বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু কবে চালু হয়?
A
১৯৯৯ সালে
B
১৯৯৮ সালে
C
২০০০ সালে
D
১৯৯৭ সালে
উত্তরের বিবরণ
বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য প্রকৌশল কীর্তি, যা দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করেছে। এই সেতুটি ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে দেশের উন্নয়নযাত্রায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়।
-
বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের বৃহত্তম নদী যমুনার ওপর নির্মিত, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৪.৮ কিলোমিটার। এটি ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সরাসরি সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপন করেছে।
-
সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৯৪ সালের ১০ জুলাই, এবং প্রায় চার বছর ধরে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (JICA)-এর সহায়তায় কাজ সম্পন্ন হয়।
-
সেতুর নকশা ও বাস্তবায়নে দায়িত্বে ছিল জাপানের Nippon Koei Co. Ltd. এবং নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে Hyundai Engineering and Construction Company।
-
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য ছিল দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে দ্রুত পণ্য পরিবহন, সময় ও খরচ হ্রাস, এবং জাতীয় অর্থনীতিকে একীভূত করা।
-
সেতুটি সড়ক, রেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও টেলিকম লাইন বহনের সুবিধাসহ বহুমুখী ব্যবস্থায় গড়ে তোলা হয়, এজন্য এর নামকরণ করা হয় “বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু”।
-
এটি বাংলাদেশের প্রথম সেতু যেখানে একসাথে রেললাইন ও সড়কপথ রয়েছে।
-
সেতুটি দেশের উত্তরাঞ্চলের কৃষিপণ্য, যেমন চাল, পাট, সবজি, ও অন্যান্য পণ্য দ্রুত ঢাকায় পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি করে।
-
সেতুর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি বছরে আনুমানিক ২০,০০০ কোটি টাকারও বেশি বাণিজ্যিক সুফল পাচ্ছে বলে বিভিন্ন জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে।
-
যমুনা নদীর তীব্র স্রোত, নরম মাটি ও ভূমিকম্প ঝুঁকির কারণে এটি নির্মাণ ছিল প্রকৌশলীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
-
সেতুর আনুষ্ঠানিক নামকরণ করা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে।
-
সেতুর উদ্বোধনের পর দেশের উত্তরাঞ্চলের শিল্পায়ন ও বাণিজ্যিক বিকাশে বড় ভূমিকা পালন করে এবং এটিকে দেশের অন্যতম অর্থনৈতিক প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
-
বর্তমানে এটি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্থাপনা, যা দেশের ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক একীকরণে মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃত।
অতএব, সঠিক উত্তর হলো ১৯৯৮ সাল, যেদিন বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন উন্নয়ন অধ্যায়ের দ্বার উন্মোচন করে।
0
Updated: 1 day ago
বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর কবে চালু হয়?
Created: 1 day ago
A
১৯৯৯ সালে
B
১৯৯৮ সালে
C
২০০ সালে
D
১৯৯৭ সালে
যমুনা বহুমুখী সেতু, যা বর্তমানে বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু নামে পরিচিত, বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম স্থাপনা এবং দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি সড়ক ও রেলপথ উভয়ের সংযোগ স্থাপন করে দেশের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলকে একীভূত করেছে।
-
সেতুটি যমুনা নদীর উপর অবস্থিত, যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী।
-
এর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার, যা নির্মাণকালীন সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দীর্ঘ সেতু ছিল।
-
নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয় ১৯৯৮ সালে।
-
এটি যমুনা নদীর পূর্ব তীরের ভূঞাপুর (ভুয়াপুর) ও পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে।
-
সেতুটি সড়ক, রেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগের সমন্বিত বহুমুখী অবকাঠামো হিসেবে পরিকল্পিত হয়।
-
এই সেতু দেশের পূর্ব-পশ্চিম অর্থনৈতিক ও সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করেছে।
-
সেতুর নির্মাণ বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধিতে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে।
0
Updated: 1 day ago
বঙ্গবন্ধু সেতুর দৈর্ঘ্য কত?
Created: 3 months ago
A
৪.৫ কিমি
B
৪.৮ কিমি
C
৫.২ কিমি
D
৬.২ কিমি
বঙ্গবন্ধু সেতু
- বঙ্গবন্ধু সেতু ১৯৯৮ সালের জুনে উন্মুক্ত করা হয়।
- এই সেতুর যমুনা নদীর পূর্ব পাড়ের ভুয়াপুর এবং পশ্চিম পাড়ে সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করেছে।
- এটি ১৯৯৮ সালে নির্মাণকালীন সময়ে পৃথিবীর ১১তম বৃহত্তম সেতু এবং বর্তমানে এটি দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ বৃহত্তম সেতু।
- এটি যমুনা নদীর উপর দিয়ে নির্মিত যা বাংলাদেশের প্রধান তিনটি সেতুর একটি এবং পানি প্রবাহের উপর ভিত্তি করে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম।
- সেতু দৈর্ঘ্য: ৪.৮ কি.মি.
তথ্যসূত্র - বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইট।
0
Updated: 3 months ago