কোন টীকাটি ই পি আই প্রোগ্রামে দেয়া হয় না?
A
M M R
B
BCG
C
DPT
D
Polio
উত্তরের বিবরণ
জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি বা EPI (Expanded Programme on Immunization) হচ্ছে এমন একটি স্বাস্থ্যসেবা উদ্যোগ যেখানে শিশুদের প্রাণঘাতী রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে বিভিন্ন টিকা প্রদান করা হয়। এই কর্মসূচিতে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিছু টিকা অন্তর্ভুক্ত করেছে। তবে MMR টিকা (Measles, Mumps, Rubella) বর্তমানে EPI-এর আওতায় প্রদান করা হয় না। নিচে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।
• EPI প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য হলো শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং সংক্রামক রোগ থেকে জনস্বাস্থ্যকে নিরাপদ রাখা। এই কর্মসূচি শুরু হয় ১৯৭৯ সালে এবং ১৯৮৫ সাল থেকে এটি সারাদেশে বিস্তৃত হয়।
• বর্তমানে বাংলাদেশের EPI প্রোগ্রামে নিম্নলিখিত টিকাগুলো প্রদান করা হয়—
BCG (যক্ষ্মা প্রতিরোধে), OPV বা Polio (পোলিও প্রতিরোধে), Pentavalent Vaccine বা DPT-HepB-Hib (ডিপথেরিয়া, পারটুসিস, টিটেনাস, হেপাটাইটিস বি ও হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধে), PCV (নিউমোকক্কাল সংক্রমণ প্রতিরোধে), Rota Vaccine (রোটা ভাইরাস ডায়রিয়া প্রতিরোধে) এবং MR Vaccine (হাম ও রুবেলা প্রতিরোধে)।
• MMR টিকা মূলত তিনটি রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়—Measles (হাম), Mumps (গাম্ভীর্য বা মাম্পস) এবং Rubella (জার্মান হাম)। তবে বাংলাদেশের EPI প্রোগ্রামে বর্তমানে MR (Measles-Rubella) টিকা দেওয়া হয়, Mumps বা মাম্পস-এর বিরুদ্ধে টিকা এখনও জাতীয় কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এ কারণেই MMR টিকা EPI প্রোগ্রামে প্রদান করা হয় না।
• MMR টিকা সাধারণত বেসরকারি বা বিশেষ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে পাওয়া যায়। এটি শিশুদের অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রদান করে, কিন্তু সরকারি EPI কেন্দ্রের নিয়মিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নয়।
• EPI প্রোগ্রামের সুবিধা হলো এটি বিনামূল্যে এবং জনসাধারণের কাছে সহজলভ্য। প্রতি ইউনিয়ন, পৌরসভা ও ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট তারিখে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়, যাতে শিশুরা জন্মের পর থেকেই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
• MMR টিকার অন্তর্ভুক্তি না থাকার কারণ মূলত দেশের টিকা সরবরাহব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যনীতি নির্ভর করে। অনেক দেশ ইতোমধ্যে MMR চালু করেছে, কিন্তু বাংলাদেশে MR টিকাই যথেষ্ট কার্যকর বিবেচিত হচ্ছে হাম ও রুবেলা প্রতিরোধে।
• বর্তমানে সরকার ধীরে ধীরে টিকাগুলোর আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে। ভবিষ্যতে প্রয়োজন ও গবেষণার ভিত্তিতে MMR টিকা EPI প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
অতএব, উপরোক্ত বিশ্লেষণ অনুযায়ী EPI প্রোগ্রামে MMR টিকা দেওয়া হয় না, কারণ এর একটি উপাদান অর্থাৎ Mumps টিকা জাতীয় টিকাদান সূচিতে অন্তর্ভুক্ত নয়, যদিও হাম ও রুবেলার টিকা (MR) বর্তমানে কার্যকরভাবে প্রদান করা হচ্ছে।
0
Updated: 23 hours ago
Management of first stage of Labour এ কোন ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 week ago
A
Adrenalin
B
Insulin
C
Oxytocin
D
Diazepam
প্রসবের প্রথম ধাপ বা First Stage of Labour হলো সময়কাল যখন জরায়ুর মুখ ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়ে প্রসবের উপযোগী হয়। এই সময়টিতে প্রসবের গতি ও কার্যকারিতা বজায় রাখতে কিছু ঔষধ ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো Oxytocin। এটি এমন একটি হরমোন যা জরায়ুর পেশি সংকোচন বাড়িয়ে প্রসব প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।
Oxytocin ব্যবহারের উদ্দেশ্য ও কার্যকারিতা:
এটি জরায়ুর পেশি শক্তভাবে সংকুচিত করতে সাহায্য করে, ফলে প্রসবের সময়কাল কমে আসে এবং শিশুর জন্ম সহজ হয়।
