'The Origin and Development of Bengali Language' গ্রন্থটি রচনা করেছেন-
A
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
B
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
C
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
স্যার জর্জ গ্রিয়ারসন
উত্তরের বিবরণ
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ভাষাতত্ত্ববিষয়ক অবদান
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ ভাষাবিজ্ঞানী হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত। তাঁর গবেষণায় বাংলা ভাষার উৎপত্তি, বিকাশ এবং ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের যে বিশ্লেষণ পাওয়া যায়, তা বাংলা ভাষাতত্ত্বে এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।
জন্ম ও পরিচয়
১৮৯০ সালের ২৬ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার শিবপুরে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম। ভাষা ও সাহিত্যচর্চায় তাঁর অবদানের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে ‘ভাষাচার্য’ উপাধিতে ভূষিত করেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জগতে তিনি এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
বিখ্যাত গ্রন্থ: Original and Development of Bengali Language (ODBL)
সুনীতিকুমারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত গ্রন্থ হলো ‘Original and Development of Bengali Language’, সংক্ষেপে ODBL। গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৬ সালে। এটি বাংলা ভাষার ইতিহাস, উৎপত্তি, বিবর্তন ও গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে একটি বিস্তৃত গবেষণাগ্রন্থ। তিনি এই গ্রন্থে প্রথমবারের মতো চর্যাপদের ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য বিশদভাবে আলোচনা করেন।
ভাষাতাত্ত্বিক অবদান:
ODBL গ্রন্থে সুনীতিকুমার বাংলা ভাষার ধ্বনিগত, রূপগত ও শব্দগঠন-সম্পর্কিত নানা দিক বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি প্রমাণ করেন যে চর্যাপদের ভাষা প্রাচীন বাংলা ভাষার সূচনাপর্ব হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এর মাধ্যমে বাংলা ভাষার প্রাচীনত্ব ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভাষাতাত্ত্বিক গ্রন্থগুলো হলো:
-
Bengali Phonetic Readers
-
বাংলা ভাষাতত্ত্বের ভূমিকা
-
সরল ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ
-
Language and Literature of Modern India
সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে স্বীকৃতি
শুধু ভাষাতত্ত্বেই নয়, বাংলা সাহিত্যেও সুনীতিকুমারের অবদান উল্লেখযোগ্য। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাসে তাঁর স্বীকৃতি পাওয়া যায়, যা তাঁর ব্যক্তিত্ব ও চিন্তার গভীরতার প্রমাণ বহন করে।
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের 'Original and Development of Bengali Language' বাংলা ভাষাতত্ত্বে মাইলফলক স্বরূপ। তিনি বাংলা ভাষার বিকাশকে শুধু ইতিহাসের আলোকে বিশ্লেষণ করেননি, বরং ভাষাতাত্ত্বিক পদ্ধতির মাধ্যমে তা প্রমাণসাপেক্ষভাবে উপস্থাপন করেছেন। তাঁর কাজ আজও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষকদের জন্য এক অমূল্য সম্পদ।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
'শূন্যপুরাণ' কোন ধর্মীয় তত্ত্বের গ্রন্থ?
Created: 3 weeks ago
A
হিন্দু ধর্মীয়
B
খ্রিষ্ট ধর্মীয়
C
বৌদ্ধ ধর্মীয়
D
জৈন ধর্মীয়
শূন্যপুরাণ
-
লেখক: রামাই পণ্ডিত
-
এটি বৌদ্ধ ধর্মীয় তত্ত্বের উপর রচিত একটি গ্রন্থ এবং অন্ধকার যুগের সাহিত্য নিদর্শন।
-
ধরন: ধর্মপূজাপদ্ধতি; গদ্য ও পদ্যের মিশ্রণে রচিত চম্পুকাব্য।
-
গ্রন্থটি মোট ৫১টি অধ্যায় সম্বলিত, যার প্রথম ৫টি অধ্যায় সৃষ্টিতত্ত্ব বিষয়ক।
-
রচনার সময়কাল: ত্রয়োদশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যে।
-
গ্রন্থটি নামহীন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল; নাগেন্দ্রনাথ বসু তিনটি পুথির পাঠ সংগ্রহ করে ১৩১৪ বঙ্গাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ‘শূন্যপুরাণ’ নামে প্রকাশ করেন।

0
Updated: 3 weeks ago
নিচের কোনটি ভ্রমণসাহিত্য বিষয়ক গ্রন্থ নয়?
Created: 1 month ago
A
চার ইয়ারী কথা
B
পালামৌ
C
দৃষ্টিপাত
D
দেশে বিদেশে
‘চার ইয়ারী কথা’ ও প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্য
‘চার ইয়ারী কথা’ প্রমথ চৌধুরীর একটি গল্পগ্রন্থ, যা ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হয়। এতে চার বন্ধুর প্রেমকাহিনি উঠে এসেছে। গল্পের নায়িকা চারজনই ইউরোপীয়।
প্রথম নায়িকা উন্মাদ, দ্বিতীয় চোর, তৃতীয় প্রতারক, এবং চতুর্থ নায়িকা মৃত্যুর পর ভালোবাসা প্রকাশ করে। বইটিতে ভাষার চাতুর্য, সূক্ষ্ম ব্যঙ্গ, পরিহাসপ্রিয়তা এবং ভাবালু প্রেমকাহিনির প্রতিবাদী রূপ ফুটে উঠেছে।
তুলনায়:
-
‘পালামৌ’ — সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম ভ্রমণকাহিনি।
-
‘দৃষ্টিপাত’ — বিখ্যাত ভ্রমণকাহিনির রচয়িতা বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়।
-
‘দেশে বিদেশে’ — সৈয়দ মুজতবা আলীর রচিত সুপরিচিত ভ্রমণকাহিনি।
প্রমথ চৌধুরী
-
তিনি বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রূপের তুলনামূলক গবেষক।
-
বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক এবং বিদ্রূপাত্মক প্রাবন্ধিক হিসেবে সুপরিচিত।
-
সাহিত্যিক ছদ্মনাম: বীরবল।
-
১৯০২ সালে ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত ‘বীরবলের হালখাতা’ প্রবন্ধে প্রথমবার চলিত রীতি প্রয়োগ করেন।
-
বাংলা কাব্যে তিনিই প্রথম ইতালীয় সনেট প্রবর্তন করেন।
প্রমথ চৌধুরীর প্রধান রচনা:
-
গল্পগ্রন্থ: ‘আহুতি’, ‘নীললোহিত’ এবং অন্যান্য গল্পসংগ্রহ।
-
কাব্যগ্রন্থ: ‘সনেট পঞ্চাশৎ’, ‘পদচারণ’।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
জীবনের কথা
B
জীবনকথা
C
জীবনস্মৃতি
D
অতীতের দিনগুলি
‘জীবনস্মৃতি’
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ।
-
প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১২ সালে।
-
বাল্মীকি প্রতিভা রচনার সময় থেকে রবীন্দ্রনাথ সম্পূর্ণভাবে গান ও কাব্য রচনায় মনোনিবেশ করেন।
-
তিনি রচনা করেন সন্ধ্যাসংগীত (১৮৮২) ও প্রভাতসংগীত (১৮৮৩)।
-
এই সময়কার অনুভূতিই কবির জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা তিনি ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থে ব্যক্ত করেছেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago