‘ক্ষুধার্ত’ এর সন্ধি বিচ্ছেদ কি?
A
ক্ষুধা +ঋত
B
ক্ষুধ+ঋত
C
ক্ষুধা+আর্ত
D
ক্ষুধা+ত
উত্তরের বিবরণ
‘ক্ষুধার্ত’ শব্দের মূল অর্থ হলো যে ব্যক্তি ক্ষুধায় কাতর বা অত্যন্ত ক্ষুধিত। এই শব্দটির গঠন বুঝতে হলে এর সন্ধি বিচ্ছেদ জানতে হয়। এখানে মূল শব্দ দুটি হলো ক্ষুধা ও ঋত। এই দুটি শব্দ মিলিত হয়ে ক্ষুধার্ত হয়েছে। নিচে এর ব্যাখ্যা ধাপে ধাপে দেওয়া হলো।
-
‘ক্ষুধা’ শব্দটি সংস্কৃত ‘ক্ষুধ’ ধাতু থেকে গঠিত, যার অর্থ ক্ষুধা বা আহারের আকাঙ্ক্ষা।
-
‘ঋত’ শব্দটির অর্থ প্রাপ্ত বা লাভ করা। এখানে এটি প্রত্যয় নয়, বরং একটি পৃথক শব্দ যা যোগে নতুন অর্থ তৈরি করে।
-
দুটি শব্দ ক্ষুধা + ঋত একত্রে যুক্ত হলে ‘আ + ঋ’ সন্নিকটে আসায় স্বরসন্ধি ঘটে। স্বরসন্ধি সূত্র অনুযায়ী, আ + ঋ = আর্।
-
ফলে শব্দটি রূপান্তরিত হয়ে দাঁড়ায় ক্ষুধার্ত।
-
এখানে ‘আ’ ও ‘ঋ’ ধ্বনির মিশ্রণে নতুন ধ্বনি ‘আর্’ তৈরি হয়েছে, যা স্বরসন্ধির একটি সাধারণ রূপ।
-
‘ক্ষুধার্ত’ শব্দের অর্থ দাঁড়ায় ক্ষুধাগ্রস্ত ব্যক্তি বা যে প্রচণ্ড ক্ষুধায় কষ্ট পাচ্ছে।
-
এই শব্দটি বাংলা ব্যাকরণে স্বরসন্ধি-জাত উদাহরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যেখানে প্রথম শব্দের শেষে স্বরবর্ণ এবং দ্বিতীয় শব্দের শুরুতেও স্বরবর্ণ থাকে।
-
এখানে যদি অন্য বিকল্পগুলো দেখি, তবে—
-
খ) ক্ষুধ+ঋত — প্রথম শব্দে ‘আ’ বাদ পড়েছে, যা মূল শব্দ ‘ক্ষুধা’-এর সঠিক রূপ নয়।
-
গ) ক্ষুধা+আর্ত — এই দুটি শব্দ মিলে ‘ক্ষুধার্ত’ নয়, বরং ‘ক্ষুধার্ত’ শব্দটি অর্থের দিক থেকেও ভিন্ন।
-
ঘ) ক্ষুধা+ত — এখানে ‘ত’ কোনও শব্দ নয়; তাই এটি ভুল।
-
-
সুতরাং সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ হলো ক্ষুধা + ঋত = ক্ষুধার্ত।
-
শব্দটি বহু প্রাচীন ও সাহিত্যিক, এবং বাংলা কবিতা ও গদ্যে প্রায়ই ব্যবহৃত হয় যেমন— “ক্ষুধার্ত শিশুর কান্না থামে না।”
-
ভাষাগতভাবে এটি তৎসম শব্দ, কারণ এর উৎপত্তি সরাসরি সংস্কৃত থেকে।
-
ব্যাকরণ অনুযায়ী, এখানে ‘আ + ঋ = আর্’ এই সূত্রই শব্দগঠনের মূল নিয়ম প্রকাশ করে।
-
‘ক্ষুধার্ত’ শব্দের অনুরূপ আরও কিছু উদাহরণ হলো: তপ + ঋত = তপর্ত (তপস্বী), দয়া + আর্ত = দয়ার্ত, যেগুলোতেও একই ধরনের স্বরসন্ধি প্রয়োগ দেখা যায়।
অতএব, উপরের বিশ্লেষণ অনুযায়ী ‘ক্ষুধার্ত’ এর সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ হলো ‘ক্ষুধা + ঋত’, এবং এটি একটি স্বরসন্ধি জাত তৎসম শব্দ।
0
Updated: 1 day ago
