শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কোন গ্রন্থটি সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিল?
A
শ্রীকান্ত
B
গৃহদাহ
C
পথের দাবী
D
শেষ প্রশ্ন
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সাহিত্যের মহান লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর সময়ের সমাজ ও মানুষের বাস্তবতা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে চিত্রিত করেছেন। এই ধারাবাহিকতায় তিনি সমাজের নানান দিক নিয়ে সাহসিকভাবে লিখেছেন, যা কখনো কখনো বিরোধের কারণও হয়। তাঁর গ্রন্থ ‘পথের দাবী’ এমন একটি রচনা, যা প্রকাশের সময় সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। তাই সঠিক উত্তর হলো পথের দাবী।
‘পথের দাবী’ গ্রন্থটি মূলত সামাজিক অনাচার, আর্থিক শোষণ, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দুর্দশার প্রতিফলন। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার লেখায় সরাসরি সমাজের ন্যায়-বিচার, দারিদ্র্য ও শ্রমজীবী মানুষের জীবনচিত্র তুলে ধরেন। তিনি যে বিষয়গুলো নিয়েছিলেন, তা প্রেক্ষাপট অনুযায়ী সরকার বা ক্ষমতাসীন মহলকে আপত্তিকর মনে হয়েছিল। সেই কারণে প্রকাশের সময় গ্রন্থটি বাজেয়াপ্ত করা হয়, যা সাহিত্যিক স্বাধীনতা এবং সমাজ-বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে ইতিহাসে রয়ে গেছে।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখায় সাধারণ মানুষের চাহিদা, আকাঙ্ক্ষা, প্রেম, নৈতিকতা এবং সমাজের অন্যান্য বাস্তব বিষয় ফুটে ওঠে। ‘পথের দাবী’-তে এই সমস্ত উপাদান বিদ্যমান, তবে তার সামাজিক সচেতনতা ও সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রন্থটিকে প্রেক্ষাপট হিসেবে সরকার বাজেয়াপ্ত করতে বাধ্য করেছিল।
সারসংক্ষেপে, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ গ্রন্থটি সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিল, যা সাহিত্য ও সমাজচেতনার মধ্যে সংঘাতের একটি স্মরণীয় ঘটনা। এটি তাঁর সাহসী লেখার প্রমাণ এবং বাংলা সাহিত্যে সমাজের বাস্তবতা প্রকাশের জন্য তার অদম্য চেষ্টাকে চিহ্নিত করে।
0
Updated: 22 hours ago
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করে কোন বিশ্ববিদ্যালয়?
Created: 3 months ago
A
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
B
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
C
বিশ্বভারতী
D
শান্তিনিকেতন
বাংলা সাহিত্যের অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে ১৯৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট ডিগ্রী এবং ১৯২৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। তাঁর রচিত উপন্যাস: বড় দিদি, পল্লি সমাজ, বিরাজ বৌ, শ্রীকান্ত, চরিত্রহীন, দেবদাস, গৃহদাহ, দেনাপাওনা, পথের দাবী ইত্যাদি।
0
Updated: 3 months ago
'অপর্ণা' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কোন গল্পের চরিত্র?
Created: 1 month ago
A
মহেশ
B
মামলার ফল
C
মন্দির
D
মেজদিদি
‘মন্দির’ গল্প
-
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত গল্পের নাম মন্দির।
-
এই গল্পের জন্য তিনি ১৯০৩ সালে কুন্তলীন সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
-
"বসুমতী" পত্রিকার সম্পাদক দেড়শ’টি গল্পের মধ্যে “মন্দির” গল্পটিকে শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচনা করেছিলেন।
গল্পের বিষয়বস্তু:
-
অমরনাথ অপর্ণাকে বিবাহ করলেও দাম্পত্য জীবনে শান্তি পায়নি।
-
অপর্ণা পিতৃগৃহে স্থাপিত রাধাকৃষ্ণের চরণে নিজেকে উৎসর্গীকৃত করেছিলেন অনেক আগে।
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
অমরনাথ
-
অপর্ণা
অন্যান্য গল্পের চরিত্রসমূহ:
-
‘মহেশ’ গল্প: গফুর, আমেনা, মহেশ (একটি ষাঁড়ের নাম), তর্করত্ন, জমিদার শিববাবু
-
‘মামলার ফল’ গল্প: দুই ভাই—শিবু ও শম্ভু
-
‘মেজদিদি’ গল্প: কেষ্টা, কাদম্বিনী, নবীন, বিপিন, হেমাঙ্গিনী
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
-
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
'ইন্দ্রনাথ' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কোন উপন্যাসের চরিত্র?
Created: 1 month ago
A
শ্রীকান্ত
B
পল্লীসমাজ
C
পণ্ডিতমশাই
D
পথের দাবী
শ্রীকান্ত উপন্যাস
-
রচয়িতা: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
ধরণ: আত্মজৈবনিক উপন্যাস
-
প্রকাশ:
-
চারটি খণ্ডে প্রকাশিত
-
প্রথম খণ্ড: মাসিক ভারতবর্ষে (১৯১৬-১৭), শিরোনাম: শ্রীকান্তের ভ্রমণ কাহিনি, লেখকের নাম মুদ্রিত হয় “শ্রীশ্রীকান্ত শর্মা”
-
দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ডও ভারতবর্ষে প্রকাশিত
-
চতুর্থ খণ্ড: বিচিত্র পত্রিকায় প্রকাশিত
-
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: শ্রীকান্ত, ইন্দ্রনাথ, রাজলক্ষ্মী
অন্যান্য সম্পর্কিত উপন্যাস:
-
পল্লীসমাজ:
-
প্রধান চরিত্র: রমা, রমেশ, বেণী, বলরাম
-
গ্রামীণ জীবনের সামাজিক ও নৈতিক দিক ফুটে উঠেছে
-
-
পণ্ডিতমশাই:
-
চরিত্র কেন্দ্র: বৃন্দাবন ও কুসুম
-
গ্রাম বাংলার পটভূমিতে মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন ও অনিশ্চয়তা চিত্রিত
-
-
পথের দাবী:
-
মূল চরিত্র: সব্যসাচী মল্লিক, ভারতী, সুমিত্রা, করুণাময়ী, বিনোদ
-
রাজনৈতিক ও সামাজিক সচেতনতার গল্প অন্তর্ভুক্ত
-
0
Updated: 1 month ago