নিচের কোন বানানটি শুদ্ধ?
A
মুহুর্ত
B
স্বাতন্ত্র
C
সুচী
D
সূক্ষ্ম
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় সঠিক বানান ব্যবহার ভাষার শুদ্ধতা বজায় রাখে। নিচের শব্দগুলো বাংলা একাডেমির বানানবিধি অনুযায়ী প্রমিত বা শুদ্ধ রূপে লেখা হলো।
-
সূক্ষ্ম — এটি সঠিক বানান, যার অর্থ অতি সূক্ষ্ণ, অতি ক্ষুদ্র বা নিখুঁত।
-
সুচী শব্দের শুদ্ধ রূপ হলো সূচি, যার অর্থ তালিকা বা নামের ক্রমিক বিবরণ।
-
মুহুর্ত নয়, এর শুদ্ধ বানান মুহূর্ত, যার অর্থ অতি ক্ষণ বা খুব স্বল্প সময়।
-
স্বাতন্ত্র শব্দের সঠিক রূপ স্বাতন্ত্র্য, যার অর্থ স্বাধীনতা বা নিজস্ব বৈশিষ্ট্য।
এসব বানান সঠিকভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে ভাষার সৌন্দর্য ও নির্ভুলতা বজায় থাকে।
0
Updated: 1 day ago
কোন বানানটি শুদ্ধ?
Created: 3 months ago
A
সূচিষ্মিতা
B
সূচিস্মিতা
C
সুচীস্মিতা
D
শুচিস্মিতা
শুচিস্মিতা – একটি অর্থবহ বাংলা শব্দ
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে ‘শুচিস্মিতা’ শব্দটি একটি স্ত্রীবাচক শব্দ, যার শুদ্ধ বানান শুচিস্মিতা। এই শব্দের পুরুষবাচক রূপ হলো ‘শুচিস্মিত’।
-
শুচিস্মিতা শব্দের অর্থ:
যে নারীর হাসি পবিত্র, মধুর এবং নির্মল—তাকে এক কথায় বলা হয় ‘শুচিস্মিতা’। -
শুচিস্মিত (বিশেষণ) অর্থ:
যিনি মৃদু ও নির্মল হাসির অধিকারী; যার মুখে সর্বদা পবিত্র হাসি বিরাজমান।
এই শব্দগুলোর উৎস হিসেবে বাংলা একাডেমির আধুনিক বাংলা অভিধান এবং হায়াৎ মামুদের ভাষা শিক্ষা গ্রন্থ উল্লেখযোগ্য।
0
Updated: 3 months ago
'ফরিয়াদ' কোন ভাষা থেকে আগত শব্দ
Created: 3 weeks ago
A
আরবি
B
ফারসি
C
সংস্কৃত
D
পর্তুগিজ
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে, ফরিয়াদ একটি ফারসি শব্দ। এর অর্থ হলো:
-
প্রার্থনা; বিচার বা সাহায্য প্রার্থনা
-
অভিযোগ, নালিশ
-
আদালতে অভিযোগ, মামলা-মোকদ্দমা
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অন্যান্য ফারসি শব্দের মধ্যে রয়েছে:
-
বেহেশত
-
দোজখ
-
ফেরেশতা
-
নামাজ
-
খোদা
-
গুনাহ
-
পয়গম্বর
0
Updated: 3 weeks ago
কোন বানানটি শুদ্ধ?
Created: 1 week ago
A
মুলো
B
মুলা
C
ধুলি
D
ধূলো
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা ও বানান অভিধান অনুসারে "মুলা" ও "মুলো" উভয় শব্দের বানানই শুদ্ধ। তবে, প্রমিত রীতি অনুযায়ী সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং শুদ্ধ শব্দ হল মুলা। তাই মুলো শব্দটি বর্জনীয় বলে ধরা হয়।
বাংলা প্রমিত রীতি অনুসারে কিছু কথ্য রীতির শব্দ, যেমন ধুলো, তুলো, মুলো, পুজো ইত্যাদি, ব্যবহার থেকে বর্জনীয়। এসবের পরিবর্তে ধুলা, তুলা, মুলা, পূজা লিখতে হয়। এই শব্দগুলোই প্রমিত রীতিতে গ্রহণযোগ্য।
এছাড়া, অন্যান্য অপশনগুলোর মধ্যে:
-
ধুলি শব্দের সঠিক বানান হল ধূলি।
-
ধূলো শব্দটি ভুল, সঠিক রূপ ধুলো, তবে এটি প্রমিত রীতিতে বর্জনীয়।
বিশ শতকের শুরুতে কলকাতার শিক্ষিত সমাজের কথ্য ভাষাকে লেখ্য রীতির আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করা হয়, যাকে চলিত রীতি বলা হয়। একুশ শতকের শুরুতে এটি প্রমিত রীতি নামে পরিচিতি পায় এবং এখন মান রীতি নামেও পরিচিত।
প্রমিত রীতির সাধারণ বৈশিষ্ট্য:
-
ক্রিয়া, সর্বনাম, অনুসর্গ সাধারণত হ্রস্ব হয়। উদাহরণস্বরূপ: "করা" এর রূপগুলো যেমন করছে, করেছে, করল ইত্যাদি। সর্বনাম হিসেবে তারা, এদের, যা ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।
-
শব্দ ব্যবহারের উপরে নির্ভরশীলতা: প্রমিত রীতি অনুযায়ী, প্রয়োজনে তৎসম ও তদ্ভব শব্দ ব্যবহার করা যায়, যেমন বৎসর অথবা বছর, চন্দ্র অথবা চাঁদ।
-
কথ্য রীতির শব্দের ব্যবহার: কথ্য রীতির শব্দগুলো যেমন ধুলো, তুলো, মুলো, পুজো, সবচে ইত্যাদি বর্জনীয় এবং ধুলা, তুলা, মুলা, পূজা, সবচেয়ে ব্যবহার করা উচিত।
এভাবে, প্রমিত রীতিতে ভাষার ব্যবহার পরিমার্জিত এবং শুদ্ধ হওয়া উচিত।
0
Updated: 1 week ago