Digital Data is a combination of-
A
Current
B
Voltage
C
1 and 2
D
None
উত্তরের বিবরণ
ডিজিটাল ডেটা হলো এমন এক ধরনের তথ্য যা বাইনারি সংখ্যা 0 এবং 1 দ্বারা প্রকাশিত হয়। এটি কোনোভাবেই কেবলমাত্র কারেন্ট বা ভোল্টেজের সমন্বয় নয়, বরং সেগুলোর মাধ্যমে তথ্য প্রেরণ বা সংরক্ষণ করা হয়। ডিজিটাল সিস্টেমে এই তথ্য বৈদ্যুতিক সংকেত হিসেবে রূপ নেয়, কিন্তু তথ্যের মূল গঠন সবসময় 0 ও 1 এই দুই প্রতীকের মাধ্যমে হয়। নিচে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
• ডিজিটাল ডেটা হলো তথ্যের এমন একটি রূপ যা ধারাবাহিক নয় বরং বিচ্ছিন্ন বা ধাপযুক্ত মানে প্রকাশিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, কম্পিউটার, মোবাইল, মাইক্রোপ্রসেসর ইত্যাদি সবই ডিজিটাল ডেটা ব্যবহার করে কাজ করে।
• এই ডেটা বাইনারি সিস্টেমে প্রকাশিত হয় যেখানে শুধুমাত্র দুটি মান থাকে—0 এবং 1। এখানে 0 নির্দেশ করে “off” বা “no current”, আর 1 নির্দেশ করে “on” বা “presence of current।”
• যদিও ডিজিটাল সার্কিটে কারেন্ট ও ভোল্টেজ ব্যবহৃত হয়, তবুও এগুলো কেবল সংকেত পরিবহনের মাধ্যম, তথ্যের নিজস্ব অংশ নয়। তাই বলা যায় ডিজিটাল ডেটা কারেন্ট বা ভোল্টেজের সমন্বয় নয়, বরং তাদের মাধ্যমে বহন করা বাইনারি মানগুলোর সমষ্টি।
• অ্যানালগ ডেটা হলো ডিজিটাল ডেটার বিপরীত, যেখানে তথ্য ধারাবাহিকভাবে পরিবর্তিত হয়, যেমন শব্দ তরঙ্গ বা তাপমাত্রা। কিন্তু ডিজিটাল ডেটায় মান পরিবর্তন হয় নির্দিষ্ট ধাপে, যা কম্পিউটারের জন্য সহজবোধ্য।
• কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসে ডেটা সংরক্ষণের সময় সব তথ্য, যেমন ছবি, শব্দ, টেক্সট ইত্যাদি—সবকিছুই শেষ পর্যন্ত বাইনারি ফরম্যাটে রূপান্তরিত হয়।
• ডিজিটাল ডেটার এই প্রক্রিয়াটি ইলেকট্রনিক সার্কিটের লজিক গেট (AND, OR, NOT ইত্যাদি)-এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়, যা 0 ও 1 এর সংমিশ্রণে বিভিন্ন নির্দেশ তৈরি করে।
• তাই যখন বলা হয় "Digital Data is a combination of Current and Voltage", সেটি ভুল। কারণ, কারেন্ট ও ভোল্টেজ কেবলমাত্র ডেটা স্থানান্তরের বাহক, কিন্তু ডেটার মূল গঠন একান্তই বাইনারি সংখ্যা দ্বারা নির্ধারিত।
• এই কারণেই সঠিক উত্তর “None”, অর্থাৎ ডিজিটাল ডেটা কারেন্ট বা ভোল্টেজের সমন্বয় নয়, বরং 0 ও 1 এর সমন্বয়ে তৈরি একটি বাইনারি সিস্টেমভিত্তিক তথ্যরূপ।
0
Updated: 1 day ago
শিক্ষার সর্বাপেক্ষা নতুন ধারণা কোনটি?
Created: 14 hours ago
A
ধারাবাহিক মূল্যায়ন
B
ই-লানিং
C
কারিগরি শিক্ষা
D
সৃজনশীল মূল্যায়ন
শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তির সংযোজন এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যার অন্যতম উদ্ভাবন হলো ই-লার্নিং। এটি এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেটের সাহায্যে যেকোনো সময় ও স্থান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। আধুনিক যুগের তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থায় ই-লার্নিং শিক্ষার সর্বাপেক্ষা নতুন ও কার্যকর ধারণা হিসেবে বিবেচিত।
-
ই-লার্নিং শব্দটি এসেছে “Electronic Learning” থেকে, যার অর্থ ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ। এখানে পাঠদানের জন্য কম্পিউটার, ট্যাব, মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহৃত হয়।
-
এটি শিক্ষার্থীদের বইয়ের সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করে এবং তাদের বিশ্বজুড়ে থাকা জ্ঞান ও তথ্যের সঙ্গে যুক্ত করে।
-
ই-লার্নিং পদ্ধতিতে ভিডিও লেকচার, অনলাইন কোর্স, অডিও ক্লাস, ডিজিটাল কনটেন্ট, এবং ইন্টারঅ্যাকটিভ কুইজের মাধ্যমে শেখার সুযোগ থাকে।
-
এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীকে নিজের গতি অনুযায়ী শেখার সুযোগ দেয়, যা প্রচলিত শ্রেণিকক্ষ শিক্ষার তুলনায় অনেক বেশি নমনীয়।
-
বর্তমান যুগে যেমন Coursera, edX, Udemy, Khan Academy ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মগুলো ই-লার্নিংয়ের সফল উদাহরণ, তেমনি বাংলাদেশেরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইন কোর্স পরিচালনা করছে।
-
ই-লার্নিং শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করে, কারণ এটি শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়ের জন্যই সময়, স্থান ও সুযোগের বাধা কমিয়ে আনে।
-
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির সময় ই-লার্নিং শিক্ষার একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা রেখেছিল, যা এর কার্যকারিতা আরও প্রমাণ করে।
-
এছাড়া ই-লার্নিং শিক্ষাকে গণতান্ত্রিক করে তুলেছে—অর্থাৎ প্রত্যেক ব্যক্তি, বয়স বা অবস্থান নির্বিশেষে, শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে।
-
এই শিক্ষাপদ্ধতি আজীবন শিক্ষা (Lifelong Learning)-এর ধারণাকেও বাস্তবায়ন করে, কারণ মানুষ চাকরি বা অন্যান্য দায়িত্বের পাশাপাশি নিজের দক্ষতা উন্নত করতে পারে অনলাইন মাধ্যমে।
-
ই-লার্নিং কেবল সাধারণ শিক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, বরং কারিগরি, পেশাগত ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ধারাবাহিক মূল্যায়ন, কারিগরি শিক্ষা ও সৃজনশীল মূল্যায়ন শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলেও এগুলো নতুন ধারণা নয়। ধারাবাহিক মূল্যায়ন শিক্ষার্থীর নিয়মিত পারফরম্যান্স মূল্যায়নের একটি পুরনো পদ্ধতি; কারিগরি শিক্ষা মূলত দক্ষতা অর্জনের প্রশিক্ষণধর্মী শিক্ষা, যা বহুদিন ধরে প্রচলিত; আর সৃজনশীল মূল্যায়ন বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রবর্তিত হলেও এটি ই-লার্নিংয়ের মতো বৈপ্লবিক নয়।
সুতরাং, প্রযুক্তিনির্ভর, বিশ্বব্যাপী, নমনীয় ও আজীবন শিক্ষার সুযোগ প্রদানকারী ই-লার্নিংই শিক্ষার সর্বাপেক্ষা নতুন ধারণা।
0
Updated: 14 hours ago
http এর পূর্ণরূপ কি?