Oxytocin সাধারণত ইনজেকশন বা স্যালাইনের মাধ্যমে দেওয়া হয়, বিশেষ করে যখন প্রসবের অগ্রগতি ধীর হয়ে যায় বা সংকোচন দুর্বল হয়।
এই ইনজেকশন ব্যবহারে মায়ের রক্তক্ষরণ কমে, কারণ এটি জরায়ুকে সঠিকভাবে সংকুচিত রাখে, যা পরবর্তী Postpartum Haemorrhage প্রতিরোধে সহায়তা করে।
প্রসবের সময় Oxytocin ব্যবহারের আগে মায়ের ও শিশুর হার্টবিট ও জরায়ুর সংকোচনের গতি পর্যবেক্ষণ করা হয়, যাতে কোনো জটিলতা না ঘটে।
এটি এমনভাবে দেওয়া হয় যাতে সংকোচন নিয়ন্ত্রিত থাকে— অতিরিক্ত মাত্রা দেওয়া হলে অতিরিক্ত সংকোচনের কারণে শিশুর অক্সিজেন সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে, তাই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধান অত্যন্ত জরুরি।
প্রসবের প্রথম ধাপে Oxytocin কেবল তখনই প্রয়োগ করা হয়, যখন নিশ্চিত হওয়া যায় যে জরায়ুর মুখ যথেষ্ট প্রসারিত হচ্ছে এবং প্রসবের প্রক্রিয়া সঠিকভাবে এগোচ্ছে।
Oxytocin প্রাকৃতিকভাবেও শরীরে নিঃসৃত হয়, কিন্তু ইনজেকশন হিসেবে এটি প্রয়োগ করলে সংকোচনের তীব্রতা ও ধারাবাহিকতা বাড়ে, যা মাকে প্রসবে সহায়তা করে।
সুতরাং, প্রসবের প্রথম ধাপে শ্রম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত ও কার্যকর করার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ইনজেকশন হলো Oxytocin।
উ. গ) Oxytocin
0
Updated: 1 week ago
কোন মশার কামড়ে চিকুনগুনিয়া জ্বর হয়?
Created: 2 days ago
A
কিউলেক্স
B
এনোফিলিস
C
এডিস
D
Sand fly
চিকুনগুনিয়া জ্বর একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে নির্দিষ্ট প্রজাতির মশার মাধ্যমে। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার মূল বাহক হলো এডিস মশা, বিশেষ করে Aedes aegypti এবং Aedes albopictus প্রজাতি। এ মশাগুলো সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায় এবং ঘরের ভেতর বা আশপাশের জমে থাকা পানিতে বংশবিস্তার করে।
• এডিস মশা-ই চিকুনগুনিয়া ভাইরাস বহন করে। এই ভাইরাসটি মূলত Togaviridae পরিবারের অন্তর্গত এবং Alphavirus শ্রেণির অন্তর্গত। সংক্রমিত ব্যক্তি যখন এডিস মশার কামড়ে আক্রান্ত হয়, তখন সেই মশাটি ভাইরাস গ্রহণ করে এবং পরবর্তীতে আরেকজন মানুষকে কামড়ালে তার দেহে ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়।
• এডিস মশা সাধারণত দিনের আলোতে, বিশেষত সকাল ও বিকেলের দিকে বেশি সক্রিয় থাকে। অন্য মশার মতো এটি রাতে ততটা সক্রিয় নয়। এদের বংশবিস্তার হয় ঘরের ভেতর বা বাইরে রাখা ফুলের টব, ফেলে রাখা টায়ার, ভাঙা বোতল, বা যেকোনো স্থির পানিতে।
• চিকুনগুনিয়া ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার ২ থেকে ৭ দিনের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পায়। প্রধান লক্ষণগুলো হলো উচ্চ জ্বর, জয়েন্টে প্রচণ্ড ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখে ব্যথা, চামড়ায় র্যাশ, এবং দুর্বলতা। বিশেষ করে জয়েন্টের ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
• এই রোগ সাধারণত মারাত্মক নয়, তবে বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য এটি জটিল হতে পারে। চিকুনগুনিয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ বা টিকা নেই, তবে বিশ্রাম, তরল খাবার এবং ব্যথানাশক ওষুধ দিয়ে উপসর্গ উপশম করা হয়।
• প্রতিরোধই হলো চিকুনগুনিয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রধান উপায়। এজন্য ঘরের আশপাশে কোথাও পানি জমে থাকতে দেওয়া যাবে না, টব ও ড্রাম পরিষ্কার রাখতে হবে, মশারি ব্যবহার করতে হবে, এবং শরীর ঢাকা পোশাক পরতে হবে।
• ভুল বিকল্পগুলোর মধ্যে—
-
কিউলেক্স মশা মূলত জাপানিজ এনসেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত রোগ ছড়ায়।
-
এনোফিলিস মশা হলো ম্যালেরিয়া রোগের বাহক।
-
Sand fly ছড়ায় কালা-আজার বা visceral leishmaniasis।
সব মিলিয়ে বলা যায়, চিকুনগুনিয়া জ্বরের জন্য দায়ী মশাটি হলো এডিস, যা একই সঙ্গে ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাসেরও বাহক হিসেবে পরিচিত। তাই এ মশার নিয়ন্ত্রণই জনস্বাস্থ্য রক্ষার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
0
Updated: 2 days ago
ATM এর পূর্ণরূপ কী?
