স্ট্রোক শরীরের কোন অংশের রোগ?
A
মস্তিষ্ক
B
যকৃত
C
কিডনি
D
প্লীহা
উত্তরের বিবরণ
স্ট্রোক হলো এমন একটি জটিল রোগ যা সরাসরি মস্তিষ্কের কার্যক্রমকে ব্যাহত করে। এটি সাধারণত ঘটে যখন মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় বা রক্তনালী ফেটে রক্তক্ষরণ হয়। ফলে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশে অক্সিজেন ও পুষ্টির অভাব ঘটে, যা সেই অংশের কোষগুলোকে নষ্ট করে ফেলে। তাই স্ট্রোককে মস্তিষ্কজনিত রোগ বলা হয় এবং এটি মানবদেহে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ।
- 
স্ট্রোকের মূল কারণ হলো মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহে বিঘ্ন ঘটানো। সাধারণত দুটি কারণে এটি ঘটে—একটি ইস্কেমিক স্ট্রোক, যেখানে রক্তনালী ব্লক হয়ে যায়, এবং অন্যটি হেমোরেজিক স্ট্রোক, যেখানে রক্তনালী ফেটে যায়।
 - 
মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হলে সেখানে থাকা স্নায়ুকোষগুলো (neurons) দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কারণ তারা অক্সিজেন ও গ্লুকোজের উপর নির্ভরশীল। এই ক্ষতি কয়েক মিনিটের মধ্যেই স্থায়ী মস্তিষ্কজনিত অক্ষমতা সৃষ্টি করতে পারে।
 - 
স্ট্রোক সাধারণত হঠাৎ কথা জড়িয়ে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি হারানো, শরীরের এক পাশ অবশ হয়ে যাওয়া, বা চলাফেরায় ভারসাম্য হারানোর মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
 - 
বয়স, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান, এবং অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
 - 
চিকিৎসাবিজ্ঞানে স্ট্রোককে কখনও কখনও “Brain Attack” বলা হয়, কারণ এটি হার্ট অ্যাটাকের মতোই হঠাৎ ঘটে এবং দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।
 - 
স্ট্রোক হলে মস্তিষ্কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ অনুযায়ী শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। যেমন—কথা বলা ও বোঝার অসুবিধা, হাত-পা অবশ হওয়া, মুখ বেঁকে যাওয়া বা স্মৃতিভ্রংশ।
 - 
দ্রুত চিকিৎসা না হলে মস্তিষ্কের টিস্যু স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যায়, যা স্থায়ী পঙ্গুত্ব বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
 - 
চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রথম কয়েক ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইস্কেমিক স্ট্রোকে রক্ত জমাট গলানোর ওষুধ (thrombolytic therapy) দেওয়া হয়, আর হেমোরেজিক স্ট্রোকে রক্তপাত বন্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
 - 
প্রতিরোধে নিয়মিত ব্যায়াম, রক্তচাপ ও রক্তে চর্বি নিয়ন্ত্রণ, এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত জরুরি।
 - 
যারা স্ট্রোক থেকে বেঁচে যান, তাদের পুনর্বাসনের জন্য ফিজিওথেরাপি, স্পিচ থেরাপি ও মানসিক সহায়তা প্রয়োজন হয়।
 
সব মিলিয়ে বলা যায়, স্ট্রোক হলো মস্তিষ্কের রোগ, যা রক্ত সরবরাহে বাধার কারণে ঘটে। এটি একদিকে প্রাণঘাতী, অন্যদিকে স্থায়ী শারীরিক অক্ষমতারও কারণ হতে পারে। তাই প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়াই সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধ।
0
Updated: 1 day ago
বিশ্বে জ্বালানি তেল উৎপাদনে শীর্ষ দেশ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
যুক্তরাষ্ট্র
B
যুক্তরাজ্য
C
সৌদি আরব
D
ইরা
বিশ্বে জ্বালানি তেল উৎপাদনে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষস্থান অধিকার করছে। যুক্তরাষ্ট্রে শেল অয়েলের উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় এটি বিশ্বে তেলের প্রধান উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে। সৌদি আরব ও রাশিয়াও বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী দেশ হলেও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন ক্ষমতা এগিয়ে গেছে।
0
Updated: 2 weeks ago
বহুল আলোচিত ব্যক্তি জামাল খাসোগি কে ছিলেন?
