Clausius-Clapeyron সমীকরণ কোনটির জন্য প্রযোজা?
A
কঠিন-তরল সাম্যাবস্থা
B
তরল-বাষ্প সাম্যাবস্থা
C
গ্যাস-তরল সাম্যাবস্থা
D
উপরের সবগুলো
উত্তরের বিবরণ
Clausius-Clapeyron সমীকরণ পদার্থের দুটি পর্যায়ের মধ্যে তাপগত সাম্যাবস্থায় চাপ ও তাপমাত্রার পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়। এটি এমন একটি মৌলিক তাপগতীয় সমীকরণ যা পদার্থের পর্যায় পরিবর্তনের (যেমন গলন, স্ফুটন বা বাষ্পীভবন) সময় ঘটে যাওয়া চাপ-তাপমাত্রার নির্ভরতা ব্যাখ্যা করে। অর্থাৎ, যখন কোনো পদার্থ একই সঙ্গে দুটি ভিন্ন অবস্থায় (যেমন তরল ও বাষ্প, বা কঠিন ও তরল) বিদ্যমান থাকে, তখন তাদের মধ্যে যে সাম্যাবস্থা বিরাজ করে, তা এই সমীকরণ দিয়ে প্রকাশ করা যায়।
-
সমীকরণটির রূপ হলো:
dP/dT = L / (V₂ − V₁)T
এখানে, dP/dT বোঝায় তাপমাত্রার সঙ্গে চাপের পরিবর্তনের হার, L হলো পদার্থের গোপন তাপ বা ল্যাটেন্ট হিট (latent heat), V₂ − V₁ হলো দুটি পর্যায়ের নির্দিষ্ট আয়তনের পার্থক্য, এবং T হলো তাপমাত্রা কেলভিন স্কেলে। -
এই সমীকরণ নির্দেশ করে যে, পদার্থের পর্যায় পরিবর্তনের সময় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে চাপও পরিবর্তিত হয়, এবং এই পরিবর্তনের পরিমাণ নির্ভর করে গোপন তাপ ও আয়তন পার্থক্যের ওপর।
-
Clausius-Clapeyron সমীকরণ বিশেষভাবে কার্যকর যখন তরল থেকে বাষ্পে বা কঠিন থেকে তরলে রূপান্তর ঘটে। উদাহরণস্বরূপ, পানির স্ফুটনবিন্দু তাপমাত্রা চাপের উপর নির্ভরশীল — এই নির্ভরতা নির্ণয়ে এই সমীকরণ ব্যবহৃত হয়।
-
এটি তাপগতিবিদ্যার একটি মৌলিক সূত্র, যা পদার্থের phase equilibrium বা পর্যায় সাম্যাবস্থার আচরণ ব্যাখ্যা করে। এর মাধ্যমে বাষ্প চাপ, স্ফুটনবিন্দু, কিংবা গলনবিন্দুর মতো বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করা সম্ভব হয়।
0
Updated: 20 hours ago
দুইটি শব্দের কম্পাঙ্ক 256Hz ও 260Hz হলে প্রতি সেকেন্ডে উৎপন্ন Beat কত Hz?
Created: 18 hours ago
A
516
B
2
C
4
D
258
এই প্রক্রিয়ায় যখন দুটি ভিন্ন
কম্পাঙ্কের শব্দ একসঙ্গে বাজে,
তখন তাদের পার্থক্যের কারণে একটি পর্যায়ক্রমিক তীব্রতা
বা ভলিউম পরিবর্তন শোনা যায়, যাকে
বিট বলে।
বিষয়টি
সহজভাবে ব্যাখ্যা করা যায় এভাবে—
- দুটি শব্দের কম্পাঙ্ক হলো f₁ = 256 Hz এবং f₂ = 260 Hz।
- যখন এই দুটি শব্দ একসাথে বাজানো হয়, তখন তাদের তরঙ্গ একে অপরের সঙ্গে interference
ঘটায়।
- একবার তারা গঠনমূলকভাবে যুক্ত হয়ে শব্দের তীব্রতা বাড়ায়, আবার কিছুক্ষণ পরে ধ্বংসাত্মকভাবে যুক্ত হয়ে তীব্রতা কমিয়ে দেয়।
- এইভাবে শব্দের তীব্রতা পর্যায়ক্রমে বাড়া-কমার ফলে একধরনের স্পন্দনশীল শব্দ পাওয়া যায়, যাকে বিট বলা হয়।
- বিটের সংখ্যা বা beat frequency
(f₍beat₎) নির্ণয়
করা হয় নিচের সূত্রে:
- প্রদত্ত মানগুলো বসালে পাওয়া যায়:
