একটি LC সার্কিটে দোলনের কৌনিক কম্পাংক-
A
√(LC)
B
√(L/C)
C
1/√(LC)
D
1/2π√(LC)
উত্তরের বিবরণ
একটি LC সার্কিটে ইন্ডাক্টর (L) এবং ক্যাপাসিটর (C) এমনভাবে সংযুক্ত থাকে যে, তাদের মধ্যে শক্তি পর্যায়ক্রমে বৈদ্যুতিক ও চৌম্বকীয় আকারে বিনিময় হতে থাকে। এই শক্তি আদানপ্রদানের ফলেই সার্কিটে একধরনের হারমোনিক দোলন (harmonic oscillation) সৃষ্টি হয়, যা কোনো বাহ্যিক উৎস ছাড়াই নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কে চলতে থাকে। যখন ক্যাপাসিটর চার্জ হয়, তখন তার মধ্যে বৈদ্যুতিক শক্তি সঞ্চিত হয়; আর সেই চার্জ ইন্ডাক্টরের মাধ্যমে প্রবাহিত হলে তা চৌম্বকীয় শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। কিছুক্ষণ পর চৌম্বকীয় শক্তি আবার বৈদ্যুতিক শক্তিতে পরিণত হয়, ফলে একটানা দোলন ঘটে।
এই দোলনের কৌনিক কম্পাঙ্ক (angular frequency) দ্বারা প্রকাশ করা যায়:
ω = 1 / √(LC)
এখানে,
-
L = ইন্ডাক্ট্যান্স (Henry, H) — ইন্ডাক্টর কতটা চৌম্বকীয় শক্তি সঞ্চয় করতে পারে তা নির্দেশ করে।
-
C = ক্যাপাসিট্যান্স (Farad, F) — ক্যাপাসিটর কতটা বৈদ্যুতিক চার্জ সঞ্চয় করতে পারে তা নির্দেশ করে।
এই সূত্রটি সাধারণ হারমোনিক দোলনের মূল সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত, যেখানে দোলনের কৌনিক কম্পাঙ্ক নির্ভর করে শক্তি সঞ্চয়ের দুটি উৎসের উপর।
0
Updated: 20 hours ago
2µF ধারকত্বের
ক্যাপাসিটরকে 50V দিয়ে চার্জ করলে
সঞ্চিত শক্তি হবে-
Created: 18 hours ago
A
2.5Χ10-2 J
B
2.5Χ10-3 J
C
2.5Χ10-4 J
D
5Χ10-3 J
- ক্যাপাসিটরে সঞ্চিত শক্তির সাধারণ সূত্র হলো
এখানে,
E = সঞ্চিত শক্তি (জুলে),
C = ক্যাপাসিট্যান্স
(ফ্যারাডে),
V = প্রয়োগকৃত বিভব পার্থক্য (ভোল্টে)।
- প্রদত্ত মান অনুযায়ী,
- সূত্রে মানগুলো প্রতিস্থাপন করলে,
- ধাপে ধাপে সরলীকরণ করলে পাওয়া যায়—
অর্থাৎ,
ক্যাপাসিটরে সঞ্চিত শক্তি হলো 2.5 × 10⁻³ জুল।
0
Updated: 18 hours ago
নিচের কোন বলটি অসংরক্ষণশীল (non-conservative)?