Created: 10 hours ago
A
একজন সাংবাদিক
B
সাহিত্যিক
C
একজন রাজনীতিবিদ
D
বিজ্ঞানী
জামাল খাসোগি ছিলেন একজন সাংবাদিক, যিনি তার সাহসী এবং প্রভাবশালী লেখার জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত ছিলেন। তিনি একজন তুখোড় ও নির্ভীক সাংবাদিক ছিলেন, এবং তার প্রতিবেদনগুলো প্রায়শই সরকার ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক ছিল। বিশেষ করে তিনি সৌদি আরবের রাজনীতির ও মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে লিখতেন এবং তাঁর লেখার মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সত্য প্রকাশ করেছিলেন। খাসোগির মৃত্যু, যা ২০১৮ সালে সৌদি কনস্যুলেটের মধ্যে ঘটেছিল, তার সাংবাদিকতা জীবনের একটি মর্মান্তিক পরিণতি ছিল, যা বিশ্বব্যাপী দুঃখ ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল।
- 
জন্ম ও পেশা: জামাল খাসোগি ১৯৫৮ সালে সৌদি আরবে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন সৌদি আরবের বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট, এবং লেখক। তিনি মার্কিন পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট এর জন্য কলাম লিখতেন এবং সৌদি সরকারের সমালোচনা করতেন।
 - 
অধিকার ও স্বাধীনতা: খাসোগি তার লেখার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য এবং সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরতেন। তিনি এমন একটি পরিবেশে কাজ করতেন যেখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রায়শই সংকুচিত ছিল। সৌদি সরকারের জন্য তার সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল এক ধরনের চ্যালেঞ্জ।
 - 
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা: তিনি রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন এবং পরে সাংবাদিকতায় নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি বেশ কিছু জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমে কাজ করেছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন সৌদি দৈনিক অশারক আল-আওসাত।
 - 
মৃত্যু ও প্রভাব: জামাল খাসোগি ২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে নিহত হন। তার মৃত্যু ছিল এক মর্মান্তিক ঘটনা এবং এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক প্রতিবাদের সৃষ্টি করেছিল। তার মৃত্যু বিশ্বে সাংবাদিকদের জন্য একটি সতর্কতা হিসেবে কাজ করে, বিশেষ করে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে।
 - 
পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে: জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ডের পর তার পরিবার, সংবাদমাধ্যম, এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন সৌদি আরবের বিরুদ্ধে বিচারিক পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানায়। তার মৃত্যু সাংবাদিকদের ওপর ক্রমবর্ধমান হুমকি এবং নির্যাতনের একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
 
জামাল খাসোগি ছিলেন একজন সাহসী ও প্রভাবশালী সাংবাদিক, যিনি তার কাজের মাধ্যমে পৃথিবীকে সচেতন করেছিলেন। তার মৃত্যু সাংবাদিকতার জন্য এক কালো দিন ছিল, যা সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার রক্ষায় আরও বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
0
Updated: 10 hours ago
SIM-এর পূর্ণরূপ কী?
Created: 1 week ago
A
Subscriber International Module
B
Subscriber Identification Module
C
Subscriber Identification Module
D
Subscriber Information Memory
SIM বা Subscriber Identification Module হলো একটি ছোট চিপ, যা মোবাইল ফোনের অপরিহার্য অংশ। এটি মূলত ব্যবহারকারীর পরিচয় এবং নেটওয়ার্ক তথ্য নিরাপদে সংরক্ষণ করে। সহজভাবে বলা যায়, এই চিপ ছাড়া মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে পারে না। নিচে এর প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো।
- 
অর্থ ও সংজ্ঞা: SIM হলো একটি Integrated Circuit (IC), যা মোবাইল ব্যবহারকারীর তথ্য সংরক্ষণ করে এবং নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ স্থাপন নিশ্চিত করে। এর পূর্ণরূপ Subscriber Identification Module।
 - 
মূল কাজ: এটি ব্যবহারকারীর IMSI (International Mobile Subscriber Identity) এবং Authentication Key ধারণ করে, যা নেটওয়ার্কের সাথে যোগাযোগের সময় পরিচয় যাচাই করতে সাহায্য করে।
 - 
গঠন ও উপাদান: SIM কার্ড সাধারণত একটি Microcontroller এবং Memory Chip নিয়ে তৈরি। এতে EEPROM মেমরি থাকে যেখানে ডেটা যেমন ফোন নম্বর, বার্তা ও কনট্যাক্ট সংরক্ষিত থাকে।
 - 
ব্যবহার ও কার্যপ্রণালী: ফোন চালু হলে SIM নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। নেটওয়ার্ক তখন IMSI যাচাই করে এবং গ্রাহকের বৈধতা নিশ্চিত করে। এভাবেই কল করা, বার্তা পাঠানো ও ডেটা ব্যবহার সম্ভব হয়।
 - 
ধরন: বর্তমানে বিভিন্ন আকারের SIM ব্যবহৃত হয় — Standard SIM, Micro SIM, Nano SIM এবং eSIM (Embedded SIM)। নতুন প্রজন্মে eSIM সবচেয়ে আধুনিক, যা আলাদা কার্ড ছাড়াই ফোনে যুক্ত থাকে।
 - 
প্রযুক্তিগত গুরুত্ব:
SIM কার্ড GSM, CDMA, LTE এবং 5G নেটওয়ার্কে যোগাযোগের জন্য অপরিহার্য। এটি ডেটা এনক্রিপশন করে ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষিত রাখে। - 
সুবিধা:
এটি সহজে পরিবর্তনযোগ্য, ফলে ব্যবহারকারী অন্য ফোনে স্থানান্তর করতে পারেন। এছাড়াও বিদেশে ভ্রমণের সময় স্থানীয় নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে সাহায্য করে। - 
উদাহরণ ও পরিসংখ্যান:
২০২5 সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ৬ বিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় SIM ব্যবহার হচ্ছে, যা মোবাইল যোগাযোগের বিস্তারকে প্রমাণ করে। 
SIM হলো মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থার হৃদয়। এটি ব্যবহারকারীর পরিচয় সংরক্ষণ, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং নেটওয়ার্ক সংযোগের মূল মাধ্যম। সহজভাবে বলতে গেলে, SIM ছাড়া কোনো মোবাইল ফোন কার্যকর হয় না।
0
Updated: 1 week ago