নাক দিয়ে রক্তক্ষরণকে কি বলে?
A
Haemoptysis
B
Haematuria
C
Epistaxis
D
Melaena
উত্তরের বিবরণ
নাক দিয়ে রক্তক্ষরণকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় Epistaxis বলা হয়। এটি একটি সাধারণ কিন্তু কখনও কখনও গুরুতর শারীরিক সমস্যা, যেখানে নাকের ভেতরের রক্তনালী ফেটে রক্তপাত হয়। সাধারণত এটি হঠাৎ করে শুরু হয় এবং এর পেছনে নানা শারীরিক বা বাহ্যিক কারণ থাকতে পারে।
প্রধান তথ্যসমূহ:
-
Epistaxis শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ “epi” অর্থাৎ “উপর থেকে” এবং “stazein” অর্থাৎ “প্রবাহিত হওয়া” থেকে। চিকিৎসা পরিভাষায় এটি নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
এটি দুই প্রকার— Anterior Epistaxis (সামনের দিক থেকে রক্তপাত) এবং Posterior Epistaxis (পেছনের দিক থেকে রক্তপাত)। প্রথমটি তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যায় এবং সাধারণত কম বিপজ্জনক।
-
সাধারণত নাকের সামনের অংশের Kiesselbach’s plexus নামক রক্তনালীগুলো ফেটে গেলে এই সমস্যা হয়।
-
কারণসমূহের মধ্যে রয়েছে—
• অতিরিক্ত গরম বা শুষ্ক আবহাওয়া, যা নাকের ভেতর শুকিয়ে দেয়
• আঘাত পাওয়া বা নাক খোঁটা
• সর্দি-কাশি বা অ্যালার্জিজনিত প্রদাহ
• উচ্চ রক্তচাপ বা রক্ত পাতলা হওয়ার ওষুধ গ্রহণ
• নাকের টিউমার বা সংক্রমণ -
লক্ষণ: নাক দিয়ে রক্ত ঝরা, মাথা ঘোরা, মুখে ধাতব স্বাদ, শ্বাসকষ্ট বা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে দুর্বলতা অনুভব করা।
-
প্রাথমিক চিকিৎসা:
• আক্রান্ত ব্যক্তিকে বসিয়ে মাথা সামান্য নিচের দিকে ঝুঁকিয়ে দিতে হয়।
• নাকের নরম অংশ ১০-১৫ মিনিট চেপে ধরে রাখতে হয়।
• ঠান্ডা পানির সেঁক দিলে রক্তপাত বন্ধ হতে সাহায্য করে।
• অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। -
প্রতিরোধ:
• নাকের ভেতর আর্দ্রতা বজায় রাখা
• অতিরিক্ত নাক খোঁটা থেকে বিরত থাকা
• গরম বা শুকনো পরিবেশে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা
• উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
অন্যান্য বিকল্পগুলোর বিশ্লেষণ:
-
Haemoptysis মানে ফুসফুস বা শ্বাসনালীর রক্তনালী ফেটে কফের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া।
-
Haematuria হলো মূত্রে রক্ত মিশে আসা, যা কিডনি বা মূত্রনালীর সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।
-
Melaena বোঝায় মল ত্যাগের সময় কালচে রক্ত বা রক্তমিশ্রিত মল ত্যাগ করা, যা পাকস্থলী বা অন্ত্রের রক্তপাতের কারণে ঘটে।
অতএব, নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ বা Nose Bleeding-এর সঠিক চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক নাম Epistaxis, যা সবচেয়ে যথার্থ উত্তর।
0
Updated: 23 hours ago
বিশ্বব্যাংক থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহারকারী দেশ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
কিউবা
B
ফিলিস্তিন
C
ইরান
D
চীন
কিউবা হলো একমাত্র দেশ, যারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বব্যাংক থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহার করে। ১৯৬০ সালে, ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে মতানৈক্যের কারণে কিউবা বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)– উভয় সংস্থা থেকেই সরে আসে। এই পদক্ষেপ ছিল মার্কিন প্রভাবিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কিউবার স্বাধীন অবস্থান প্রকাশের অংশ। এখনও কিউবা বিশ্বব্যাংকের সদস্য নয়।
0
Updated: 2 weeks ago
জাতিসংঘের কততম অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন?
Created: 2 weeks ago
A
১৯ তম
B
২৯ তম
C
৩৬ তম
D
৩৯ তম
১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিকভাবে বাংলা ভাষায় ভাষণ প্রদান করেন।
এটি ছিল জাতিসংঘের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলা ভাষায় প্রদত্ত ভাষণ, যা বাঙালি জাতির সাংস্কৃতিক মর্যাদা ও স্বাধীন পরিচয়কে বিশ্বদরবারে তুলে ধরেছিল।
প্রেক্ষাপট:
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। সেই বছরই বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে অংশ নেন এবং বিশ্বনেতাদের সামনে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন।-
ভাষণের মূল বার্তা:
তাঁর ভাষণে বঙ্গবন্ধু শান্তি, মানবতা, দারিদ্র্য বিমোচন, এবং বৈশ্বিক সহযোগিতার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আমরা সকল জাতির প্রতি বন্ধুত্ব চাই, কারও প্রতি বৈরিতা নয়।” -
গুরুত্ব ও তাৎপর্য:
-
বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠা করার প্রথম পদক্ষেপ ছিল এই ভাষণ।
-
এটি প্রমাণ করে যে, মাতৃভাষাও বিশ্বমঞ্চে সম্মানের সঙ্গে ব্যবহার করা যায়।
-
বঙ্গবন্ধুর এই উদ্যোগ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ও গর্বের প্রতীক হিসেবে ইতিহাসে অমর হয়ে আছে।
-
-
বঙ্গবন্ধুর জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় প্রদত্ত ভাষণ শুধু রাজনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার প্রতীকও বটে। এটি বাঙালির আত্মমর্যাদা, ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
0
Updated: 2 weeks ago
জাতিসংঘের বর্তমান সদস্য সংখ্যা কত?
Created: 1 week ago
A
১৯০টি
B
১৯১টি
C
১৯২টি
D
১৯৩টি
বর্তমানে জাতিসংঘের সদস্য সংখ্যা ১৯৩টি। সর্বশেষ সদস্য হিসেবে দক্ষিণ সুদান ২০১১ সালে জাতিসংঘে যোগ দেয়।
0
Updated: 1 week ago