শব্দের তীব্রতা পরিমাপক একক কোনটি?
A
Hz
B
db
C
Ꞷm^-2
D
Ꞷm^-1
উত্তরের বিবরণ
শব্দের তীব্রতা বোঝাতে ব্যবহৃত হয় এমন একটি নির্দিষ্ট একক হলো ডেসিবেল (dB)। এটি শব্দের জোর বা শক্তি প্রকাশের একটি আপেক্ষিক পরিমাপ, যা মানুষের শ্রবণ ক্ষমতার সীমার সঙ্গে তুলনা করে নির্ধারিত হয়। নিচে শব্দের তীব্রতা ও এর একক সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো।
• ডেসিবেল (dB) হলো শব্দের তীব্রতা বা শব্দচাপ পরিমাপের একক। এটি একটি লগারিদমিক একক, অর্থাৎ শব্দের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে ডেসিবেল মান দ্রুতগতিতে বাড়ে।
• শব্দের তীব্রতা নির্ণয় করা হয় সূত্র L = 10 log₁₀ (I/I₀) দ্বারা, যেখানে L হলো শব্দের তীব্রতা (dB), I হলো প্রকৃত শব্দতীব্রতা এবং I₀ হলো শ্রবণসীমায় সর্বনিম্ন তীব্রতা (সাধারণত 10⁻¹² W/m²)।
• মানুষের কানে শোনা যায় এমন শব্দের তীব্রতার সীমা প্রায় 0 dB থেকে 140 dB পর্যন্ত। এর নিচে শব্দ শোনা যায় না, আর এর উপরে শব্দ বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
• 0 dB মানে সম্পূর্ণ নীরবতা নয়; এটি শুধু মানুষের কানে শোনা যায় এমন সবচেয়ে ক্ষীণ শব্দের তীব্রতা নির্দেশ করে।
• 60–70 dB তীব্রতার শব্দকে সাধারণ কথোপকথনের সমান ধরা হয়। 90 dB বা তার বেশি তীব্রতার শব্দ দীর্ঘক্ষণ শুনলে কানের ক্ষতি হতে পারে।
• বিভিন্ন শব্দের তীব্রতা উদাহরণস্বরূপ:
– পাতা ঝরার শব্দ: প্রায় 10 dB
– সাধারণ কথোপকথন: প্রায় 60 dB
– মোটরগাড়ির হর্ণ: 90–100 dB
– জেট বিমানের ইঞ্জিন: 120–140 dB
• অন্যদিকে, Hz (হার্টজ) এককটি শব্দের কম্পাঙ্ক বা ফ্রিকোয়েন্সি মাপার জন্য ব্যবহৃত হয়, যা প্রতি সেকেন্ডে কতবার কম্পন হচ্ছে তা বোঝায়। তাই এটি শব্দের তীব্রতার একক নয়।
• Ꞷm⁻² (ওয়াট প্রতি বর্গমিটার) হলো শব্দশক্তির ঘনত্ব বা প্রকৃত তীব্রতার একক, কিন্তু দৈনন্দিন ব্যবহারে মানুষের শ্রবণ অনুভূতির সঙ্গে মিলিয়ে তুলনামূলকভাবে dB ব্যবহার করা হয়।
• শব্দের তীব্রতা ও কম্পাঙ্কের পার্থক্য বোঝা গুরুত্বপূর্ণ: কম্পাঙ্ক শব্দের উচ্চতা (pitch) নির্ধারণ করে, আর তীব্রতা নির্ধারণ করে শব্দের জোর (loudness)।
• মানুষের কানে তীব্র শব্দ বেশি সময় পড়লে কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে। তাই 85 dB-এর উপরের শব্দে দীর্ঘ সময় থাকা ক্ষতিকর বলে বিবেচিত।
সব মিলিয়ে বলা যায়, শব্দের শক্তি বা জোর পরিমাপের একক হলো ডেসিবেল (dB), যা শ্রবণ নিরাপত্তা, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং শব্দপ্রযুক্তি বিশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 1 day ago
বলের একক কী?
