'ফিফা নীল' এর সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি?
A
ফিফা নীল যা
B
নীলের অভাব
C
ঈষৎ নীল
D
নীলের সদৃশ
উত্তরের বিবরণ
অব্যয়ীভাব সমাস হলো এমন একধরনের সমাস যেখানে পূর্বপদে অব্যয় যুক্ত হয়ে নতুন অর্থবোধক শব্দ গঠন করে, এবং সেই গঠনে অব্যয়ের অর্থই প্রধান ভূমিকা রাখে। এই সমাসে অব্যয় শব্দের সঙ্গে পরবর্তী পদ যুক্ত হয়ে একটি যৌগিক শব্দ সৃষ্টি হয়, যা বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে।
-
অব্যয়ীভাব সমাসে সাধারণত অব্যয় শব্দ + বিশেষণ/বিশেষ্য মিলিয়ে নতুন অর্থ গঠিত হয়।
-
এই সমাসে অব্যয় শব্দের অর্থই মুখ্য থাকে, আর দ্বিতীয় পদের অর্থ গৌণ।
-
উদাহরণ:
-
‘ফিফা নীল’ = ঈষৎ নীল (এখানে ‘ফিফা’ অব্যয়, অর্থাৎ সামান্য বা অল্প বোঝাচ্ছে)।
-
‘শহরের সাদৃশ’ = উপশহর (এখানে ‘উপ’ অব্যয়, যার অর্থ নিকট বা আশেপাশে)।
-
‘আমিষের অভাব’ = নিরামিষ (এখানে ‘নি’ অব্যয়, যার অর্থ অভাব বা বর্জন)।
-
-
এই সমাসে অব্যয়পদটি প্রধান থাকায় শব্দের অর্থ নির্ভর করে সেই অব্যয়ের ভাবের উপর।
-
ফলে, অব্যয়ীভাব সমাস বাংলা ব্যাকরণে অর্থগত পরিবর্তন ও নতুন শব্দ গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ রূপ।
0
Updated: 1 day ago
যৌগিক বাক্যের অন্যতম গুণ কী?
Created: 5 months ago
A
একটি জটিল ও একটি সরল বাক্যের সাহায্যে বাক্য গঠন
B
একটি সংযুক্ত ও একটি বিযুক্ত বাক্যের সাহায্যে বাক্য গঠন
C
দুটি সরল বাক্যের সাহায্যে বাক্য গঠন
D
দুটি মিশ্র বাক্যের সাহায্যে বাক্য গঠন
যৌগিক বাক্য কী?
যখন দুটি বা তার বেশি সরল অথবা মিশ্র বাক্য একসঙ্গে মিলিত হয়ে একটি সম্পূর্ণ অর্থপূর্ণ বাক্য গঠন করে, তখন তাকে যৌগিক বাক্য বলা হয়। সাধারণভাবে বলতে গেলে, যখন একাধিক স্বাধীন খণ্ডবাক্য যোজক শব্দ বা যতিচিহ্নের মাধ্যমে যুক্ত হয়, তখন সেগুলো মিলে একটি যৌগিক বাক্য তৈরি করে।
যৌগিক বাক্যের বৈশিষ্ট্য:
-
এতে দুটি বা ততোধিক খণ্ডবাক্য থাকে।
-
প্রতিটি খণ্ডবাক্য স্বাধীন, অর্থাৎ একটির ওপর অন্যটির নির্ভরতা থাকে না।
-
খণ্ডবাক্যগুলো যোজক শব্দ (যেমন: এবং, ও, আর, অথবা, কিন্তু, অথচ, সেজন্য, ফলে ইত্যাদি) অথবা কিছু যতিচিহ্ন (যেমন: কমা (,), সেমিকোলন (;), কোলন (:), ড্যাশ (−)) দ্বারা যুক্ত থাকে।
-
কখনো কখনো যোজক উহ্যও থাকতে পারে।
যোজক শব্দের উদাহরণ:
-
এবং, ও, আর, অথবা, কিংবা, কিন্তু, অথচ, সেজন্য, ফলে ইত্যাদি।
যৌগিক বাক্যের কিছু উদাহরণ:
-
হামিদ বই পড়ছে, আর সীমা রান্না করছে।
-
সে ভালো ফল করেছে, তাই আমরা আনন্দিত হয়েছি।
-
সে ঘর ঝাড়ু দিল, ঘর মুছল, তারপর পড়তে বসল।
-
অন্ধকার হয়ে এসেছে, অথচ সে এখনো বাসায় ফেরেনি।
-
তোমরা চেষ্টা করেছ, কিন্তু আশানুরূপ ফল পাওনি; এতে দোষের কিছু নেই।
সূত্র:
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 5 months ago
"তারা তোমাদের ভোলেনি।" - কোন ধরনের বাক্য?
