং শিশুর গর্ভকালীন পুষ্টি, মাতৃস্বাস্থ্য, এবং গর্ভধারণকালীন যত্নের মানকেও প্রতিফলিত করে।
• Low Birth Weight শিশুর কারণ বিভিন্ন হতে পারে—যেমন গর্ভকাল ৩৭ সপ্তাহের কম হওয়া (Preterm birth), মায়ের অপুষ্টি, রক্তস্বল্পতা, ধূমপান বা মাদক গ্রহণ, উচ্চ রক্তচাপ, এবং সংক্রমণ। এ ছাড়াও গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুষ্টিকর খাবারের অভাবও এর অন্যতম কারণ।
• প্রভাব ও ঝুঁকি: ওজন কম থাকলে শিশুর দেহে শক্তি সঞ্চয়, শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ, তাপমাত্রা বজায় রাখা ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা কমে যায়। এসব কারণে Low Birth Weight শিশুদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, রক্তে শর্করার তারতম্য, এবং বিকাশজনিত সমস্যার ঝুঁকি বেশি দেখা যায়।
• বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, UNICEF-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতি দশজন শিশুর মধ্যে প্রায় তিনজন Low Birth Weight নিয়ে জন্মায়। দরিদ্রতা, অপুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবার সীমাবদ্ধতা এর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত।
• প্রতিরোধ ও যত্ন:
-
গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত ও সুষম খাবার গ্রহণ জরুরি।
-
মায়ের নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা, ভিটামিন ও আয়রন সাপ্লিমেন্ট নেওয়া উচিত।
-
ধূমপান, অ্যালকোহল বা মানসিক চাপ থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।
-
নবজাতক জন্মের পরপরই বুকের দুধ খাওয়ানো শিশুর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
• Low Birth Weight বনাম Very Low Birth Weight: ২.৫ কেজির নিচে শিশুকে Low Birth Weight বলা হলেও, ১.৫ কেজির নিচে জন্ম নেওয়া শিশুকে Very Low Birth Weight হিসেবে গণ্য করা হয়। এদের জন্য বিশেষ চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণ অপরিহার্য।
সব মিলিয়ে, ২.৫ কেজির নিচে ওজনবিশিষ্ট নবজাতকই Low Birth Weight হিসেবে বিবেচিত হয়। এদের জন্য জন্মের পর বিশেষ যত্ন, মায়ের বুকের দুধ, এবং উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এটি শুধু শিশুর বেঁচে থাকার সম্ভাবনাই বাড়ায় না, ভবিষ্যতে সুস্থভাবে বেড়ে ওঠারও ভিত্তি গড়ে দেয়।
0
Updated: 2 days ago
পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন খনিজ পদার্থ কোনটি?
Created: 1 week ago
A
লৌহ
B
ইস্পাত
C
হীরক
D
পাথর
পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন খনিজ পদার্থ হলো হীরক ডায়মন্ড)। এটি কার্বনের একটি স্ফটিক রূপ এবং মোহস কঠিনতা স্কেলে এর মান সর্বোচ্চ ১০, যা একে সবচেয়ে কঠিন করে তোলে।
0
Updated: 1 week ago
ব্যানবেইস কোন কাজ করে?
Created: 14 hours ago
A
শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও প্রকাশ করে
B
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও পরিবীক্ষণ করে
C
মাধ্যমিক শিক্ষকদের নিবন্ধন দেয়
D
মাধ্যমিক শিক্ষকদের এমপিও ভুক্ত করে
ব্যানবেইস বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে। এটি শিক্ষা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও প্রকাশের মাধ্যমে সরকারের নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিচে প্রতিষ্ঠানটির মূল কার্যক্রম ও ভূমিকা বিশদভাবে তুলে ধরা হলো।
• ব্যানবেইসের পূর্ণরূপ হলো Bangladesh Bureau of Educational Information and Statistics, যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি দপ্তর। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৭ সালে, মূলত শিক্ষা সম্পর্কিত পরিসংখ্যানগত তথ্য ব্যবস্থাপনা ও বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে।
• সংস্থাটির প্রধান কাজ হলো শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ ও প্রকাশ করা। এর মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে নীতি প্রণয়নে সহায়তা করা হয়।
• ব্যানবেইস দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অবকাঠামো ও শিক্ষার মান সম্পর্কিত তথ্যভাণ্ডার তৈরি করে থাকে। এই তথ্যগুলো শিক্ষার পরিকল্পনা ও উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যবহৃত হয়।
• প্রতিষ্ঠানটি ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরি করেছে, যেখানে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করা হয়। এটি সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
• ব্যানবেইসের আরেকটি উল্লেখযোগ্য কাজ হলো শিক্ষা সম্পর্কিত পরিসংখ্যান প্রতিবেদন (Education Statistics Report) প্রকাশ করা। এতে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে উপস্থাপন করা হয়।
• এই সংস্থা শিক্ষা পরিকল্পনা ও গবেষণায় সহায়ক তথ্য সরবরাহ করে, যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারণ, বাজেট প্রণয়ন ও প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হয়।
• ব্যানবেইস আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন UNESCO, UNICEF, World Bank-এর সাথেও তথ্য বিনিময় করে, যা বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে পর্যালোচনায় সহায়তা করে।
• এছাড়া ব্যানবেইসের একটি বিশেষ শাখা EMIS (Education Management Information System), যা শিক্ষা ব্যবস্থার তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণের জন্য কাজ করে।
• ভুল বিকল্পগুলোর বিশ্লেষণ:
– খ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও পরিবীক্ষণ করার কাজটি পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (Directorate of Inspection and Audit - DIA) করে।
– গ) মাধ্যমিক শিক্ষকদের নিবন্ধন দেয় NTRCA (Non-Government Teachers’ Registration and Certification Authority)।
– ঘ) মাধ্যমিক শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার দায়িত্ব মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (DSHE)-এর অধীনে।
সবশেষে বলা যায়, ব্যানবেইস শিক্ষা ব্যবস্থার তথ্যভিত্তিক উন্নয়নের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। এটি শিক্ষা খাতের প্রতিটি স্তরে তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও প্রকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষা পরিকল্পনা ও নীতি বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
0
Updated: 14 hours ago