শতকরা হিসেবে সার্কভুক্ত কোন দেশে বনভূমির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি?
A
শ্রীলংকা
B
ভুটান
C
নেপাল
D
ভারত
উত্তরের বিবরণ
ভুটান, একটি ছোট ও সুন্দর দেশ, যা দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত। এটি প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বনভূমির ধারণকারী দেশ হিসেবে পরিচিত। দেশের প্রায় ৭০% ভূমি বনভূমি দ্বারা আচ্ছাদিত, যা অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। বনভূমি রক্ষায় ভুটান সরকারের বিশেষ পদক্ষেপ এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগের ফলে এই পরিমাণে বনভূমি রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। এখানে কিছু মূল তথ্য তুলে ধরা হল:
-
ভুটান:
-
ভুটানে বনভূমির পরিমাণ প্রায় ৭০%। এই দেশের সরকার বনভূমি রক্ষায় কঠোর নীতি গ্রহণ করেছে। ২০০৯ সালে ভুটান সরকার ঘোষণা করেছে যে তারা তাদের জাতীয় ভূমির ৬০% বনভূমি হিসেবে রক্ষা করবে। এর মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে অবদান রাখা হচ্ছে।
-
ভুটান বিশ্বের প্রথম কার্বন-নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে পরিচিত, অর্থাৎ, এটি প্রতিস্থাপন করে এমন পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করে না। এই অর্জনটি মূলত তার বনভূমি রক্ষার ফলে সম্ভব হয়েছে।
-
ভুটানের বনভূমির বড় অংশে বিভিন্ন ধরনের বৃক্ষ এবং বন্যপ্রাণী বাস করে, যা দেশে বায়ু মান উন্নত করে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি প্রাকৃতিক গঠন তৈরি করে।
-
-
শ্রীলঙ্কা:
-
শ্রীলঙ্কায় বনভূমির পরিমাণ প্রায় ৩০% এর আশেপাশে। দেশের বনভূমি বেশিরভাগই বর্ষাকালীন রেইনফরেস্ট থেকে গঠিত। তবে শ্রীলঙ্কায় বনভূমি উজাড় হওয়া এবং অন্যান্য কারণে বনভূমির পরিমাণ কমে গেছে।
-
-
নেপাল:
-
নেপালের বনভূমি প্রায় ৪০%-৫০%। এখানে নানা ধরনের উদ্ভিদ এবং প্রাণী বসবাস করে, এবং দেশটি বেশ কিছু জাতীয় উদ্যান ও সংরক্ষিত বনভূমি পরিচালনা করে।
-
-
ভারত:
-
ভারতের বনভূমির পরিমাণ ২৪%-২৫% এর আশেপাশে। যদিও ভারতের বনভূমি অনেক বড়, কিন্তু মোট ভূমির তুলনায় এর পরিমাণ কম। বন উজাড়, অবৈধ পাচার এবং কৃষি খামারের জন্য বনভূমির পরিমাণ অনেকাংশে কমে গেছে।
-
ভুটান দেশের বনভূমি রক্ষা এবং পরিবেশগত সচেতনতার ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলির জন্য একটি আদর্শ সৃষ্টি করেছে। এতে দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে এবং তার পরিবেশগত নীতির কারণে বিশ্বে এটি একটি পরিচিতি পেয়েছে।
0
Updated: 1 day ago
রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা 200 mg/dL এর বেশি হয় কোন রোগে?
