'অক্ষির সমীপে' এর সংক্ষেপণ হলো-
A
সমক্ষ
B
প্রত্যক্ষ
C
নিরপেক্ষ
D
পরোক্ষ
উত্তরের বিবরণ
‘অক্ষির সমীপে’ একটি প্রাচীন বাংলা শব্দবন্ধ, যার অর্থ হলো কোনো বিষয় বা বস্তুর সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্শ বা উপস্থিতি। এর সংক্ষেপণ হিসেবে ব্যবহার হয় ‘সমক্ষ’। তাই সঠিক উত্তর হলো সমক্ষ।
‘সমক্ষ’ শব্দটি মূলত সংক্ষিপ্ত রূপে ব্যবহার করা হয়, যা কোনো ঘটনা, ব্যক্তি বা বস্তুর সঙ্গে সরাসরি উপস্থিতি বা সম্মুখীন হওয়া বোঝায়। উদাহরণস্বরূপ, “সে সকল ঘটনার সমক্ষ উপস্থিত ছিল” অর্থাৎ সে সরাসরি সব ঘটনার সাক্ষী ছিল।
অন্যান্য বিকল্প যেমন প্রত্যক্ষ, নিরপেক্ষ, পরোক্ষ—এসব শব্দের অর্থ কিছুটা আলাদা।
প্রত্যক্ষ মানে হলো “নিজ চোখে দেখা বা সরাসরি অভিজ্ঞতা”,
নিরপেক্ষ মানে হলো “পক্ষপাতহীন বা সাম্যবিচারমুখী”,
পরোক্ষ মানে হলো “সরাসরি নয়, পরোক্ষভাবে বা অপ্রত্যক্ষভাবে সংযুক্ত”।
তাদের তুলনায়, ‘সমক্ষ’ হলো অক্ষির সমীপে বা সরাসরি উপস্থিতি বোঝানোর সংক্ষিপ্ত ও সঠিক রূপ।
সারসংক্ষেপে, ‘অক্ষির সমীপে’ এর সংক্ষেপণ হলো ‘সমক্ষ’, যা বাংলা ভাষায় প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্য দু’য়োতেই ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 22 hours ago
কোনটি ঠিক?
Created: 1 week ago
A
রৌদ্র করোটিতে-ভ্রমণ কাহিনী
B
রাইফেল রোটি আওরাত-নাটক
C
সোজবাদিয়ার ঘাট-সিনেমা
D
ঘর মন জানালা-উপন্যাস
“ঘর মন জানালা” একটি উপন্যাস, যা আধুনিক জীবনের জটিলতা, মানুষের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও সমাজবাস্তবতার সূক্ষ্ম চিত্র তুলে ধরে। প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে এটি-ই সঠিক উত্তর, কারণ অন্যান্য রচনাগুলো ভিন্ন ঘরানার সাহিত্যকর্ম।
এই উপন্যাসে লেখক মানুষের মানসিক দিক, সামাজিক অবস্থান এবং পারিবারিক সম্পর্কের টানাপোড়েন অত্যন্ত সংবেদনশীলভাবে উপস্থাপন করেছেন। গল্পের গঠন, ভাষা ও বর্ণনার ধরণ উপন্যাসের স্বাভাবিক রীতি অনুসারে তৈরি, যা একে অন্যান্য ঘরানার থেকে স্পষ্টভাবে পৃথক করেছে।
-
উপন্যাসের মূল বৈশিষ্ট্য হলো চরিত্র, ঘটনা ও পরিবেশের মাধ্যমে জীবনের বিস্তৃত চিত্র তুলে ধরা। “ঘর মন জানালা”-তে লেখক এই তিনটি উপাদানকে দক্ষতার সঙ্গে একত্র করেছেন।
-
গল্পে বাস্তবতা ও মানসিক গভীরতার সমন্বয় রয়েছে, যা পাঠককে চরিত্রদের অনুভূতি ও সংগ্রামের সঙ্গে একাত্ম করে তোলে।
-
লেখক এখানে সমাজ ও পারিবারিক মূল্যবোধের পরিবর্তন, মানুষের একাকিত্ব এবং ভালোবাসার আকাঙ্ক্ষাকে কেন্দ্র করে কাহিনি বিন্যাস করেছেন, যা উপন্যাসের জন্য আদর্শ বিষয়।
-
ভাষা ও শৈলী সহজ হলেও গভীর আবেগময়। এতে মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ যেমন আছে, তেমনি বাস্তব জীবনের টানাপোড়েনও ফুটে উঠেছে।
-