ষড়ঋতু শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ-
Created: 4 months ago
A
ষড় + ঋতু
B
ষড়ু + ঋতু
C
ষট + ঋতু
D
ষট্ + ঋতু
‘ষড়ঋতু’ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ: ষট্ + ঋতু = ষড়ঋতু।
ষড়ঋতু শব্দটি এসেছে—
ষট্ + ঋতু = ষড়ঋতু
🔹 এখানে ‘ষট্’ শব্দের শেষে রয়েছে ব্যঞ্জন ধ্বনি ‘ট্’ এবং ‘ঋতু’ শব্দের শুরুতে রয়েছে স্বরধ্বনি ‘ঋ’।
🔹 ব্যঞ্জন ও স্বরধ্বনি মিলে যে সন্ধি গঠিত হয়, তাকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলে।
🔸 তাই, ‘ষড়ঋতু’ একটি ব্যঞ্জনসন্ধির উদাহরণ।
ব্যঞ্জনসন্ধির আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ
| সন্ধি রূপ | মূল শব্দ | সন্ধি ব্যাখ্যা |
|---|---|---|
| প্রাগুক্ত | প্রাক্ + উক্ত | ক্ + উ = গু |
| ণিজন্ত | ণিচ্ + অন্ত | চ্ + অ = জ |
| অজন্ত | অচ্ + অন্ত | চ্ + অ = জ |
| ষড়ঙ্গ | ষট্ + অঙ্গ | ট্ + অ = ড |
| ষড়ঋতু | ষট্ + ঋতু | ট্ + ঋ = ডৃ |
| ষড়ৈশ্বর্য | ষট্ + ঐশ্বর্য | ট্ + ঐ = ডৈ |
| ষড়ন | ষট্ + আনন | ট্ + আ = ড |
| সদর্থক | সৎ + অর্থক | ত্ + অ = দ |
| সদিচ্ছা | সৎ + ইচ্ছা | ত্ + ই = দ |
| মৃদঙ্গ | মৃৎ + অঙ্গ | ত্ + অ = দ |
| অবগ্নি | অপ্ + অগ্নি | প্ + অ = ব |
| অবিন্ধন | অপ্ + ইন্ধন | প্ + ই = ব |
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
উপরের প্রতিটি সন্ধিতে মূল দুটি শব্দের শেষে একটি ব্যঞ্জনধ্বনি এবং অপরটির শুরুতে একটি স্বরধ্বনি রয়েছে। এই মিলনে ব্যঞ্জনসন্ধি ঘটে।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
0
Updated: 4 months ago
দুর্যোগ’- এর সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
দুহঃ+যোগ
B
দুঃ+যোগ
C
দুর+যোগ
D
দুরঃ+যোগ
অ, আ ভিন্ন অন্য স্বরের পরে বিসর্গ থাকলে এবং তার সাথে য, র, ল, ব, হ - এর সন্ধি হলে বিসর্গ স্থানে 'র' হয়। যেমনঃ দুঃ + যোগ = দুর্যোগ।
0
Updated: 2 months ago
'সঞ্চয়' শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 1 hour ago
A
সন্ + চয়
B
সম্ + চয়
C
সঙ+চয়
D
সৎ + চয়
বাংলা ধ্বনিতত্ত্বে ম্-ধ্বনির নাসিক্য রূপ হলো একটি নিয়ম যা বলে, যদি ‘ম্’ এর পরে কোনো বর্গীয় ধ্বনি (ক, খ, গ, ঘ) আসে, তাহলে ম্ ধ্বনিটি সেই বর্গের নাসিক্য ধ্বনি হয়ে যায়।
-
উদাহরণসমূহ:
-
শম্ + কা → শঙ্কা
-
সম্ + চয় → সঞ্চয়
-
সম্ + তাপ → সন্তাপ
-
-
এই প্রক্রিয়ায় শব্দের উচ্চারণ স্বাভাবিক ও সহজ হয়ে ওঠে।
0
Updated: 1 hour ago