কোনটি ভেক্টর বাহিত রোগ নয়?
A
ম্যালেরিয়া
B
কালাজ্বর
C
ইনফ্লুয়েঞ্জা
D
ডেঙ্গু জ্বর
উত্তরের বিবরণ
ইনফ্লুয়েঞ্জা হলো একটি ভাইরাসজনিত শ্বাসযন্ত্রের রোগ যা সরাসরি আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি বা সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। এটি কোনো ভেক্টর বা বাহকের মাধ্যমে ছড়ায় না। তাই ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি ভেক্টর বাহিত নয় এমন রোগ। অন্যদিকে ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর এবং ডেঙ্গু—সবগুলোই বিভিন্ন প্রকারের বাহকের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
• ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রামক রোগ, যা মূলত মানবদেহের শ্বাসযন্ত্রে আক্রমণ করে।
• এই ভাইরাসটি মূলত বাতাসে ভেসে থাকা ফোঁটার মাধ্যমে ছড়ায় যখন কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচে বা কাশে।
• সাধারণ উপসর্গের মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ হওয়া, ক্লান্তি এবং কাশি দেখা যায়।
• ইনফ্লুয়েঞ্জা সাধারণত মৌসুমি বা ঋতুভিত্তিক প্রকৃতির হয়, বিশেষ করে শীতকালে এর প্রকোপ বেশি থাকে।
• এটি A, B ও C টাইপ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্বারা হতে পারে, যার মধ্যে টাইপ A সবচেয়ে বিপজ্জনক।
• রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা (Influenza Vaccine) গ্রহণ করা কার্যকর একটি উপায়।
• এই রোগে মশা, মাছি বা অন্য কোনো বাহকের ভূমিকা নেই, তাই একে ভেক্টর বাহিত রোগ বলা যায় না।
অন্যদিকে, যেসব রোগ ভেক্টর দ্বারা ছড়ায়—
• ম্যালেরিয়া: প্লাজমোডিয়াম নামক পরজীবীর কারণে হয় যা অ্যানোফিলিস মশার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
• কালাজ্বর: লিশম্যানিয়া ডোনোভানি নামক পরজীবী দ্বারা হয় এবং এটি স্যান্ড ফ্লাই (বালি মাছি) দ্বারা সংক্রমিত হয়।
• ডেঙ্গু জ্বর: ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়।
এই তিনটি রোগে একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো—এগুলোতে জীবিত বাহক বা ভেক্টর অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। কিন্তু ইনফ্লুয়েঞ্জার ক্ষেত্রে কোনো ভেক্টরের প্রয়োজন হয় না; বরং এটি সরাসরি সংস্পর্শ বা বায়ুবাহিত ফোঁটার মাধ্যমে ছড়ায়।
সবশেষে বলা যায়, ইনফ্লুয়েঞ্জা এমন একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা মানুষ থেকে মানুষে সরাসরি সংক্রমিত হয়। কোনো কীটপতঙ্গ বা প্রাণী এখানে বাহক হিসেবে কাজ করে না। তাই প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা-ই একমাত্র ভেক্টর বাহিত নয় এমন রোগ, আর এই কারণেই এটি সঠিক উত্তর।
0
Updated: 21 hours ago
নিচের কোনটি ভাইরাসজনিত রোগ (Viral Disease)?
Created: 1 month ago
A
টিউবারকিউলোসিস (Tuberculosis)
B
হুপিং কাশি (Whooping cough)
C
ডিপথেরিয়া (Diphtheria)
D
ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza)
ভাইরাস ঘটিত রোগ ও ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ
◉ Influenza
-
ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগ, যা সাধারণত ফ্লু নামে পরিচিত।
ভাইরাস ঘটিত রোগ
-
ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত রোগকে ভাইরাস জনিত রোগ বলা হয়।
-
উল্লেখযোগ্য ভাইরাস জনিত রোগসমূহ:
-
জন্ডিস
-
পোলিও
-
জলাতঙ্ক
-
কোভিড-১৯
-
হার্পিস
-
দাদ
-
গুটি বসন্ত
-
জল বসন্ত
-
হাম
-
মাম্পস
-
ইনফ্লুয়েঞ্জা
-
বার্ড ফ্লু
-
সোয়াইন ফ্লু
-
ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ
-
Tuberculosis: Mycobacterium tuberculosis ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট।
-
Whooping cough: Bordetella pertussis ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট।
-
Diphtheria: Corynebacterium diphtheriae ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট।
উৎস: উদ্ভিদবিজ্ঞান, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি।
0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোন রােগটি DNA ভাইরাসঘটিত?