Created: 1 month ago
A
অনুজ্ঞাবাচক বাক্য
B
আবেগবাচক বাক্য
C
বিবৃতিবাচক বাক্য
D
কোনোটিই নয়
বক্তব্যের লক্ষ্য অনুযায়ী বাক্যকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিবৃতিবাচক, প্রশ্নবাচক, অনুজ্ঞাবাচক এবং আবেগবাচক বাক্য।
-
বিবৃতিবাচক বাক্য : যেসব বাক্যে সাধারণভাবে কোনো বিবরণ প্রকাশ পায়, সেগুলো বিবৃতিমূলক বাক্য। এগুলো ইতিবাচক বা নেতিবাচক উভয় রকম হতে পারে।
যেমন–-
আমরা রোজ বেড়াতে যেতাম।
-
তারা তোমাদের ভোলেনি।
-
-
প্রশ্নবাচক বাক্য : বক্তা কারও কাছ থেকে কিছু জানার জন্য যে ধরনের বাক্য বলে, সেগুলো প্রশ্নবাচক বাক্য।
যেমন–-
তোমার নাম কী?
-
সুন্দরবনকে কোন ধরনের বনাঞ্চল বলা হয়?
-
-
অনুজ্ঞাবাচক বাক্য : আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ বা প্রার্থনা প্রকাশের জন্য অনুজ্ঞাবাচক বাক্য ব্যবহৃত হয়।
যেমন–-
আমাকে একটি কলম দাও।
-
তার মঙ্গল হোক।
-
-
আবেগবাচক বাক্য : হঠাৎ কিছু দেখে বা শুনে বিস্ময়, আনন্দ বা ভয় প্রকাশ করতে যে ধরনের বাক্য গঠিত হয়, তাকে আবেগবাচক বাক্য বলে।
যেমন–-
দারুণ! আমরা জিতে গিয়েছি।
-
অত উঁচু পাহাড়ে উঠে আমি তো ভয়েই মরি!
-
(উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'চাঁদমুখ' এর ব্যাস বাক্য হলো-
Created: 1 week ago
A
চাঁদ মুখের ন্যায়
B
চাঁদের মত মুখ
C
চাঁদ মুখ যার
D
চাঁদ রূপ
‘চাঁদমুখ’ শব্দটি উপমিত কর্মধারয় সমাস, যেখানে উপমান ও উপমেয়—দুটি পদ একত্রে একটি নতুন অর্থ তৈরি করে। এখানে ‘চাঁদ’ হলো উপমান, আর ‘মুখ’ হলো উপমেয়। অর্থাৎ মুখকে চাঁদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। তাই ‘চাঁদমুখ’-এর ব্যাস বাক্য দাঁড়ায়—চাঁদের ন্যায় মুখ বা চাঁদের মত মুখ।
এই সমাসে সাধারণ গুণটি সরাসরি উল্লেখ করা হয় না, বরং তা ধারণা করে নিতে হয়। উপমেয় পদটি প্রথমে থাকে এবং তার পরেই উপমান পদ যুক্ত হয়।
-
সাধারণ গুণটি ব্যাসবাক্যে না থাকলেও তা স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। যেমন—চাঁদের মতো উজ্জ্বল ও সুন্দর মুখ বোঝাতে ‘চাঁদমুখ’ ব্যবহৃত হয়।
-
উপমিত কর্মধারয় সমাস-এ দুটি পদ অর্থগতভাবে পরস্পরের সঙ্গে তুলনামূলক সম্পর্ক স্থাপন করে।
-
এই সমাসে উপমেয় পদটি পূর্বে বসে, যেমন—“মুখ চন্দ্রের ন্যায়” থেকে “চন্দ্রমুখ”, বা “পুরুষ সিংহের ন্যায়” থেকে “সিংহপুরুষ”।
-
এমন সমাসে উপমান বা তুলনার বস্তু সাধারণত বিশেষ গুণ বা সৌন্দর্যের প্রতীক হয়। যেমন, চাঁদ সৌন্দর্যের প্রতীক, তাই ‘চাঁদমুখ’ মানে সুন্দর মুখ।
-
ব্যাকরণগতভাবে এটি কর্মধারয় সমাসের একটি বিশেষ রূপ, যেখানে তুলনামূলক অর্থে উপমানকে যোগ করে নতুন শব্দ গঠিত হয়।
-
সাহিত্যিক ব্যবহারেও এই ধরণের সমাসের প্রচলন ব্যাপক। যেমন—“পদ্মনয়ন”, “চন্দ্রবদন”, “সিংহহৃদয়” প্রভৃতি শব্দেও একই কাঠামো দেখা যায়।
অতএব, ‘চাঁদমুখ’ এমন এক শব্দ, যেখানে মুখকে চাঁদের সঙ্গে তুলনা করে সৌন্দর্য প্রকাশ করা হয়েছে। এ কারণেই এটি উপমিত কর্মধারয় সমাসের অন্তর্গত, যার ব্যাসবাক্য—“চাঁদের মত মুখ।”
0
Updated: 1 week ago