কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস কখন দেয়া হয়?
A
Respiratory failure
B
Liver failure
C
Cardiac arrest
D
Renal failure
উত্তরের বিবরণ
কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস তখনই দেওয়া হয় যখন কোনো ব্যক্তির স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নেওয়া বন্ধ হয়ে যায় বা যথাযথভাবে ফুসফুসে বাতাস প্রবেশ করছে না। এটি মূলত জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ব্যবহৃত একটি জরুরি চিকিৎসা পদ্ধতি। Respiratory failure এমন একটি অবস্থা যেখানে শরীর পর্যাপ্ত অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না বা কার্বন ডাই–অক্সাইড বের করতে পারে না, ফলে কৃত্রিম শ্বাস–প্রশ্বাস অপরিহার্য হয়ে ওঠে।
• Respiratory failure অর্থাৎ শ্বাসযন্ত্রের ব্যর্থতা ঘটে যখন ফুসফুস বা শ্বাসনালী কোনো কারণে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে না। এর ফলে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায় এবং রক্তে কার্বন ডাই–অক্সাইড জমে যায়। এই অবস্থায় রোগী অচেতন হয়ে পড়তে পারে বা মৃত্যুঝুঁকিতে থাকে।
• এই অবস্থায় কৃত্রিমভাবে শ্বাস দেওয়ার পদ্ধতিকে বলা হয় artificial respiration বা mechanical ventilation। এটি সাধারণত মুখে-মুখে বাতাস দেওয়া (mouth-to-mouth) বা মেশিনের সাহায্যে শ্বাস প্রদান করে করা হয়।
• Respiratory failure-এর সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে আছে— অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, ফুসফুসে পানি জমা (pulmonary edema), বিষক্রিয়া, মাথায় আঘাত, বা স্নায়ুতন্ত্রের জটিলতা।
• চিকিৎসকরা এই পরিস্থিতিতে রোগীকে oxygen therapy বা ventilator–এর মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস দেন যাতে অক্সিজেনের অভাব পূরণ হয় এবং শরীরের কোষগুলো সচল থাকে।
• অন্যদিকে Liver failure, Cardiac arrest, বা Renal failure হলো ভিন্ন ধরনের অঙ্গব্যর্থতা। যেমন—
-
Liver failure-এ লিভার রক্ত পরিষ্কার করতে ব্যর্থ হয়, কিন্তু এতে শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রভাব সাধারণত পরোক্ষ।
-
Cardiac arrest-এ হৃদপিণ্ড বন্ধ হয়ে যায়; যদিও এই অবস্থায় CPR বা cardiopulmonary resuscitation প্রয়োজন হয়, যেখানে শ্বাসের সঙ্গে বুকে চাপ (chest compression) দেওয়া হয়, তবে মূল সমস্যা শ্বাসযন্ত্র নয়।
-
Renal failure বা কিডনি ব্যর্থতায় দেহে বর্জ্য পদার্থ জমে, কিন্তু এটি সরাসরি শ্বাসপ্রশ্বাসের ওপর নির্ভর করে না।
• কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো ফুসফুসে পর্যাপ্ত বাতাস প্রবেশ করানো, যাতে শরীরের টিস্যুগুলো প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় এবং কার্বন ডাই–অক্সাইড অপসারণ সম্ভব হয়।
• কখনও কখনও ট্রাফিক দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া, পানিতে ডুবে যাওয়া, বা ওষুধের অতিমাত্রা গ্রহণের ফলে শ্বাসযন্ত্র বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এসব অবস্থায় তৎক্ষণাৎ কৃত্রিম শ্বাস দেওয়া জীবন রক্ষা করতে পারে।
• চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক চিকিৎসা (first aid) পদ্ধতি, যা সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে রোগীকে মৃত্যুর হাত থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়।
সুতরাং, কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস Respiratory failure-এর সময় দেওয়া হয়, যখন রোগীর ফুসফুস স্বাভাবিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয় এবং শরীরে অক্সিজেনের তীব্র অভাব দেখা দেয়।
0
Updated: 23 hours ago
ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহনকারী মশার নাম কি?