Created: 1 week ago
A
জুল
B
ক্যালরি
C
নিউটন
D
অশ্বশক্তি
বলের একক নির্ধারণ করা হয়েছে ইংরেজ বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনের নামে। বলের মাধ্যমে কোনো বস্তুর গতিবেগ পরিবর্তন বা স্থান পরিবর্তন ঘটে। এটি পদার্থবিজ্ঞানের একটি মৌলিক রাশি যা বস্তুর গতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বলের মান ও দিক—দুটিই নির্ধারক, তাই এটি একটি ভেক্টর রাশি। নিচে বল ও তার একক সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো।
-
বলের সংজ্ঞা: বল হলো এমন একটি ভৌত রাশি যা কোনো বস্তুকে ত্বরিত করে বা তার অবস্থান পরিবর্তন ঘটায়।
-
বলের সূত্র: বল = ভর × ত্বরণ (F = m × a)
-
বলের একক: বলের এসআই একক হলো নিউটন (N)।
-
এক নিউটন বলের অর্থ: যদি ১ কেজি ভরের বস্তুকে ১ মিটার/সেকেন্ড² ত্বরণ দিতে হয়, তবে প্রয়োগিত বলের মান হবে ১ নিউটন।
-
CGS একক: বলের CGS একক হলো ডাইন (dyne)। ১ নিউটন = ১০⁵ ডাইন।
-
এককের উৎস: বলের এসআই এককটি স্যার আইজ্যাক নিউটনের নামানুসারে নির্ধারণ করা হয়, কারণ তিনিই প্রথম নিউটনের গতিসূত্রের মাধ্যমে বল, ভর, ও ত্বরণের সম্পর্ক প্রকাশ করেন।
-
সম্পর্কিত এককগুলো:
-
জুল (Joule): শক্তি ও কাজের একক।
-
অশ্বশক্তি (Horsepower): ক্ষমতার একক, যা কাজ সম্পাদনের হার নির্দেশ করে।
-
ক্যালরি (Calorie): তাপের একক, যা তাপশক্তির পরিমাপে ব্যবহৃত হয়।
-
-
বলের ধরণ: বলের নানা প্রকার রয়েছে—যেমন মাধ্যাকর্ষণ বল, ঘর্ষণ বল, চৌম্বক বল, বৈদ্যুতিক বল ইত্যাদি।
-
প্রয়োগক্ষেত্র: বলের ধারণা প্রকৌশল, যন্ত্রবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
প্রাকৃতিক উদাহরণ: পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরে মাধ্যাকর্ষণ বলের কারণে; কোনো বস্তু নিচে পড়ে এই বলের প্রভাবে; গাড়ি চলতে ঘর্ষণ বলের ভূমিকা থাকে।
সবশেষে বলা যায়, বল পদার্থবিজ্ঞানের এমন একটি মৌলিক রাশি যা বস্তুর গতি ও শক্তির সম্পর্ক নির্ধারণ করে, আর এর আন্তর্জাতিক একক হলো নিউটন (N)।
0
Updated: 1 week ago
রোধের এস.আই একক কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ভোল্ট
B
ও'ম
C
সিমেন্স
D
অ্যাম্পিয়ার
রোধ (Resistance):
-
বিদ্যুৎ প্রবাহ তৈরি হয় ইলেকট্রনের প্রবাহের জন্য।
-
কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তে বিভব পার্থক্য থাকলে এই প্রবাহ শুরু হয়।
-
এ ক্ষেত্রে ইলেকট্রন নিম্ন বিভব থেকে উচ্চ বিভবের দিকে প্রবাহিত হয়।
-
ইলেকট্রন পরিবাহীর ভেতর দিয়ে চলার সময় অণু-পরমাণুর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
-
সংঘর্ষের কারণে ইলেকট্রনের গতি বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ বিঘ্নিত হয়।
-
পরিবাহীর এই বাধাদানের ধর্মকে রোধ (Resistance) বলে।
-
রোধের এস.আই. একক হলো ওম (Ω)।
-
সংজ্ঞা: কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তে বিভব পার্থক্য ১ ভোল্ট এবং এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ ১ অ্যাম্পিয়ার হলে, ঐ পরিবাহীর রোধ হবে ১ ওম।
অন্যদিকে:
-
তড়িৎ প্রবাহের একক → অ্যাম্পিয়ার (A)
-
তড়িৎ পরিবাহিতার একক → সিমেন্স (S)
-
বিভব পার্থকের একক → ভোল্ট (V)
উৎস: বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
কোনটি মৌলিক রাশির একক?
Created: 3 weeks ago
A
ওয়াট
B
জুল
C
কিলোগ্রাম
D
নিউটন
মৌলিক রাশি হলো এমন রাশি যা স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং অন্য কোনো রাশির উপর নির্ভরশীল নয়, বরং অন্যান্য সব ভৌত রাশি এই মৌলিক রাশিগুলোর উপর নির্ভর করে গঠিত হয়। এগুলো পদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তি রাশি হিসেবে বিবেচিত।
-
মৌলিক রাশি মোট সাতটি।
এগুলো হলো:
১। দৈর্ঘ্য (Length)
২। ভর (Mass)
৩। সময় (Time)
৪। তাপমাত্রা (Temperature)
৫। তড়িৎ প্রবাহ (Electric current)
৬। দীপন তীব্রতা (Luminous intensity)
৭। পদার্থের পরিমাণ (Amount of substance)
মৌলিক একক হলো এই মৌলিক রাশিগুলোর পরিমাপক একক, যা আন্তর্জাতিকভাবে এস.আই. একক পদ্ধতিতে (SI Units) নির্ধারিত।
-
দৈর্ঘ্যের একক — মিটার (m)
-
ভরের একক — কিলোগ্রাম (kg)
-
সময়ের একক — সেকেন্ড (s)
-
তাপমাত্রার একক — কেলভিন (K)
-
তড়িৎ প্রবাহের একক — অ্যাম্পিয়ার (A)
-
দীপন তীব্রতার একক — ক্যান্ডেলা (cd)
-
পদার্থের পরিমাণের একক — মোল (mol)
এসব মৌলিক রাশি ও এককের মাধ্যমে অন্যান্য উৎপন্ন রাশি (Derived quantities) যেমন — বেগ, ত্বরণ, বল, কাজ, ক্ষমতা ইত্যাদি নির্ণয় করা হয়।
0
Updated: 3 weeks ago