ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহনকারী মশার নাম কি?
A
ইষ্টিগোরিয়া
B
এনোফিলিস
C
কিউলেক্স
D
এডিস
উত্তরের বিবরণ
ম্যালেরিয়া একটি প্রাণঘাতী সংক্রামক রোগ যা মূলত মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই রোগের জীবাণু প্লাজমোডিয়াম (Plasmodium) নামক পরজীবীর দ্বারা সৃষ্ট এবং এটি মানুষের রক্তে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়। তবে এই পরজীবী নিজে মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে না; এর বাহক হিসেবে কাজ করে এনোফিলিস (Anopheles) নামের স্ত্রী মশা। নিচে এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
• এনোফিলিস মশা হচ্ছে একমাত্র প্রজাতি যা ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহন করে। শুধুমাত্র স্ত্রী এনোফিলিস মশা রক্ত পান করে কারণ ডিম পাড়ার জন্য তার প্রোটিন প্রয়োজন হয়। পুরুষ মশা কেবল ফুলের রস খায় এবং কোনো রোগ বহন করে না।
• এই মশার দেহে যখন ম্যালেরিয়াজনিত প্লাজমোডিয়াম পরজীবী প্রবেশ করে, তখন তা মশার লালাগ্রন্থিতে অবস্থান করে। পরে মশা যখন কোনো মানুষকে কামড়ায়, তখন সেই পরজীবী রক্তে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়।
• ম্যালেরিয়ার প্রধান জীবাণু হলো Plasmodium vivax, Plasmodium falciparum, Plasmodium malariae, ও Plasmodium ovale। এর মধ্যে Plasmodium falciparum সবচেয়ে প্রাণঘাতী এবং দ্রুত প্রাণহানি ঘটাতে সক্ষম।
• এনোফিলিস মশা সাধারণত স্থির ও পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে, যেমন—ধানক্ষেত, পুকুরের ধারে, বা খোলা পানির ট্যাংকে। অন্যদিকে কিউলেক্স বা এডিস মশা সাধারণত ময়লা বা শহুরে জমা পানিতে জন্মায়।
• এই মশার ক্রিয়াশীলতা মূলত রাত্রিকালীন; সূর্যাস্তের পর থেকে ভোর পর্যন্ত তারা সক্রিয় থাকে। এজন্য রাতে মশারি ব্যবহার করাই ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
• ম্যালেরিয়ার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, কাঁপুনি, ঘাম, মাথাব্যথা, এবং শরীর ব্যথা। গুরুতর অবস্থায় রক্তস্বল্পতা ও অঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যুও ঘটতে পারে।
• বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় ২০ কোটিরও বেশি মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয় এবং লাখো মানুষ মারা যায়, যার বেশিরভাগই আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে। বাংলাদেশেও বর্ষাকালে এই রোগের প্রকোপ দেখা যায়, বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে।
• ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ব্যবহৃত প্রধান ওষুধ হলো কুইনাইন (Quinine), ক্লোরোকুইন (Chloroquine), এবং বর্তমানে আর্টেমিসিনিন (Artemisinin)-ভিত্তিক ওষুধসমূহ। তবে এসব ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করতে হয়।
• এনোফিলিস মশার দমন করতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, জমে থাকা পানির অপসারণ, এবং ইনসেক্টিসাইড-যুক্ত মশারি ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সব মিলিয়ে বলা যায়, ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহনকারী মশা হলো এনোফিলিস, যা মানুষের শরীরে প্লাজমোডিয়াম প্রবেশ করিয়ে এই মারাত্মক রোগের সৃষ্টি করে। তাই সচেতনতা, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও চিকিৎসার সমন্বয়েই এই রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
0
Updated: 1 day ago
উপজেলা রিসোর্স সেন্টার গঠনের উদ্দেশ্য কী?
Created: 23 hours ago
A
প্রাথমিক বিদ্যালয় সুপারভিশন
B
প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান
C
প্রাথমিক শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া
D
প্রাথমিক শিক্ষকদের সি-ইন এড প্রশিক্ষণ দেওয়া
উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের গঠন মূলত প্রাথমিক শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, যা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদান করে থাকে। এই সেন্টারটি প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে শিক্ষকগণের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে। এখন, আমরা উল্লিখিত প্রশ্নটির প্রতিটি অপশনের ব্যাখ্যা করি:
-
ক) প্রাথমিক বিদ্যালয় সুপারভিশন: উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের মূল উদ্দেশ্য প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর সুপারভিশন নয়। এটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রদান করে, তবে বিদ্যালয়ের সুপারভিশন একটি পৃথক কার্যক্রম, যা শিক্ষা অফিস বা জেলা প্রশাসন পরিচালনা করে থাকে। সুতরাং, এটি সঠিক উত্তর নয়।
-
খ) প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান: উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান করা নয়। উপবৃত্তি প্রদান সরকারের বিভিন্ন শিক্ষা প্রকল্পের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত হয়। এটি শিক্ষক প্রশিক্ষণের সাথে সম্পর্কিত নয়।
-
গ) প্রাথমিক শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া: এটি সঠিক উত্তর। উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের মূল লক্ষ্য হলো প্রাথমিক শিক্ষকদের তাদের নিজস্ব বিষয়গুলিতে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করা। এখানে শিক্ষকরা বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন, যা তাদের পেশাগত জীবনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
-
ঘ) প্রাথমিক শিক্ষকদের সি-ইন এড প্রশিক্ষণ দেওয়া: সি-ইন এড (Continuous Professional Development for Teachers) একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ হলেও, উপজেলা রিসোর্স সেন্টার শুধুমাত্র বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। সি-ইন এড প্রশিক্ষণ একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারে, তবে এটি সেন্টারের মূল কার্যক্রমের অংশ নয়।
উপজেলা রিসোর্স সেন্টার গঠন শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে, যাতে তারা তাদের শিক্ষাদানে আরও দক্ষ ও কার্যকর হতে পারেন।
0
Updated: 23 hours ago
পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন খনিজ পদার্থ কোনটি?
Created: 1 week ago
A
লৌহ
B
ইস্পাত
C
হীরক
D
পাথর
পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন খনিজ পদার্থ হলো হীরক ডায়মন্ড)। এটি কার্বনের একটি স্ফটিক রূপ এবং মোহস কঠিনতা স্কেলে এর মান সর্বোচ্চ ১০, যা একে সবচেয়ে কঠিন করে তোলে।
0
Updated: 1 week ago
“অরুণ আলো” ও “রাঙা প্রভাত” কী?
Created: 1 week ago
A
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধ জাহাজ
B
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুটি উড়োজাহাজ
C
নতুন দুটি পিকনিক স্পট
D
দুটি যাত্রীবাহী জাহাজ
“অরুণ আলো” ও “রাঙা প্রভাত” হলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুটি উড়োজাহাজের নাম। এই উড়োজাহাজগুলো বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার সিরিজের অন্তর্ভুক্ত এবং আধুনিক প্রযুক্তি ও আরামদায়ক যাত্রার জন্য সুপরিচিত।
0
Updated: 1 week ago