Created: 1 month ago
A
ডেঙ্গুজ্বর
B
স্মলপক্স
C
কোভিড-১৯
D
পােলিও
স্মলপক্স একটি DNA ভাইরাসঘটিত রোগ যা ভেরিওলা ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট। সাধারণত ভাইরাসে নিউক্লিক এসিড হিসেবে হয় DNA অথবা RNA থাকে, কিন্তু উভয়টি একসাথে কখনো থাকে না। অন্যান্য জীবদেহে DNA ও RNA একসাথে পাওয়া গেলেও ভাইরাসের ক্ষেত্রে এটি সম্ভব নয়।
তথ্যগুলো নিচে সাজানো হলো:
-
স্মলপক্স রোগটি DNA ভাইরাসঘটিত।
-
ভেরিওলা ভাইরাস মানবদেহে স্মলপক্স বা গুটি বসন্ত সৃষ্টি করে।
-
ভাইরাসে নিউক্লিক এসিড হিসেবে DNA ও RNA থাকে, তবে একই সাথে দুইটি কখনো থাকে না।
DNA ভাইরাসঘটিত রোগ:
-
যে ভাইরাসে নিউক্লিক অ্যাসিড হিসেবে DNA থাকে তাদেরকে DNA ভাইরাস বলা হয়।
-
উদাহরণ: হার্পিস সিমপ্লেক্স (মানব), Tipula irridescent, Rabbitpox, Vaccinia (bovine), ভেরিওলা (মানব), Pustular dermatitis (Sheep), এডেনা গ্রুপ, প্যাপিলোমা (মানব), পলিওমা, ΦX174 কলিফাজ, Cauliflower mosaic, Adenoassociated প্রভৃতি।
RNA ভাইরাসঘটিত রোগ:
-
যে ভাইরাসে নিউক্লিক অ্যাসিড হিসেবে RNA থাকে তাদেরকে RNA ভাইরাস বলা হয়।
-
উদাহরণ: ইনফ্লুয়েঞ্জা বি (মানব), পোলিও (মানব), রুবেলা (মানব), পীতজ্বর (মানব), ডেঙ্গু (মানব), Encephalitis (মানব), Leukemia (cat), মাম্পস (মানব), Measles (মানব), Cold (মানব), Newcastle disease (fowl), Rous sarcoma (bird), Rabies (dog), Potato yellow dwarf, Vesicular stomatitis (cattle), Tobacco mosaic, Sugarcane mosaic, fd (Pseudomonas), Cucumber mosaic, f2, fr1, R17 কলিফাজ প্রভৃতি।
0
Updated: 1 month ago
জিকা ভাইরাস ছড়ায় কিসের মাধ্যমে ?
Created: 1 week ago
A
মশা
B
মাছি
C
পানি
D
বাতাস
জিকা ভাইরাস একটি সংক্রামক ভাইরাস যা মানুষের দেহে মশার মাধ্যমে প্রবেশ করে এবং নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। এটি মূলত ফ্ল্যাভিভাইরিডি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত এবং বিশ্বব্যাপী গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ও উপ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে দেখা যায়।
-
জিকা ভাইরাস (Zika virus) ফ্ল্যাভিভাইরিডি (Flaviviridae) পরিবারের ফ্ল্যাভিভাইরাস (Flavivirus) গণের অন্তর্গত।
-
এর নামকরণ হয়েছে উগান্ডার “জিকা” গ্রাম থেকে, যেখানে প্রথমবার বানরের দেহে এ ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছিল।
-
স্থানীয় ভাষায় ‘জিকা’ শব্দের অর্থ ‘বাড়ন্ত’, যা ভাইরাসটির দ্রুত বিস্তার বৈশিষ্ট্যকে নির্দেশ করে।
-
ভাইরাসটি প্রধানত দুই প্রজাতির এডিস মশা— Aedes aegypti এবং Aedes albopictus—এর মাধ্যমে ছড়ায়।
-
Aedes aegypti মশা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে বেশি সক্রিয় থাকে, কারণ শীতপ্রধান অঞ্চলে তারা টিকে থাকতে পারে না।
-
সংক্রমিত মশা যখন কাউকে কামড়ায়, তখন তার শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করে এবং পরে রক্তের মাধ্যমে অন্য অঙ্গেও ছড়িয়ে পড়ে।
-
জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত জ্বর, র্যাশ, মাথাব্যথা, সন্ধিব্যথা ও চোখ লাল হওয়া (কনজাংকটিভাইটিস)-এর মতো উপসর্গে ভোগে।
-
এটি গর্ভবতী নারীদের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ এটি নবজাতকের মাইক্রোসেফালি (মস্তিষ্কের আকার ছোট হওয়া) রোগের কারণ হতে পারে।
-
ভাইরাসটির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনো ভ্যাকসিন বা ওষুধ নেই, তাই প্রতিরোধই মূল উপায় — যেমন মশার কামড় থেকে সুরক্ষা ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখা।
0
Updated: 1 week ago