Created: 1 week ago
A
Hyper Text Translate Program
B
Hyper Transfer Text Protocol
C
Hyper Text Transfer Protocol
D
High Text Transfer Page
ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার সময় আমরা প্রায়ই “http” বা “https” শব্দটি দেখি। এটি আসলে একটি প্রোটোকল বা নিয়মাবলির সমষ্টি, যা ওয়েব সার্ভার ও ব্রাউজারের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের কাজটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করে। নিচে http সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তালিকা আকারে তুলে ধরা হলো—
• পূর্ণরূপ: HTTP এর পূর্ণরূপ হলো Hyper Text Transfer Protocol। এটি ওয়েব ব্রাউজার এবং সার্ভারের মধ্যে ডেটা বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম।
• মূল উদ্দেশ্য: HTTP ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওয়েবপেজ, ছবি, ভিডিও, টেক্সট এবং অন্যান্য তথ্য পাঠানো ও গ্রহণ করা হয়। এটি নির্ধারণ করে কীভাবে ডেটা ফরম্যাট হবে এবং কীভাবে এক কম্পিউটার থেকে আরেক কম্পিউটারে পাঠানো হবে।
• Hyper Text অর্থ: "Hyper Text" বলতে বোঝায় এমন লেখা যা অন্য ডকুমেন্ট বা ওয়েবপেজের সঙ্গে লিঙ্কযুক্ত থাকে। অর্থাৎ, একটি লিঙ্কে ক্লিক করলে অন্য পৃষ্ঠায় চলে যাওয়া যায়।
• Transfer Protocol অর্থ: এটি হলো তথ্য আদান-প্রদানের নিয়ম বা পদ্ধতি। তাই HTTP মূলত একটি নিয়মের সেট, যা সার্ভার ও ক্লায়েন্টের মধ্যে তথ্য স্থানান্তর নিয়ন্ত্রণ করে।
• কার্যপ্রণালী: যখন কোনো ব্যবহারকারী ব্রাউজারে একটি ওয়েব ঠিকানা টাইপ করেন (যেমন, http://example.com), তখন ব্রাউজারটি সার্ভারে একটি HTTP রিকোয়েস্ট পাঠায়। সার্ভার সেই অনুরোধ অনুযায়ী তথ্য পাঠিয়ে দেয়, যা ব্রাউজারে প্রদর্শিত হয়।
• উৎপত্তি: HTTP প্রোটোকলটি তৈরি করেন টিম বার্নার্স-লি (Tim Berners-Lee) ১৯৮৯ সালে, যিনি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW)-এর জনক হিসেবে পরিচিত।
• সংস্করণ: প্রথম দিকের সংস্করণ ছিল HTTP/0.9, পরে HTTP/1.0, HTTP/1.1 এবং সর্বশেষ HTTP/2 ও HTTP/3 সংস্করণ চালু হয়েছে, যা আরও দ্রুত ও নিরাপদভাবে ডেটা পরিবহনে সাহায্য করে।
• HTTP ও HTTPS পার্থক্য: HTTP সাধারণ তথ্য স্থানান্তর করে, কিন্তু HTTPS (Hyper Text Transfer Protocol Secure) নিরাপদ তথ্য বিনিময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। HTTPS-এ SSL/TLS এনক্রিপশন ব্যবহৃত হয়, যা ডেটাকে হ্যাকিং থেকে রক্ষা করে।
• গুরুত্ব: ইন্টারনেটের প্রতিটি ওয়েবসাইট ও ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন HTTP বা HTTPS প্রোটোকলের উপর নির্ভর করে। এটি ছাড়া ওয়েব ব্রাউজিং বা ওয়েবপেজ প্রদর্শন সম্ভব নয়।
তাই বলা যায়, HTTP হলো ইন্টারনেট যোগাযোগের ভিত্তি। এটি এমন একটি প্রোটোকল, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী ও ওয়েব সার্ভারের মধ্যে তথ্যের সঠিক প্রবাহ ঘটে এবং বিশ্বজুড়ে ওয়েব কনটেন্টে সহজে প্রবেশ করা যায়।
0
Updated: 1 week ago