Created: 18 hours ago
A
মহাকর্ষ বল
B
স্থিরতড়িৎ বল
C
স্প্রিং বল
D
ঘর্ষণ বল
সংরক্ষণশীল
বল
(Conservative Force) হলো
সেই সব বল, যেগুলোর
দ্বারা সম্পাদিত কাজ কেবলমাত্র প্রাথমিক
ও চূড়ান্ত অবস্থার উপর নির্ভর করে, পথের উপর নয়।
অর্থাৎ, একটি বস্তু যদি
কোনো বলের প্রভাবে কোনো
একটি বিন্দু থেকে আরেকটি বিন্দুতে
যায় এবং পুনরায় প্রাথমিক
অবস্থায় ফিরে আসে, তবে
সংরক্ষণশীল বলের দ্বারা মোট
কাজের মান হবে শূন্য।
এই বলগুলোতে শক্তি হারায় না; বরং তা
এক রূপ থেকে অন্য
রূপে পরিণত হয়, যেমন বিভব
শক্তি থেকে গতিশক্তি বা
তার উল্টোটা।
বিষয়টি
আরও স্পষ্টভাবে বোঝা যায় নিচেরভাবে—
- সংরক্ষণশীল বলের জন্য Work done (W)
শুধুমাত্র প্রাথমিক ও চূড়ান্ত বিন্দুর বিভব পার্থক্যের উপর নির্ভর করে।
- এর মানে, বস্তু যে পথেই চলুক না কেন, শুরু এবং শেষ বিন্দু যদি একই থাকে, তবে কাজের পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকবে।
- এই ধরনের বলের সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট বিভব শক্তি (Potential
Energy) সম্পর্কিত
থাকে, যা দিয়ে বলকে প্রকাশ করা যায়—
যেখানে
V হলো বিভব শক্তি এবং
x হলো অবস্থান।
0
Updated: 18 hours ago
Clausius-Clapeyron সমীকরণ কোনটির জন্য প্রযোজা?
Created: 20 hours ago
A
কঠিন-তরল সাম্যাবস্থা
B
তরল-বাষ্প সাম্যাবস্থা
C
গ্যাস-তরল সাম্যাবস্থা
D
উপরের সবগুলো
Clausius-Clapeyron সমীকরণ পদার্থের দুটি পর্যায়ের মধ্যে তাপগত সাম্যাবস্থায় চাপ ও তাপমাত্রার পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়। এটি এমন একটি মৌলিক তাপগতীয় সমীকরণ যা পদার্থের পর্যায় পরিবর্তনের (যেমন গলন, স্ফুটন বা বাষ্পীভবন) সময় ঘটে যাওয়া চাপ-তাপমাত্রার নির্ভরতা ব্যাখ্যা করে। অর্থাৎ, যখন কোনো পদার্থ একই সঙ্গে দুটি ভিন্ন অবস্থায় (যেমন তরল ও বাষ্প, বা কঠিন ও তরল) বিদ্যমান থাকে, তখন তাদের মধ্যে যে সাম্যাবস্থা বিরাজ করে, তা এই সমীকরণ দিয়ে প্রকাশ করা যায়।
-
সমীকরণটির রূপ হলো:
dP/dT = L / (V₂ − V₁)T
এখানে, dP/dT বোঝায় তাপমাত্রার সঙ্গে চাপের পরিবর্তনের হার, L হলো পদার্থের গোপন তাপ বা ল্যাটেন্ট হিট (latent heat), V₂ − V₁ হলো দুটি পর্যায়ের নির্দিষ্ট আয়তনের পার্থক্য, এবং T হলো তাপমাত্রা কেলভিন স্কেলে। -
এই সমীকরণ নির্দেশ করে যে, পদার্থের পর্যায় পরিবর্তনের সময় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে চাপও পরিবর্তিত হয়, এবং এই পরিবর্তনের পরিমাণ নির্ভর করে গোপন তাপ ও আয়তন পার্থক্যের ওপর।
-
Clausius-Clapeyron সমীকরণ বিশেষভাবে কার্যকর যখন তরল থেকে বাষ্পে বা কঠিন থেকে তরলে রূপান্তর ঘটে। উদাহরণস্বরূপ, পানির স্ফুটনবিন্দু তাপমাত্রা চাপের উপর নির্ভরশীল — এই নির্ভরতা নির্ণয়ে এই সমীকরণ ব্যবহৃত হয়।
-
এটি তাপগতিবিদ্যার একটি মৌলিক সূত্র, যা পদার্থের phase equilibrium বা পর্যায় সাম্যাবস্থার আচরণ ব্যাখ্যা করে। এর মাধ্যমে বাষ্প চাপ, স্ফুটনবিন্দু, কিংবা গলনবিন্দুর মতো বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করা সম্ভব হয়।
0
Updated: 20 hours ago