“ঘর মন জানালা” নামটিও প্রতীকী— ‘ঘর’ মানে পারিবারিক পরিসর, ‘মন’ মানে ব্যক্তিগত অনুভূতি, আর ‘জানালা’ মানে বাইরের জগতের দিকে মানুষের দৃষ্টিপাত। এই প্রতীকগুলোর মাধ্যমে লেখক মানুষের অন্তর্জগত ও বহির্জগতের সম্পর্ককে সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছেন।
-
কাহিনির অগ্রগতি ধীর এবং বাস্তবধর্মী, যা উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য। নাটক বা গল্পের মতো সংক্ষিপ্ত নয়, বরং চরিত্র ও ঘটনার পরিপূর্ণ বিকাশ রয়েছে।
-
উপন্যাসটি পাঠককে শুধু বিনোদন দেয় না, বরং চিন্তা-ভাবনার দিকেও নিয়ে যায়। এটি সামাজিক পরিবর্তন ও মানবিক মূল্যবোধের পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানায়।
অন্য বিকল্পগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, “রৌদ্র করোটিতে” একটি ভ্রমণকাহিনী, “রাইফেল রোটি আওরাত” একটি নাটক, এবং “সোজবাদিয়ার ঘাট” একটি চলচ্চিত্র। তাই শুধুমাত্র “ঘর মন জানালা” উপন্যাস হিসেবে সঠিক।
সবদিক বিবেচনায় বলা যায়, “ঘর মন জানালা”-ই প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে উপন্যাস হিসেবে যথার্থ ও সঠিক উত্তর।
0
Updated: 1 week ago
“আমি কি ডরাই সখি ভিখারী রাঘবে?” রাঘবে শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি-
Created: 1 week ago
A
কর্মে ২য়া
B
করণে ৭মী
C
অপাদানে ৫মী
D
অপাদানে ৭মী
বাক্যটি হলো — “আমি কি ডরাই সখি ভিখারী রাঘবে?”। এখানে আমাদের কাজ হলো ‘রাঘবে’ শব্দটি কোন কারকে (case) এবং কোন বিভক্তিতে (vibhakti) ব্যবহার হয়েছে তা নির্ণয় করা। সঠিক উত্তর হলো (ঘ) অপাদানে ৭মী।
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
১. অপাদান কার ও ৭মী বিভক্তি:
-
অপাদান কার (Ablative case) হলো এমন কার যা কোনো ব্যক্তি বা বস্তু থেকে বিচ্যুতি বা উৎস নির্দেশ করে।
-
বাংলা ব্যাকরণে অপাদানকে সাধারণত ‘থেকে’, ‘দ্বারা’, ‘এর দ্বারা’ ইত্যাদি দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
-
৭মী বিভক্তি হলো ঐ শব্দের বিকৃত রূপ যা অপাদান কার নির্দেশ করে।
২. ‘রাঘবে’ বিশ্লেষণ:
-
শব্দটি হলো রাঘব + এ
-
এখানে ‘এ’ যোগ হয়েছে কোনো বস্তু বা ব্যক্তির মাধ্যমে বা দ্বারা নির্দেশ করার জন্য।
-
অর্থাৎ, ‘ভিখারী’ (ভিক্ষুক) রাঘবের মাধ্যমে বা রাঘব থেকে কিছু প্রাপ্ত হচ্ছে বোঝাচ্ছে।
-
তাই এটি অপাদানে ৭মী বিভক্তি।
৩. অন্যান্য বিকল্পের ভুল ব্যাখ্যা:
-
(ক) কর্মে ২য়া: কোনো ক্রিয়ার সরাসরি পদ বোঝায়, যেমন: রাম খেলো → ‘খেলো’ কর্মে।
-
(খ) করণে ৭মী: কোনো কাজের উপকরণ নির্দেশ করে, যেমন: লাঠি দিয়ে মারল → ‘লাঠি’ করণে।
-
(গ) অপাদানে ৫মী: ৫মী অপাদান ব্যবহৃত হয় কিছু নির্দিষ্ট অবস্থা বা মাধ্যমের ক্ষেত্রে, কিন্তু এখানে ৭মী প্রযোজ্য।
সারসংক্ষেপ:
-
বাক্যে ‘রাঘবে’ হলো কোন মাধ্যমে বা কার দ্বারা কিছু কার্য সম্পাদন হচ্ছে তা নির্দেশ করছে।
-
অতএব, এটি অপাদানে ৭মী বিভক্তি।
উপসংহার:
‘রাঘবে’ শব্দটি অপাদানে ৭মী বিভক্তিতে ব্যবহৃত হয়েছে, তাই সঠিক উত্তর হলো (ঘ) অপাদানে ৭মী।
0
Updated: 1 week ago
যোজক কাকে বলে?
