'তিমির হননের কবি' উপাধিটি কার?
A
জীবনানন্দ দাশ
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
শামসুর রাহমান
D
আবদুল কাদির
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কবিতার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র জীবনানন্দ দাশ তাঁর কবিতায় গ্রামবাংলার নিসর্গ, রূপকথা ও পুরাণের জগৎকে এক অনন্য কাব্যিক সৌন্দর্যে রূপ দিয়েছেন। তাঁর কবিতায় বাংলার প্রকৃতি, নদী, মাঠ, গাছপালা, পাখি ও মানুষের নীরব জীবন এমনভাবে ফুটে উঠেছে যে তিনি পরিচিত হয়েছেন ‘রূপসী বাংলার কবি’ নামে।
-
বুদ্ধদেব বসু জীবনানন্দকে বলেছেন “নির্জনতম কবি”, কারণ তাঁর কবিতায় একান্ত নিঃসঙ্গতা ও আত্মমগ্নতার ছায়া স্পষ্ট।
-
জীবনানন্দের কাব্যে প্রকৃতি, সময়, স্মৃতি, নিঃসঙ্গতা ও মৃত্যুচেতনা মিশে আছে গভীরভাবে।
-
তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে —
-
রূপসী বাংলা (১৯৫৭)
-
বনলতা সেন (১৯৪২)
-
মহাপৃথিবী (১৯৪৪)
-
বেলা অবেলা কালবেলা (১৯৬১)
-
শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৫৪)
-
-
তাঁর কাব্যে ব্যবহৃত ভাষা, চিত্রকল্প ও নিসর্গচেতনা বাংলা কবিতাকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে।
অতএব, জীবনানন্দ দাশ শুধু প্রকৃতির কবি নন, তিনি বাংলা কবিতার অন্তর্মুখী অনুভূতি ও নান্দনিকতার এক গভীর প্রতীক হিসেবে চিরস্মরণীয়।
0
Updated: 1 hour ago
কোনটি জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ নয়?
Created: 1 week ago
A
ধূসর পান্ডুলিপি
B
ঝরা পালক
C
মহা পৃথিবী
D
বেলা শেষের গান
জীবনানন্দ দাশ বাংলা আধুনিক কবিতার অন্যতম প্রধান কবি, যিনি প্রকৃতি, একাকীত্ব, সময় ও অস্তিত্বের গভীর বোধকে তাঁর কবিতায় প্রকাশ করেছেন। তাঁর কাব্যগ্রন্থগুলোতে মানবজীবনের অন্তর্গত নিঃসঙ্গতা, মাটির গন্ধ, এবং প্রকৃতির নান্দনিক রূপ ফুটে ওঠে। প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে ‘বেলা শেষের গান’ জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ নয়, বরং এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গ্রন্থ।
জীবনানন্দ দাশের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো—
-
ধূসর পান্ডুলিপি (১৯৩৬): এটি তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ। এখানে সময়, মৃত্যু, প্রকৃতি ও একাকীত্বের বিষয়গুলো প্রতিফলিত হয়েছে। বাংলা কবিতায় আধুনিকতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে এই গ্রন্থ।
-
ঝরা পালক (১৯২৭): এটি তাঁর প্রথম দিকের রচনা। এই গ্রন্থে রোমান্টিকতার ছোঁয়া থাকলেও তাতে পরবর্তী জীবনানন্দীয় চিন্তার বীজ পাওয়া যায়।
-
মহা পৃথিবী (১৯৪৪): দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও মানবসভ্যতার সংকটের প্রেক্ষাপটে লেখা এই গ্রন্থে কবি এক গভীর দার্শনিক বোধের প্রকাশ ঘটিয়েছেন। মানবজীবনের ক্ষয় ও পুনর্জন্মের ভাবনাও এতে বিদ্যমান।
অন্যদিকে, ‘বেলা শেষের গান’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি সংগীত-সংকলন, যেখানে জীবনের শেষ প্রহরের ভাব, ঈশ্বরপ্রেম, ও মানবিক শান্তির আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে। এই কারণে এটি জীবনানন্দ দাশের কোনো কাব্যগ্রন্থ নয়।
সারসংক্ষেপে বলা যায়—
-
‘ধূসর পান্ডুলিপি’, ‘ঝরা পালক’ ও ‘মহা পৃথিবী’— জীবনানন্দ দাশের মৌলিক ও বহুল পরিচিত কাব্যগ্রন্থ।
-
‘বেলা শেষের গান’— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি, জীবনানন্দ দাশের নয়।
অতএব, প্রদত্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর ঘ) বেলা শেষের গান।
0
Updated: 1 week ago
জীবনান্দ দাশকে 'নির্জনতম কৰি' আখ্যা দিয়েছেন কে?