Created: 6 hours ago
A
ইষ্টিগোরিয়া
B
এনোফিলিস
C
কিউলেক্স
D
এডিস
ম্যালেরিয়া একটি প্রাণঘাতী সংক্রামক রোগ যা মূলত মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই রোগের জীবাণু প্লাজমোডিয়াম (Plasmodium) নামক পরজীবীর দ্বারা সৃষ্ট এবং এটি মানুষের রক্তে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়। তবে এই পরজীবী নিজে মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে না; এর বাহক হিসেবে কাজ করে এনোফিলিস (Anopheles) নামের স্ত্রী মশা। নিচে এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
• এনোফিলিস মশা হচ্ছে একমাত্র প্রজাতি যা ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহন করে। শুধুমাত্র স্ত্রী এনোফিলিস মশা রক্ত পান করে কারণ ডিম পাড়ার জন্য তার প্রোটিন প্রয়োজন হয়। পুরুষ মশা কেবল ফুলের রস খায় এবং কোনো রোগ বহন করে না।
• এই মশার দেহে যখন ম্যালেরিয়াজনিত প্লাজমোডিয়াম পরজীবী প্রবেশ করে, তখন তা মশার লালাগ্রন্থিতে অবস্থান করে। পরে মশা যখন কোনো মানুষকে কামড়ায়, তখন সেই পরজীবী রক্তে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়।
• ম্যালেরিয়ার প্রধান জীবাণু হলো Plasmodium vivax, Plasmodium falciparum, Plasmodium malariae, ও Plasmodium ovale। এর মধ্যে Plasmodium falciparum সবচেয়ে প্রাণঘাতী এবং দ্রুত প্রাণহানি ঘটাতে সক্ষম।
• এনোফিলিস মশা সাধারণত স্থির ও পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে, যেমন—ধানক্ষেত, পুকুরের ধারে, বা খোলা পানির ট্যাংকে। অন্যদিকে কিউলেক্স বা এডিস মশা সাধারণত ময়লা বা শহুরে জমা পানিতে জন্মায়।
• এই মশার ক্রিয়াশীলতা মূলত রাত্রিকালীন; সূর্যাস্তের পর থেকে ভোর পর্যন্ত তারা সক্রিয় থাকে। এজন্য রাতে মশারি ব্যবহার করাই ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
• ম্যালেরিয়ার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, কাঁপুনি, ঘাম, মাথাব্যথা, এবং শরীর ব্যথা। গুরুতর অবস্থায় রক্তস্বল্পতা ও অঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যুও ঘটতে পারে।
• বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় ২০ কোটিরও বেশি মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয় এবং লাখো মানুষ মারা যায়, যার বেশিরভাগই আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে। বাংলাদেশেও বর্ষাকালে এই রোগের প্রকোপ দেখা যায়, বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে।
• ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ব্যবহৃত প্রধান ওষুধ হলো কুইনাইন (Quinine), ক্লোরোকুইন (Chloroquine), এবং বর্তমানে আর্টেমিসিনিন (Artemisinin)-ভিত্তিক ওষুধসমূহ। তবে এসব ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করতে হয়।
• এনোফিলিস মশার দমন করতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, জমে থাকা পানির অপসারণ, এবং ইনসেক্টিসাইড-যুক্ত মশারি ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সব মিলিয়ে বলা যায়, ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহনকারী মশা হলো এনোফিলিস, যা মানুষের শরীরে প্লাজমোডিয়াম প্রবেশ করিয়ে এই মারাত্মক রোগের সৃষ্টি করে। তাই সচেতনতা, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও চিকিৎসার সমন্বয়েই এই রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
0
Updated: 6 hours ago
চিকনগুনিয়া রোগটি কোন মাধ্যম বাহিত রোগ?
Created: 2 weeks ago
A
পানিবাহিত
B
পতঙ্গবাহিত
C
বায়ুবাহিত
D
রক্তবাহিত
চিকনগুনিয়া একটি পতঙ্গবাহিত রোগ। এটি প্রধানত এডিস জাতীয় মশার মাধ্যমে ছড়ায়, বিশেষ করে Aedes aegypti এবং Aedes albopictus প্রজাতির মাধ্যমে। এই ভাইরাসজনিত রোগে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা এবং অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যথা হয়ে থাকে।
0
Updated: 2 weeks ago
বরেন্দ্র বলতে বুঝায় কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
পূর্ববঙ্গ
B
পশ্চিমবঙ্গ
C
উত্তর বঙ্গ
D
দক্ষিণবঙ্গ
বরেন্দ্র অঞ্চল উত্তর বঙ্গের একটি ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক অঞ্চল। এটি বর্তমান বাংলাদেশের রাজশাহী, রংপুর ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশে বিস্তৃত। বরেন্দ্র অঞ্চল মাটির উর্বরতা ও কৃষিকাজের জন্য প্রসিদ্ধ। ঐতিহাসিক দিক থেকে এটি বাংলার অন্যতম প্রাচীন অঞ্চল।
0
Updated: 2 weeks ago