অতিরিক্ত খাদ্য থেকে লিভারে সঞ্চিত সুগার হলো-
A
গ্লুকোজ
B
গ্লাইকোজেন
C
আমিষ
D
গ্যালাকটোজ
উত্তরের বিবরণ
অতিরিক্ত খাদ্য থেকে লিভারে সঞ্চিত সুগার হলো গ্লাইকোজেন। এটি শরীরের শক্তি সংরক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যখন শরীরের প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে গ্লুকোজ গ্রহণ করা হয়, তখন অতিরিক্ত গ্লুকোজ লিভার ও পেশিতে গ্লাইকোজেন আকারে জমা থাকে। পরবর্তীতে শরীরে শক্তির প্রয়োজন হলে এই গ্লাইকোজেন ভেঙে পুনরায় গ্লুকোজে পরিণত হয় এবং রক্তে প্রবাহিত হয়।
• গ্লাইকোজেন হলো একটি পলিস্যাকারাইড, যা মূলত গ্লুকোজ অণু দিয়ে তৈরি। এটি প্রাণীদেহে “অ্যানিম্যাল স্টার্চ” নামে পরিচিত এবং লিভার ও পেশিতে সঞ্চিত থাকে।
• লিভারে প্রায় ১০০-১২০ গ্রাম পর্যন্ত গ্লাইকোজেন সংরক্ষিত হতে পারে, যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
• যখন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়, তখন লিভারে থাকা গ্লাইকোজেন ভেঙে গ্লুকোজে পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় গ্লাইকোজেনোলাইসিস (Glycogenolysis)।
• আবার গ্লুকোজ থেকে গ্লাইকোজেন তৈরির প্রক্রিয়াকে বলা হয় গ্লাইকোজেনেসিস (Glycogenesis)। এই প্রক্রিয়া ইনসুলিন হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
• শরীরে গ্লাইকোজেনের প্রধান কাজ হলো শক্তির রিজার্ভ হিসেবে কাজ করা। বিশেষ করে উপবাস অবস্থায় বা শারীরিক পরিশ্রমের সময় এটি গ্লুকোজ সরবরাহ করে শরীরের শক্তির ঘাটতি পূরণ করে।
• লিভারের পাশাপাশি পেশিতেও কিছু গ্লাইকোজেন জমা থাকে, যা পেশির কাজের সময় শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে।
• গ্লুকোজ হলো রক্তে চলাচলকারী একক শর্করা (monosaccharide), যা তাৎক্ষণিক শক্তির উৎস হলেও এটি সঞ্চিত অবস্থায় থাকে না।
• আমিষ (Protein) শরীরের গঠন ও কোষ মেরামতে ব্যবহৃত হয়, তবে এটি শর্করা নয় এবং শক্তি সঞ্চয়ের প্রধান মাধ্যমও নয়।
• গ্যালাকটোজ একটি মনোস্যাকারাইড, যা দুধের ল্যাক্টোজ থেকে পাওয়া যায়। এটি লিভারে গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়, কিন্তু গ্লাইকোজেন আকারে সঞ্চিত থাকে না।
• সুতরাং, অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের পর শরীরের প্রয়োজনের অতিরিক্ত গ্লুকোজ লিভারে গ্লাইকোজেন হিসেবে জমা থাকে এবং প্রয়োজনের সময় এটি গ্লুকোজে পরিণত হয়ে শক্তি সরবরাহ করে।
অতএব, সঠিক উত্তর হলো গ্লাইকোজেন, কারণ এটি লিভারে সঞ্চিত শর্করার রূপ যা শরীরের শক্তির প্রয়োজন মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 21 hours ago
Micro-nutrient-এর ঘাটতি পূরণে ব্যবহৃত পদ্ধতি?