Created: 1 week ago
A
পদ
B
বর্গ
C
বাক্য
D
সবগুলোই
যোজক এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ, যা ভাষার গঠনকে সংযোজিত ও অর্থবহ করে তোলে। এটি বাক্যের মধ্যে বিভিন্ন পদ, বাক্যাংশ বা বাক্যকে যুক্ত করে অর্থের ঐক্য সৃষ্টি করে। বাংলা ভাষায় যোজকের ব্যবহার বাক্যের সুষমা ও যুক্তির ধারাবাহিকতা বজায় রাখে। যোজক সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ:
-
সংজ্ঞা: যেসব শব্দ একটি বাক্যের সঙ্গে অন্য বাক্য বা বাক্যের অংশবিশেষের সংযোজন, বিয়োজন বা সম্পর্ক স্থাপন করে, তাদের যোজক বলা হয়।
-
মূল কাজ: যোজকের প্রধান কাজ হলো দুটি বা ততোধিক শব্দ, পদবন্ধ, উপবাক্য বা বাক্যকে যুক্ত করা, যাতে বাক্যের মধ্যে সম্পর্ক স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়।
-
ব্যবহারিক দিক: এটি বাক্যকে জটিল না করে, বরং অর্থগতভাবে আরও সম্পূর্ণ ও সুন্দর করে তোলে।
-
যোজকের প্রকারভেদ:
-
সমুচ্চয় যোজক: দুটি সমপদ বা সমার্থক অংশ যুক্ত করে। যেমন— এবং, আর, ও, কিংবা, অথবা।
-
অধোজ্ঞাপক যোজক: একটি অংশ অপর অংশের অধীনতা প্রকাশ করে। যেমন— যদিও, যদি, কারণ, যেন, যাতে।
-
-
উদাহরণ:
-
রবি এবং রিমা আজ স্কুলে গেছে।
-
তুমি এলে আর আমি গেলাম।
-
যদি বৃষ্টি হয় তবে মাঠে খেলা হবে না।
-
-
ব্যাকরণে গুরুত্ব:
যোজক ছাড়া বাক্যের ভাব অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এটি ভাষার গঠন ও ভাব প্রকাশের ভারসাম্য রক্ষা করে। -
বাক্যে অবস্থান: সাধারণত দুই পদের বা বাক্যের মাঝখানে ব্যবহৃত হয়, তবে কখনও কখনও বাক্যের শুরুতেও আসতে পারে।
-
অর্থগত ভূমিকা: যোজক শুধু সংযোগ নয়, বাক্যের আবেগ, কারণ, ফলাফল, তুলনা ও শর্ত প্রকাশেও ভূমিকা রাখে।
-
ভাষার সৌন্দর্য বৃদ্ধি: যোজকের সঠিক প্রয়োগ ভাষাকে সাবলীল, সংগঠিত ও শ্রুতিমধুর করে তোলে।
সারসংক্ষেপে বলা যায়, যোজক হলো এমন এক পদ যা শব্দ, পদবন্ধ ও বাক্যকে যুক্ত করে সম্পূর্ণ অর্থবোধক বাক্য রচনা করতে সহায়তা করে। এটি ভাষার কাঠামোগত ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ভাব প্রকাশকে প্রাঞ্জল করে তোলে।
0
Updated: 1 week ago