ILO এর সদর দপ্তর কোথায়?
A
London
B
Berlin
C
Geneva
D
Paris
উত্তরের বিবরণ
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বা ILO (International Labour Organization) হলো জাতিসংঘের একটি বিশেষ সংস্থা যা বিশ্বের শ্রমিকদের অধিকার, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে। এই সংস্থার সদর দপ্তর অবস্থিত সুইজারল্যান্ডের জেনেভা (Geneva) শহরে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এটি বিশ্বব্যাপী শ্রম ও কর্মসংস্থান সম্পর্কিত নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
• ILO প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৯ সালে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে। এটি পরবর্তীতে ১৯৪৬ সালে জাতিসংঘের একটি সংস্থা হিসেবে যুক্ত হয়।
• এর সদর দপ্তর জেনেভায় স্থাপন করার মূল কারণ হলো— জেনেভা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এবং বহু আন্তর্জাতিক সংস্থার অফিস এই শহরে অবস্থিত।
• ILO–র মূল উদ্দেশ্য হলো শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষা, কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং শ্রম ও উৎপাদনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা।
• বর্তমানে ILO–এর সদস্য দেশ সংখ্যা ১৮৭টি, যার মধ্যে বাংলাদেশও একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে এই সংস্থার সদস্য হয় এবং এরপর থেকে শ্রম আইন ও শ্রম নিরাপত্তা বিষয়ে নানা সহযোগিতা পেয়ে আসছে।
• ILO–এর মূল অঙ্গ তিনটি — আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলন (International Labour Conference), পরিচালনা পর্ষদ (Governing Body), এবং আন্তর্জাতিক শ্রম অফিস (International Labour Office)। সদর দপ্তর থেকে এই অফিসগুলোর কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
• ILO–এর প্রতীকী স্লোগান হলো “Social Justice for All” অর্থাৎ সবার জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার। এই নীতির মাধ্যমেই তারা কর্মক্ষেত্রে সমতা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।
• সংস্থাটি প্রতি বছর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনভেনশন বা শ্রম বিষয়ক চুক্তি প্রণয়ন করে, যা সদস্য দেশগুলো স্বাক্ষর করে নিজ দেশে প্রয়োগ করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, শিশু শ্রম নিষিদ্ধকরণ, নারীদের সমান মজুরি, ও শ্রমিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত কনভেনশনগুলো বিশ্বব্যাপী পরিচিত।
• জেনেভায় অবস্থিত সদর দপ্তরে ILO–র ডিরেক্টর–জেনারেল পুরো সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ২০২২ সালে Gilbert F. Houngbo এই পদে নিযুক্ত হন।
• ILO ১৯৬৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করে মানবাধিকারের উন্নয়ন ও বিশ্বশ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার অবদানের জন্য।
সব মিলিয়ে বলা যায়, ILO–এর সদর দপ্তর জেনেভায় অবস্থিত হওয়ায় এটি বিশ্বের শ্রমনীতি নির্ধারণ ও আন্তর্জাতিক শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নের কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সংস্থা বিশ্বব্যাপী শ্রমিক কল্যাণের প্রতীক হিসেবে পরিচিত।
0
Updated: 1 day ago
ভিয়েনা কনভেনশন-১৯৬১ এর প্রধান উদ্দেশ্য কী
Created: 2 months ago
A
কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা
B
যুদ্ধবিরতি চুক্তি গঠন
C
সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি
D
বাণিজ্য চুক্তি প্রতিষ্ঠা
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
ILO-International Labour Organisation
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিভাষা
ভিয়েনা কনভেনশন-১৯৬১
-
চুক্তির নাম: Vienna Convention on Diplomatic Relations
-
উদ্দেশ্য: স্বাগতিক দেশকে কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা প্রদান।
-
গৃহীত হয়: ১৮ এপ্রিল ১৯৬১
-
কার্যকর হয়: ২৪ এপ্রিল ১৯৬৪
-
স্থান: ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া
-
ধারা: ভিয়েনা কনভেনশনে মোট ৫৩টি ধারা রয়েছে।
-
চুক্তি লঙ্ঘন: কোনো দেশ যদি এই ধারার বিরুদ্ধে কাজ করে, তবে সেটিকে ‘চুক্তির বরখেলাপ’ হিসেবে গণ্য করা হয়।
-
সাক্ষর: ১৯৬৫ সালে ভারত, এবং ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ এই চুক্তিতে সই করে।
মূল উদ্দেশ্য:
-
রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও পরিচালনার নিয়ম নির্ধারণ করা।
-
কূটনীতিকদের অধিকার ও দায়িত্ব স্পষ্ট করা।
-
কূটনৈতিক মিশন এবং কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
উৎস: জাতিসংঘ ওয়েবসাইট
0
Updated: 2 months ago
আইএলও-র সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
Created: 3 months ago
A
লন্ডন
B
জেনেভা
C
নিউইয়র্ক
D
দিল্লী
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO)
-
ILO-এর পূর্ণরূপ হলো International Labour Organization (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা)।
-
এটি ১৯১৯ সালে ভার্সাই চুক্তির মাধ্যমে গঠিত হয়।
-
১৯৪৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর, ILO জাতিসংঘের প্রথম বিশেষায়িত সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
-
এর সদরদপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে।
-
বর্তমানে ILO-এর মোট সদস্য দেশের সংখ্যা ১৮৭টি।
-
সংস্থার বর্তমান মহাপরিচালকের নাম গিলবার্ট হোংবো।
-
১৯৬৯ সালে, ILO নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করে।
🔹 বাংলাদেশ ILO-এর সদস্যপদ পায় ১৯৭২ সালের ২২ জুন।
🔹 ২০২৪ সালের জুন মাসে, ১১২তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলন জেনেভায় অনুষ্ঠিত হয়।
🔹 বাংলাদেশ তিন বছরের জন্য ILO-এর পরিচালনা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ILO অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
0
Updated: 3 months ago