Created: 3 weeks ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
বুদ্ধদেব বসু
C
দীপ্তি ত্রিপাঠী
D
আব্দুল মান্নান সৈয়দ
জীবনানন্দ দাশকে ‘নির্জনতম কবি’ আখ্যায়িত করেছেন কবি ও সমালোচক বুদ্ধদেব বসু। এই আখ্যায়নের মাধ্যমে তিনি জীবনানন্দের কবিত্বচেতনার বিশেষ বৈশিষ্ট্য— নিঃসঙ্গতা, আত্মমগ্নতা ও গভীর অন্তর্জগৎ—কে তুলে ধরেছেন।
-
জীবনানন্দের কবিতায় সমাজ বা রাজনীতি নয়, বরং মানুষের অন্তর্লোক, স্মৃতি, প্রকৃতি ও অস্তিত্ববোধ প্রধান বিষয় হয়ে ওঠে।
-
তাঁর কবিতায় নীরবতা, নিঃসঙ্গতা ও অতীতচেতনা এক অনন্য সৌন্দর্যে প্রকাশ পায়।
-
বুদ্ধদেব বসু মনে করেন, জীবনানন্দ নিজের চারপাশের জগৎ থেকে আলাদা থেকে নিজস্ব নিস্তব্ধ জগৎ সৃষ্টি করেছেন, যেখানে তিনি চেতনা ও অনুভূতির গভীরে ডুব দিয়েছেন।
-
এই নির্জনতা তাঁকে বাংলা কবিতায় এক অদ্বিতীয় আধুনিক কবির মর্যাদা দিয়েছে।
0
Updated: 3 weeks ago
"মানুষের মৃত্যু হলে তবু মানব থেকে যায়' – কার লেখা?
Created: 3 weeks ago
A
বুদ্ধদেব বসু
B
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
C
জীবনানন্দ দাশ
D
কাজী নজরুল ইসলাম
জীবনানন্দ দাশের কবিতা “মানুষের মৃত্যু হলে” মানবচেতনার অমরত্ব ও প্রজন্মান্তরে তার ধারাবাহিকতা তুলে ধরে। কবি বোঝাতে চেয়েছেন, মানুষের দেহের মৃত্যু ঘটে, কিন্তু তার চেতনা, চিন্তা ও মানবিক সত্তা বেঁচে থাকে এবং তা পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চারিত হয়।
-
মানুষের মৃত্যু কেবল শারীরিক; তার চেতনা ও মানসিক সত্তা কখনো নষ্ট হয় না।
-
অতীতের মানুষরা মরে গেলেও তাদের চিন্তা, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও ভালোবাসা আজকের জীবনে প্রভাব ফেলে।
-
প্রতিটি মানুষ তার নিজস্ব স্বাতন্ত্র্য নিয়েই চলে যায়, কিন্তু তার রেখে যাওয়া আলো ও জ্ঞানের ধারা বর্তমান প্রজন্মে প্রবাহিত হয়।
-
কবি “দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের” মাধ্যমে সেই অনন্ত মানবযাত্রার প্রতীক তুলে ধরেছেন, যা যুগের পর যুগ ধরে চলমান।
অতএব, এই কবিতায় কবি মানুষের মৃত্যু নয়, বরং তার চেতনার অমরত্ব ও মানবিক ঐক্যকে চিত্রিত করেছেন।
0
Updated: 3 weeks ago