Created: 2 weeks ago
A
Fortification
B
Supplementation
C
Balanced diet
D
পূর্বের সবগুলো
Micronutrient deficiency বা ক্ষুদ্র পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণের জন্য একাধিক কার্যকর পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যা শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
-
Fortification: এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে খাদ্যে অতিরিক্ত ভিটামিন বা খনিজ উপাদান যোগ করা হয় যাতে সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন খাদ্যের মাধ্যমেই পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ— আয়োডিনযুক্ত লবণ, ভিটামিন A সমৃদ্ধ দুধ, আয়রনযুক্ত ময়দা ইত্যাদি।
-
Supplementation: এই পদ্ধতিতে সরাসরি ট্যাবলেট, সিরাপ বা ক্যাপসুলের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করা হয়। এটি দ্রুত পুষ্টি ঘাটতি পূরণে কার্যকর। যেমন— ফোলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট, আয়রন সাপ্লিমেন্ট, ভিটামিন D ক্যাপসুল ইত্যাদি।
-
Balanced Diet: প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন প্রকারের খাবার যেমন শাকসবজি, ফল, মাছ, ডিম, দুধ, ডাল, শস্য ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা হলে শরীর প্রাকৃতিকভাবে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ পায়।
-
Nutrition Education: পুষ্টি সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধি ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে দীর্ঘমেয়াদে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ঘাটতি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
-
Public Health Programs: সরকার ও স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো বিভিন্ন fortification ও supplementation কর্মসূচি পরিচালনা করে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 2 weeks ago
Type-2 Diabetes-এর প্রাথমিক Pathophysiology কোনটী?
Created: 2 weeks ago
A
ইনসুলিনের সম্পূর্ণ অভাব
B
গ্লুকাগন-এর আধিক্য
C
ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ও আংশিক ইনসুলিন হ্রাস
D
আলফা কোষ ধ্বংস
Type-2 Diabetes Mellitus (T2DM) একটি মেটাবলিক ডিজঅর্ডার, যেখানে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দীর্ঘসময় ধরে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এর মূল সমস্যা ইনসুলিনের কার্যকারিতা ও উৎপাদনের ঘাটতির সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
Insulin resistance: শরীরের টার্গেট টিস্যু যেমন লিভার, মাংসপেশি ও অ্যাডিপোজ টিস্যু ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা হারায়, ফলে ইনসুলিন থাকা সত্ত্বেও গ্লুকোজ সঠিকভাবে কোষে প্রবেশ করতে পারে না।
-
Partial insulin deficiency: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্যানক্রিয়াসের β-cells ইনসুলিন উৎপাদন ক্ষমতা হারায় বা কমিয়ে ফেলে, যার ফলে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়।
-
এই দুইটি কারণ একত্রে হাইপারগ্লাইসেমিয়া (উচ্চ রক্তে গ্লুকোজ) সৃষ্টি করে।
-
সাধারণত অতিরিক্ত ওজন, স্থূলতা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অনিয়মিত জীবনযাপন এবং জেনেটিক কারণ T2DM বিকাশে ভূমিকা রাখে।
-
রোগটি সাধারণত ধীরে ধীরে বিকশিত হয় এবং দীর্ঘমেয়াদে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, কিডনি ফেইলিউর, রেটিনোপ্যাথি ও নার্ভ ড্যামেজ সৃষ্টি করতে পারে।
0
Updated: 2 weeks ago
Energy Calculation-এর সাথে কোনটি বেশী সম্পৃক্ত?
Created: 2 weeks ago
A
BMR
B
Age
C
Height
D
Food Habit
দেহের দৈনিক শক্তি চাহিদা নির্ধারণে BMR (Basal Metabolic Rate) একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি এমন পরিমাণ শক্তি যা শরীর সম্পূর্ণ বিশ্রাম অবস্থায় নিজের মৌলিক কাজগুলো বজায় রাখতে ব্যবহার করে।
-
BMR হলো সেই ন্যূনতম শক্তি যা শরীরের শ্বাস-প্রশ্বাস, রক্ত সঞ্চালন, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, কোষের বৃদ্ধি ও মেরামত ইত্যাদি কার্যক্রম চালাতে প্রয়োজন হয়।
-
এটি সাধারণত প্রতি দিনে কিলোক্যালোরি (kcal/day) এককে প্রকাশ করা হয়।
-
বয়স, লিঙ্গ, দেহের ওজন, উচ্চতা এবং শরীরের গঠন BMR-কে প্রভাবিত করে।
-
মোট দৈনিক শক্তি চাহিদা নির্ধারণে BMR ছাড়াও শারীরিক কাজকর্ম (Physical Activity) ও খাদ্য হজমের সময়ের শক্তি ব্যয় (Thermic Effect of Food) যুক্ত হয়।
-
BMR যত বেশি, দেহের শক্তি চাহিদাও তত বেশি হয়, আর BMR কম হলে শক্তি প্রয়োজনও কমে যায়।
0
Updated: 2 weeks ago