Created: 2 days ago
A
Diabetes
B
Asthma
C
Jaundice
D
Anaemila
রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকে। যখন এই মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়, তখন শরীরে বিপাকীয় অসামঞ্জস্য দেখা দেয়। সাধারণত রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ২০০ mg/dL বা তার বেশি হলে সেটি ডায়াবেটিস (Diabetes) রোগের প্রধান লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী বিপাকজনিত রোগ যা ইনসুলিন হরমোনের ঘাটতি বা এর কার্যকারিতা কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্টি হয়। রক্তে গ্লুকোজ বৃদ্ধির এই অবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হলোঃ
• ডায়াবেটিসের মূল কারণ হলো অগ্ন্যাশয় থেকে পর্যাপ্ত ইনসুলিন নিঃসরণ না হওয়া বা শরীরের কোষগুলোর ইনসুলিন প্রতিক্রিয়ায় দুর্বলতা। ফলে গ্লুকোজ কোষে প্রবেশ করতে না পেরে রক্তে জমে যায়।
• স্বাভাবিক রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা সাধারণত খালি পেটে ৭০–১০০ mg/dL এবং খাবারের দুই ঘণ্টা পর ১৪০ mg/dL এর নিচে থাকে। যদি এটি ২০০ mg/dL বা তার বেশি হয়, তবে এটি ডায়াবেটিসের ইঙ্গিত দেয়।
• ডায়াবেটিসের প্রধান লক্ষণ হিসেবে দেখা যায় ঘন ঘন প্রস্রাব, অতিরিক্ত তৃষ্ণা, ওজন হ্রাস, ক্লান্তি, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হওয়া, এবং ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া।
• ডায়াবেটিসের ধরন দুটি — টাইপ ১ ও টাইপ ২।
-
টাইপ ১ ডায়াবেটিস সাধারণত শিশু বা কিশোরদের মধ্যে দেখা যায়, যেখানে ইনসুলিন উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
-
টাইপ ২ ডায়াবেটিস প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায় এবং এটি ইনসুলিন প্রতিরোধের কারণে হয়।
• রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষার প্রধান উপায় হলো ফাস্টিং ব্লাড সুগার (FBS), পোস্টপ্র্যান্ডিয়াল ব্লাড সুগার (PPBS), ও HbA1c টেস্ট। HbA1c পরীক্ষায় গত তিন মাসের গড় গ্লুকোজের মাত্রা নির্ধারণ করা যায়।
• এই রোগের চিকিৎসা ইনসুলিন ইনজেকশন, মৌখিক ওষুধ, নিয়মিত ব্যায়াম, এবং খাদ্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে করা যায়। মিষ্টি ও উচ্চ কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার পরিহার করা খুবই জরুরি।
• ডায়াবেটিসের জটিলতা গুরুতর হতে পারে—যেমন কিডনি বিকল, চোখের রেটিনায় ক্ষতি, স্নায়ু দুর্বলতা, হৃদরোগ ও পায়ে ঘা সৃষ্টি।
• বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্যানুসারে, বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস এখন একটি মহামারী রূপ নিয়েছে এবং বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এর হার দ্রুত বাড়ছে।
• অন্য বিকল্পগুলোর মধ্যে—
-
Asthma হলো শ্বাসযন্ত্রের একধরনের প্রদাহজনিত রোগ।
-
Jaundice ঘটে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায়, যার ফলে ত্বক ও চোখ হলুদ হয়।
-
Anaemia বা রক্তাল্পতা ঘটে রক্তে হিমোগ্লোবিন বা লোহিত কণিকার ঘাটতির কারণে।
অতএব, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ২০০ mg/dL এর বেশি হওয়া ডায়াবেটিস রোগের স্পষ্ট লক্ষণ এবং সঠিক নিয়ন্ত্রণ না করলে এটি জীবনহানিকর জটিলতায় রূপ নিতে পারে।
0
Updated: 2 days ago
বাংলাদেশে মণিপুরী নাচ কোন অঞ্চলের ঐতিহ্য?
Created: 2 weeks ago
A
সিলেট
B
ময়মনসিংহ
C
রাজশাহী
D
কুষ্টিয়া
বাংলাদেশে মণিপুরী নাচ মূলত সিলেট অঞ্চলের ঐতিহ্য। এই নৃত্যশৈলী মণিপুরের প্রভাব থেকে উদ্ভূত হলেও সিলেটের সংস্কৃতিতে গভীরভাবে মিশে আছে। মণিপুরী নাচ সাধারণত ধর্মীয় এবং ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয়, যেখানে সূক্ষ্ম আন্দোলন ও সূক্ষ্ম কোরিওগ্রাফি বিশেষভাবে লক্ষণীয়। সিলেট অঞ্চলের সাংস্কৃতিক পরিচিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটি।
0
Updated: 2 weeks ago
পৃথিবীতে সবচেয়ে মূল্যবান ধাতু কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
স্বর্ণ
B
হীরা
C
সিলভার
D
প্লাটিনাম
প্লাটিনাম স্বর্ণের তুলনায় কম উৎপাদিত হয় বার্ষিক মাত্র ~১৯০ টন), ফলে এর বাজারমূল্য বেশি। এটি রাসায়নিকভাবে স্থিতিশীল, ১৭৭০°C গলনাঙ্কবিশিষ্ট এবং প্রধানত গাড়ির ক্যাটালাইটিক কনভার্টার, চিকিৎসা যন্ত্র ও ইলেকট্রনিকস তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 3 weeks ago