Created: 1 day ago
A
Automatic Time Machine
B
Automated Teller Machine
C
Automatic Transfer Machine
D
Automated Transaction Method
ATM বা Automated Teller Machine হলো এমন একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যাংকিং যন্ত্র, যার মাধ্যমে গ্রাহক ব্যাংকে না গিয়েই অর্থ জমা, উত্তোলন, ব্যালেন্স যাচাই ও বিভিন্ন লেনদেন সম্পন্ন করতে পারেন। এটি আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা সময় ও শ্রম দুটোই বাঁচায় এবং ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করে।
মূল তথ্যসমূহ নিচে তুলে ধরা হলো—
-
সংজ্ঞা: Automated Teller Machine (ATM) একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা গ্রাহকদের ব্যাংকের সাহায্য ছাড়াই লেনদেন সম্পন্ন করার সুযোগ দেয়। এটি সাধারণত কার্ডের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
-
উদ্দেশ্য: ব্যাংকিং কার্যক্রমকে সহজ ও দ্রুত করা এবং গ্রাহকদের ২৪ ঘণ্টা নগদ অর্থ উত্তোলনের সুবিধা দেওয়া।
-
উদ্ভাবন: প্রথম ATM তৈরি করেন John Shepherd-Barron। এটি ১৯৬৭ সালে লন্ডনের Barclays Bank-এ স্থাপন করা হয়।
-
কার্যপ্রণালী:
-
গ্রাহক তার ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড মেশিনে প্রবেশ করান।
-
PIN (Personal Identification Number) প্রদান করে পরিচয় নিশ্চিত করেন।
-
এরপর গ্রাহক নগদ অর্থ উত্তোলন, ব্যালেন্স দেখা, ফান্ড ট্রান্সফার বা মিনি স্টেটমেন্ট নিতে পারেন।
-
-
প্রধান উপাদান:
-
Card Reader: কার্ডের তথ্য পড়ে।
-
Keypad: PIN ও লেনদেনের নির্দেশ প্রবেশের জন্য।
-
Display Screen: নির্দেশ ও তথ্য প্রদর্শন করে।
-
Cash Dispenser: টাকা বিতরণ করে।
-
Printer: রসিদ মুদ্রণ করে।
-
-
ATM এর প্রকারভেদ:
-
On-site ATM: ব্যাংকের ভেতর বা পাশে স্থাপন করা হয়।
-
Off-site ATM: ব্যাংকের বাইরে জনসমাগমস্থলে স্থাপন করা হয়।
-
White Label ATM: ব্যাংক নয়, বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত।
-
Brown Label ATM: ব্যাংক লেনদেন পরিচালনা করে কিন্তু যন্ত্র অন্য প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।
-
-
ব্যবহারের সুবিধা:
-
২৪ ঘণ্টা ব্যাংকিং সেবা পাওয়া যায়।
-
সময় ও শ্রম সাশ্রয় হয়।
-
ব্যাংকের চাপ কমে যায়।
-
এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সহজে টাকা তোলা যায়।
-
-
সতর্কতা:
-
নিজের PIN গোপন রাখা জরুরি।
-
অপরিচিত ATM-এ কার্ড ব্যবহার না করাই ভালো।
-
লেনদেন শেষে কার্ড ও রসিদ সঙ্গে নিতে হবে।
-
-
বাংলাদেশে ATM ব্যবহার:
-
প্রথমবার ২০০১ সালে Standard Chartered Bank দেশে ATM চালু করে।
-
বর্তমানে প্রায় সব ব্যাংকের নিজস্ব ATM নেটওয়ার্ক রয়েছে।
-
বাংলাদেশ ব্যাংক National Payment Switch Bangladesh (NPSB) নামক একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে, যাতে সব ব্যাংকের ATM একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে।
-
ATM আজকের ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থার অন্যতম ভিত্তি। এটি মানুষের জীবনকে সহজ করেছে এবং নগদ অর্থ ব্যবস্থাপনাকে আরও নিরাপদ, দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য করেছে।
0
Updated: 1 day ago