- অর্থাৎ, প্রতি সেকেন্ডে ৪ বার শব্দের তীব্রতা বাড়ে ও কমে, যা আমাদের কানে “পালাক্রমিক তীব্রতা ওঠানামা” বা beat phenomenon
হিসেবে শোনা যায়।
- এই বিট ধ্বনি বিশেষ করে সঙ্গীতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমে যন্ত্রগুলো টিউন করা হয়। যেমন, দুটি টিউনিং ফর্ক একসাথে বাজিয়ে তাদের বিট শুনে সামান্য সমন্বয় করে একটিকে অন্যটির সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া হয়।
- বিট তখনই শোনা যায় যখন দুটি শব্দের কম্পাঙ্কের পার্থক্য খুবই ছোট (প্রায় ১–১০ Hz এর মধ্যে)। যদি পার্থক্য বেশি হয়, তখন আলাদা আলাদা দুটি শব্দ শোনা যায়, কিন্তু বিট তৈরি হয় না।
0
Updated: 18 hours ago
Euler-Lagrange সমীকরণের Principle -
Created: 20 hours ago
A
নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র
B
হ্যামিলটনের নীতি
C
ভরবেগের সংরক্ষণতা
D
লরেঞ্জ ট্রান্সফরমেশন
Euler–Lagrange সমীকরণ হলো Lagrangian mechanics-এর মূল ভিত্তি, যা Hamilton-এর নীতি (Principle of Least Action) থেকে উদ্ভূত। Hamilton-এর নীতি অনুযায়ী, কোনো সিস্টেমের গতিবিধি সেই পথেই সংঘটিত হয় যেখানে action (S) সর্বনিম্ন বা স্থির (stationary) থাকে। এই action সংজ্ঞায়িত হয় Lagrangian (L = T − V) দ্বারা, যেখানে T হলো গতিশক্তি (kinetic energy) এবং V হলো বিভবশক্তি (potential energy)। ফলে, একটি সিস্টেমের জন্য action প্রকাশ করা যায়—
S = ∫ₜ₁ₜ₂ L dt
-
Euler–Lagrange সমীকরণটি এই ন্যূনতম action শর্ত থেকে উদ্ভূত হয় এবং তা হলো:
d/dt (∂L/∂q̇ᵢ) − ∂L/∂qᵢ = 0
এখানে, qᵢ হলো সাধারণ স্থানাংক (generalized coordinate) এবং q̇ᵢ হলো তার সময়ের প্রতি পরিবর্তনের হার বা বেগ। -
এই সমীকরণ পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন গতিতাত্ত্বিক সিস্টেমে গতির মৌলিক সমীকরণ প্রদান করে। এটি Newton-এর দ্বিতীয় সূত্রের একটি সাধারণীকৃত রূপ, যেখানে বলের পরিবর্তে শক্তি ব্যবহৃত হয়।
-
Lagrangian formalism ব্যবহারের মাধ্যমে জটিল সিস্টেমের গতিবিধি নির্ণয় তুলনামূলকভাবে সহজ হয়, বিশেষ করে বহু কণা ও সংযমযুক্ত সিস্টেমের ক্ষেত্রে।
অতএব, Euler–Lagrange সমীকরণ পদার্থবিজ্ঞানে একটি মৌলিক নীতি, যা গতিশক্তি ও বিভবশক্তির পারস্পরিক সম্পর্কের মাধ্যমে কোনো সিস্টেমের গতি নির্ধারণে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 20 hours ago
একটি 0.25m লম্বা রেঞ্চের শেষে হাতলের উপর 30° কোণে 200N বল একটি বল্টুর উপর প্রয়োগ করা হল। বল্টুর উপর প্রযুক্ত টর্ক কত হবে?
Created: 20 hours ago
A
25N-m
B
43.3N-m
C
86.6Nm
D
100N-m
টর্ক
(τ) হিসাব করার সূত্র হলো: τ=r⋅F⋅sinθ
যেখানে, r=0.25m (রেঞ্চের দৈর্ঘ্য), F=200N (বল), θ=30∘
(বল এবং হাতলের কোণ)।
আমরা
জানি, টর্ক τ=rFsinθ
বা, τ=0.25×200×sin30∘ = 0.25×200×0.5 =25 N-m
τ=25N-m
0
Updated: 20 hours ago