নিচের কোন বানানটি শুদ্ধ?
A
মুর্হমহু
B
মুর্হুমুহু
C
মুহুর্মুহু
D
মুর্হুমুহ
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় শব্দের সঠিক বানান নির্ধারণের ক্ষেত্রে উচ্চারণ এবং প্রচলিত ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। “মুহুর্মুহু” শব্দটি সাধারণত কোনো ঘটনা বা ক্রিয়াকলাপের অত্যন্ত ঘনঘন হওয়া বা খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের ব্যবধানে ঘটার অর্থে ব্যবহৃত হয়। এই শব্দটি উচ্চারণ অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত ও স্বচ্ছভাবে লেখা হয়েছে, এবং এটি আধুনিক ও প্রথাগত অভিধানসমূহে শুদ্ধ বানান হিসেবে স্বীকৃত।
-
“মুহুর্মুহু” বানানটি শব্দের উচ্চারণ এবং অর্থের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। এখানে প্রতিটি অংশের উচ্চারণ স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
অন্যান্য বিকল্প যেমন “মুর্হমহু”, “মুর্হুমুহু” বা “মুর্হুমুহ” উচ্চারণ ও বানানের দিক থেকে অশুদ্ধ বা প্রচলিত নয়। এগুলোতে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনের বিন্যাসে ত্রুটি রয়েছে, যার কারণে তা শব্দের স্বাভাবিক ধারা বা অর্থকে পুরোপুরি প্রতিফলিত করে না।
-
মুহুর্মুহু ব্যবহারে পাঠক সহজেই শব্দটির অর্থ ও প্রয়োগ বুঝতে পারে, বিশেষ করে সাহিত্যে, দৈনন্দিন কথোপকথন বা সংবাদমাধ্যমে।
-
বানান শুদ্ধ রাখার মানে শুধু সঠিক লেখার নিয়ম মেনে চলা নয়, এটি ভাষার সৌন্দর্য, ব্যাখ্যা ও বোধগম্যতাকেও নিশ্চিত করে।
এ কারণে, প্রথাগত ও আধুনিক অভিধান অনুযায়ী “মুহুর্মুহু” শুদ্ধ বানান হিসেবে স্বীকৃত, যা পাঠক এবং লেখকের মধ্যে সঠিক অর্থবোধ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
0
Updated: 1 day ago
নিচের কোন বানানটি ভুল?
Created: 3 weeks ago
A
গার্হস্থ্য
B
অধঃগতি
C
স্তূপ
D
পিপীলিকা
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে ‘অধঃগতি’ শব্দটির শুদ্ধ রূপ হলো ‘অধোগতি’। এটি একটি সংস্কৃত ভাষার শব্দ, যার অর্থ নিম্নগতি বা দুর্দশা। শব্দটি এমন অবস্থাকে নির্দেশ করে, যেখানে কোনো ব্যক্তি, সমাজ বা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে বা নীচে নেমে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, নিম্নোক্ত শব্দগুলোর বানানও শুদ্ধ বলে অভিধানে নির্দিষ্ট করা হয়েছে—
-
স্তূপ
-
পিপীলিকা
-
গার্হস্থ্য
এসব শব্দের ক্ষেত্রে বানানে কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন নেই, কারণ এগুলো প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুযায়ী সঠিকভাবে লেখা।
0
Updated: 3 weeks ago
কোন বানানটি শুদ্ধ?
Created: 1 week ago
A
মুলো
B
মুলা
C
ধুলি
D
ধূলো
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা ও বানান অভিধান অনুসারে "মুলা" ও "মুলো" উভয় শব্দের বানানই শুদ্ধ। তবে, প্রমিত রীতি অনুযায়ী সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং শুদ্ধ শব্দ হল মুলা। তাই মুলো শব্দটি বর্জনীয় বলে ধরা হয়।
বাংলা প্রমিত রীতি অনুসারে কিছু কথ্য রীতির শব্দ, যেমন ধুলো, তুলো, মুলো, পুজো ইত্যাদি, ব্যবহার থেকে বর্জনীয়। এসবের পরিবর্তে ধুলা, তুলা, মুলা, পূজা লিখতে হয়। এই শব্দগুলোই প্রমিত রীতিতে গ্রহণযোগ্য।
এছাড়া, অন্যান্য অপশনগুলোর মধ্যে:
-
ধুলি শব্দের সঠিক বানান হল ধূলি।
-
ধূলো শব্দটি ভুল, সঠিক রূপ ধুলো, তবে এটি প্রমিত রীতিতে বর্জনীয়।
বিশ শতকের শুরুতে কলকাতার শিক্ষিত সমাজের কথ্য ভাষাকে লেখ্য রীতির আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করা হয়, যাকে চলিত রীতি বলা হয়। একুশ শতকের শুরুতে এটি প্রমিত রীতি নামে পরিচিতি পায় এবং এখন মান রীতি নামেও পরিচিত।
প্রমিত রীতির সাধারণ বৈশিষ্ট্য:
-
ক্রিয়া, সর্বনাম, অনুসর্গ সাধারণত হ্রস্ব হয়। উদাহরণস্বরূপ: "করা" এর রূপগুলো যেমন করছে, করেছে, করল ইত্যাদি। সর্বনাম হিসেবে তারা, এদের, যা ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।
-
শব্দ ব্যবহারের উপরে নির্ভরশীলতা: প্রমিত রীতি অনুযায়ী, প্রয়োজনে তৎসম ও তদ্ভব শব্দ ব্যবহার করা যায়, যেমন বৎসর অথবা বছর, চন্দ্র অথবা চাঁদ।
-
কথ্য রীতির শব্দের ব্যবহার: কথ্য রীতির শব্দগুলো যেমন ধুলো, তুলো, মুলো, পুজো, সবচে ইত্যাদি বর্জনীয় এবং ধুলা, তুলা, মুলা, পূজা, সবচেয়ে ব্যবহার করা উচিত।
এভাবে, প্রমিত রীতিতে ভাষার ব্যবহার পরিমার্জিত এবং শুদ্ধ হওয়া উচিত।
0
Updated: 1 week ago
শুদ্ধ বানান কোনটি?
Created: 3 months ago
A
শিরোচ্ছেদ
B
শিরচ্ছেদ
C
শিরশ্ছেদ
D
শিরোঃচ্ছেদ
শুদ্ধ বানান – শিরশ্ছেদ (বিশেষ্য): সংস্কৃত শব্দ – প্রকৃতি প্রত্যয় = শিরস্+ছেদ। অর্থ: মাথা কেটে ছিন্নকরণ।
0
Updated: 3 months ago