কোন ডালের সংগে ল্যাথাইরিজমের সম্পর্ক আছে-
A
মসুর
B
মুগ
C
খেসারী
D
মাষকলাই
উত্তরের বিবরণ
ল্যাথাইরিজম হলো এক ধরনের স্নায়বিক রোগ, যা দীর্ঘদিন ধরে খেসারী ডাল খাওয়ার ফলে দেখা দেয়। এই রোগ প্রধানত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে দেখা যায় যারা নিয়মিতভাবে সস্তা ও সহজলভ্য খাদ্য হিসেবে খেসারী ডালের উপর নির্ভরশীল। খেসারী ডালে একটি বিশেষ বিষাক্ত উপাদান থাকে যা স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলে এবং পায়ে পক্ষাঘাত সৃষ্টি করে।
• খেসারী ডালের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Lathyrus sativus। এই নাম থেকেই রোগটির নাম ল্যাথাইরিজম এসেছে।
• খেসারী ডালে উপস্থিত বিষাক্ত উপাদান ODAP (β-N-oxalyl-L-α, β-diaminopropionic acid) স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ করে। এই রাসায়নিক যৌগটি স্পাইনাল কর্ডের স্নায়ুকোষ ধ্বংস করে দেয়, ফলে মানুষের হাঁটাচলার ক্ষমতা নষ্ট হয়।
• সাধারণত এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির পায়ে ক্রমে দুর্বলতা দেখা দেয়, পরে তা পক্ষাঘাতে রূপ নেয়। অনেক ক্ষেত্রে কোমরের নিচের অংশ অবশ হয়ে যায়।
• ল্যাথাইরিজম মূলত দীর্ঘমেয়াদি খেসারী ডাল গ্রহণের ফলে হয়। স্বল্প সময়ে বা অল্প পরিমাণে খেলে সাধারণত এই রোগ দেখা যায় না।
• বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ইথিওপিয়ার মতো দেশে খেসারী ডাল জনপ্রিয়, কারণ এটি সস্তা এবং অনুর্বর জমিতেও জন্মে। ফলে দরিদ্র জনগোষ্ঠী এটি বেশি খায় এবং সেই কারণে এসব এলাকায় ল্যাথাইরিজম বেশি দেখা যায়।
• একসময় বাংলাদেশ সরকার খেসারী ডালের বিক্রি ও উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, তবে বর্তমানে কম বিষাক্ত জাতের খেসারী চাষ অনুমোদিত হয়েছে।
• ল্যাথাইরিজম প্রতিরোধে খাদ্যাভ্যাসে বৈচিত্র্য আনা জরুরি। যেমন—মুগ, মসুর বা মাষকলাইয়ের মতো অন্যান্য ডাল খাওয়া, খেসারী ডাল ভিজিয়ে পানি ঝরিয়ে খাওয়া, এবং নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা।
• গবেষণায় দেখা গেছে, খেসারী ডালের বিষাক্ত উপাদান গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ও ফুটিয়ে নিলে কিছুটা পরিমাণে নষ্ট হয়। তাই সঠিক প্রক্রিয়ায় রান্না করলেও ঝুঁকি কিছুটা কমে।
• এই রোগে আক্রান্তদের জন্য ফিজিওথেরাপি ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোগটি একবার হলে পুরোপুরি নিরাময় করা কঠিন, তাই প্রতিরোধই একমাত্র উপায়।
• প্রাণীদের মধ্যেও খেসারী ডাল খাওয়ালে অনুরূপ প্রভাব দেখা যায়, বিশেষত গরু বা ছাগলের ক্ষেত্রে পা দুর্বল হয়ে পড়ে।
সবশেষে বলা যায়, ল্যাথাইরিজমের মূল কারণ খেসারী ডালের অতিরিক্ত ও দীর্ঘমেয়াদি সেবন। তাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস, সচেতনতা ও বৈচিত্র্যময় আহারই এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায়।
0
Updated: 21 hours ago
Retinol-এর উৎস কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
প্রাণীজ যকৃত
B
গাঁজর
C
মিষ্টি কুমড়া
D
পাঁকা পেপে
Retinol হলো Vitamin A-এর সক্রিয় প্রাণীজ রূপ, যা শরীরে সরাসরি ব্যবহৃত হতে পারে এবং দৃষ্টিশক্তি, বৃদ্ধি ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি মূলত প্রাণীজ খাদ্যে উপস্থিত থাকে, যেখানে এটি পূর্বনির্মিত (preformed) আকারে থাকে।
-
প্রাণীজ উৎস: রেটিনল পাওয়া যায় প্রধানত
১. যকৃত (Liver) – ভিটামিন A-এর সবচেয়ে সমৃদ্ধ উৎস
