বাংলাদেশ তার শততম টেস্ট কোন দেশের বিপক্ষে জেতে?
A
শ্রীলংকা
B
ইংল্যান্ড
C
ভারত
D
পাকিস্তান
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে শততম টেস্ট ম্যাচটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত ছিল, কারণ এই ম্যাচে দলটি প্রথমবারের মতো এমন একটি মাইলফলকে পৌঁছে জয়লাভ করেছিল। প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলংকা, আর এই জয় বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে নতুন আত্মবিশ্বাস ও গৌরবের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। নিচে এই ঘটনার বিস্তারিত ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো।
• ম্যাচের সময় ও স্থান: বাংলাদেশ তার শততম টেস্ট ম্যাচটি খেলে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল শ্রীলংকার কলম্বোর পি. সারা ওভালে।
• ম্যাচের ফলাফল: এই ম্যাচে বাংলাদেশ শ্রীলংকাকে ৪ উইকেটে পরাজিত করে ইতিহাস গড়ে। এটি ছিল বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের অন্যতম উল্লেখযোগ্য টেস্ট জয়।
• অধিনায়ক ও নেতৃত্ব: ম্যাচটিতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন মুশফিকুর রহিম। তার অধীনে দলটি দারুণ সমন্বয় ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলেছিল।
• উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স: এই ম্যাচে তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, এবং মুশফিকুর রহিম ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এছাড়া বোলিংয়ে সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের অবদান ছিল অসাধারণ।
• ঐতিহাসিক গুরুত্ব: এটি ছিল বাংলাদেশের শততম টেস্ট এবং একই সঙ্গে বিদেশের মাটিতে তৃতীয় টেস্ট জয়। এই জয় প্রমাণ করে যে বাংলাদেশ আর শুধু সীমিত ওভারের দল নয়, বরং টেস্ট ক্রিকেটেও প্রতিযোগিতামূলক একটি দল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে শুরু করেছে।
• শ্রীলংকার বিপক্ষে পারফরম্যান্স: অতীতে শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশ সাধারণত দুর্বল অবস্থায় ছিল। কিন্তু এই ম্যাচে ব্যতিক্রম ঘটে, যা বাংলাদেশের ক্রিকেটে আত্মবিশ্বাসের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
• বিশ্ব ক্রিকেটে প্রতিক্রিয়া: এই ঐতিহাসিক জয়ের পর আন্তর্জাতিক মিডিয়া বাংলাদেশকে “emerging Test nation” হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ক্রিকেট বিশ্লেষকরাও এই জয়কে বাংলাদেশের পরিপক্বতার প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেন।
• পরিসংখ্যান অনুযায়ী অর্জন: ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়া বাংলাদেশের ১৭ বছরের যাত্রায় শততম টেস্টে জয় একটি অসাধারণ অর্জন ছিল। এটি ছিল তাদের মোট নবম টেস্ট জয়।
• মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব: এই জয়ের পর বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়, এবং পরবর্তী বছরগুলোতে তারা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষেও লড়াই করার মানসিকতা গড়ে তোলে।
সুতরাং, বাংলাদেশের শততম টেস্টে শ্রীলংকার বিপক্ষে এই জয় শুধু একটি ম্যাচ জয় নয়, বরং এটি ছিল দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এক গর্বিত অধ্যায়, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
0
Updated: 1 day ago
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোন দিনটিকে 'জাতীয় চা দিবস' হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে?
Created: 3 weeks ago
A
৪ মে
B
২১ মে
C
২২ জুন
D
২৪ জুন
জাতীয় চা দিবস সম্পর্কে তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এই দিবসের তারিখ ও প্রেক্ষাপট সম্প্রতি পরিবর্তিত হয়েছে। পূর্বে দেশের মধ্যে জাতীয় চা দিবস প্রতি বছর ৪ জুন পালন করা হতো, কিন্তু বর্তমানে এটি আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিবর্তন করা হয়েছে।
-
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ২১ মে 'জাতীয় চা দিবস' হিসেবে ঘোষণা করেছে।
-
১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জাতীয় চা পুরস্কার নীতিমালা, ২০২২ সংশোধনের মাধ্যমে এই দিবসের তারিখ পরিবর্তন করেছে।
-
এতদিন ৪ জুন জাতীয় চা দিবস পালন করা হতো।
-
নতুন তারিখটি আন্তর্জাতিক চা দিবসের সঙ্গে মিলিয়ে পরিবর্তন করা হয়েছে।
-
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর ২১ মে International Tea Day হিসেবে পালন করছে।
-
চা উৎপাদনকারী দেশগুলোও ২১ মে আন্তর্জাতিক চা দিবস পালন করে থাকে। বিশ্বের অন্যান্য চা উৎপাদনকারী দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশও এই দিনকে জাতীয় চা দিবস ঘোষণা করেছে।
0
Updated: 3 weeks ago
দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড
B
আরিস্টোফার্মা লিমিটেড
C
এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড
D
রেনাটা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড
এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ওষুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও দেশের অভ্যন্তরে মানসম্পন্ন ওষুধ সরবরাহের জন্য এটি ধারাবাহিকভাবে কাজ করে আসছে।
-
দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হলো এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)।
-
১৯৬২ সালে গভর্নমেন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস ল্যাবরেটরি (GPL) নামে কার্যক্রম শুরু করে।
-
১৯৭৯ সালে নাম পরিবর্তন করে ফার্মাসিউটিক্যালস প্রোডাকশন ইউনিট (PPU) রাখা হয়।
-
১৯৮৩ সালে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও মানসম্মত ওষুধ উৎপাদনের উদ্দেশ্যে এটি আধুনিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
সরকারি হাসপাতাল, সিভিল সার্জন অফিস, ইউনিসেফ, WHO, আইসিডিডিআরবিসহ বিভিন্ন সংস্থায় মানসম্পন্ন ওষুধ সরবরাহ করে।
-
এটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়।
0
Updated: 3 weeks ago
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে?
Created: 1 day ago
A
মসজিদ- মন্দিরের মাধ্যমে
B
দূরশিক্ষণের মাধ্যমে
C
কমিউনিটি স্কুলের মাধ্যমে
D
স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (BOU) মূলত দূরশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে। এটি একটি বিশেষ শিক্ষা ব্যবস্থা যা ছাত্রদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে পড়াশোনা করার সুযোগ দেয়। এই পদ্ধতিতে ছাত্ররা কোনো নির্দিষ্ট সময় এবং স্থানে উপস্থিত না থেকেও শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, যা তাদের সুবিধাজনক। এই শিক্ষা পদ্ধতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষত শহর বা গ্রামে, যেখানে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহজে পৌঁছানো সম্ভব নয়, সেখানে বিশেষভাবে কার্যকরী।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর মাধ্যমে দূরশিক্ষণের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, যা সারা দেশব্যাপী ছড়িয়ে আছে। এই পদ্ধতিতে পাঠ্যক্রম সরাসরি ক্যাম্পাস বা শ্রেণীকক্ষে যাওয়ার প্রয়োজন ছাড়াই সম্পন্ন করা হয়। এই পদ্ধতির কিছু বৈশিষ্ট্য:
-
সুবিধাজনক সময়সূচি: শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের সময়সূচি অনুযায়ী পড়াশোনা করতে পারে, যার ফলে কর্মজীবী বা অন্যান্য ব্যস্ত ব্যক্তি সহজেই তাদের শিক্ষাজীবন পরিচালনা করতে পারে।
-
শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে দূরত্ব: ছাত্ররা সরাসরি কোনো শিক্ষক বা শিক্ষিকার সাথে দেখা না করে লেখাপড়া করতে পারে, তবে যোগাযোগের জন্য বিভিন্ন মাধ্যম যেমন টেলিফোন, ইমেইল, ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়।
-
টেলিভিশন এবং রেডিও শিক্ষণ: দূরশিক্ষণের মাধ্যমে পাঠদান শুধু পাঠ্যপুস্তক এবং শ্রেণীকক্ষে নয়, বরং টেলিভিশন ও রেডিও মাধ্যমেও হতে পারে।
-
অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা: এই পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা, যারা শহরে বসবাস না করে, তারা সহজে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
-
ফ্লেক্সিবল শিক্ষণ: পাঠ্যক্রমের গতি ও সময়সূচি এতটাই নমনীয় থাকে যে, ছাত্ররা কাজকর্ম বা অন্যান্য দায়িত্বের পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দূরশিক্ষণ পদ্ধতি শিক্ষার বিস্তৃতিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। এটি শুধু শহুরে শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বরং গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।
এই পদ্ধতিতে ব্যবহৃত পাঠ্যবই, ভিডিও ক্লাস, অনলাইন লেকচার, এবং অন্যান্য শিক্ষামূলক উপকরণ শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত শিক্ষা প্রদান করে এবং তাদের একাডেমিক ও পেশাগত জীবনে সফল হতে সাহায্য করে।
0
Updated: 1 day ago