২. দুধ ও দুধজাত পণ্য – যেমন দই, পনির ইত্যাদি
৩. মাখন
৪. ডিমের কুসুম -
উদ্ভিদজাত বিকল্প: উদ্ভিদজাত খাবারে সরাসরি রেটিনল থাকে না; বরং থাকে প্রো-ভিটামিন A (β-Carotene), যা শরীরে রেটিনলে রূপান্তরিত হয়। এর প্রধান উৎস হলো গাজর, মিষ্টি কুমড়া, পেঁপে, টমেটো ও সবুজ শাকসবজি।
-
জৈবিক ভূমিকা: রেটিনল দৃষ্টিশক্তিতে রোডপসিন (Rhodopsin) গঠনে সহায়তা করে, যা অল্প আলোতেও দেখার ক্ষমতা প্রদান করে। এছাড়া এটি ত্বক, হাড় ও রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য অপরিহার্য।
-
অতিরিক্ত তথ্য: শরীরে অতিরিক্ত রেটিনল জমলে হাইপারভিটামিনোসিস A ঘটতে পারে, তাই এটি সুষম মাত্রায় গ্রহণ করা উচিত; অন্যদিকে β-Carotene তুলনামূলকভাবে নিরাপদ কারণ দেহ প্রয়োজন অনুযায়ীই এটিকে রেটিনলে রূপান্তরিত করে।
0
Updated: 2 weeks ago
Diet and CVD-এর ক্ষেত্রে Omega-3 fatty acid প্রধানতঃ
Created: 2 weeks ago
A
Reduce LDL-Cholesterol
B
Reduce TG and Inflammation
C
Increase blood glucose
D
Increase blood pressure
ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড (Omega–3 Fatty Acids) হলো একধরনের বহুঅসংযুক্ত অসম্পৃক্ত চর্বি (polyunsaturated fat), যা দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি প্রধানত রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড (TG) এর মাত্রা হ্রাস করে এবং দেহে প্রদাহ (inflammation) কমায়, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
১. হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারিতা: এটি রক্তে চর্বির ভারসাম্য বজায় রাখে, রক্তনালির স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা উন্নত করে।
২. প্রদাহনাশক ভূমিকা: ওমেগা–৩ দেহে প্রদাহজনিত রাসায়নিকের উৎপাদন কমিয়ে দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন আর্থ্রাইটিস বা অ্যাজমা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৩. উৎস: প্রধান উৎস হলো চর্বিযুক্ত মাছ (যেমন স্যামন, সার্ডিন, টুনা), ফ্ল্যাক্সসিড, চিয়া সিড, আখরোট, ও ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্ট।
৪. স্নায়ুতন্ত্র ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারিতা: এটি মস্তিষ্কের বিকাশ, স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 2 weeks ago
কিডনী ফাংশন মুল্যায়নে কোন্ পরীক্ষা করা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
রক্তের ALT/AST
B
রক্তের Creatinine
C
HbA1C পরীক্ষা
D
রক্তের(Bilirubin)
কিডনির স্বাভাবিক কার্যকারিতা মূল্যায়নে রক্তে ক্রিয়াটিনিনের মাত্রা একটি নির্ভরযোগ্য নির্দেশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ক্রিয়াটিনিন মূলত পেশির বিপাকক্রিয়ার উপজাত, যা কিডনির মাধ্যমে প্রস্রাবের সঙ্গে নির্গত হয়।
-
রক্তে ক্রিয়াটিনিনের মাত্রা স্বাভাবিক সীমার মধ্যে থাকলে বোঝা যায় কিডনি সঠিকভাবে বর্জ্য অপসারণ করছে।
-
যদি এর মাত্রা উচ্চ হয়, তা নির্দেশ করে কিডনির ফিল্টার করার ক্ষমতা কমে গেছে বা কিডনি বিকলতার সম্ভাবনা রয়েছে।
-
ক্রিয়াটিনিনের উচ্চ মাত্রা সাধারণত কিডনি ডিজিজ, ডিহাইড্রেশন বা অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের সাথেও সম্পর্কিত হতে পারে।
-
কিডনির কার্যকারিতা আরও নির্ভুলভাবে জানার জন্য eGFR (Estimated Glomerular Filtration Rate) পরীক্ষাও একসঙ্গে মূল্যায়ন করা হয়।
0
Updated: 2 weeks ago