Central Vein Catheter কোন শিরাতে দেওয়া হয়?
A
Internal jugular Vein
B
Subclavian Vein
C
Inferior Vena Cava
D
Femormal Vein
উত্তরের বিবরণ
Central Vein Catheter সাধারণত শরীরে ওষুধ, তরল পদার্থ, রক্ত বা পুষ্টি দ্রুত সরবরাহের জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি শরীরের কেন্দ্রীয় শিরায় স্থাপন করা হয় যাতে তরল দ্রুত রক্তপ্রবাহে পৌঁছায়। সঠিক উত্তর হলো Inferior Vena Cava, কারণ এই শিরা শরীরের নিচের অংশ থেকে রক্তকে হৃদয়ের দিকে নিয়ে যায় এবং এটি কেন্দ্রীয় ভেনাস সিস্টেমের অন্যতম প্রধান অংশ।
-
Central Vein Catheter (CVC) হলো একটি লম্বা, পাতলা টিউব যা বড় শিরায় প্রবেশ করানো হয়। সাধারণত এটি হৃদয়ের কাছে রক্তপ্রবাহে সহজে তরল প্রবেশ করানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
Inferior Vena Cava হচ্ছে মানবদেহের সবচেয়ে বড় শিরাগুলোর একটি, যা শরীরের নিচের অংশের রক্ত সংগ্রহ করে হৃদয়ের ডান অলিন্দে পাঠায়। তাই কেন্দ্রীয় ভেনাস প্রেসার মনিটরিং বা দীর্ঘমেয়াদি ইনফিউশনের জন্য এটি সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান।
-
এই শিরায় ক্যাথেটার প্রবেশ করানো হলে রক্ত চলাচলে কোনো বাধা সৃষ্টি হয় না, বরং তরল বা ওষুধ দ্রুত সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
-
CVC সাধারণত ফেমোরাল ভেন, সাবক্লেভিয়ান ভেন, বা ইন্টারনাল জুগুলার ভেন দিয়েও প্রবেশ করানো যেতে পারে, তবে এর চূড়ান্ত প্রান্ত বা টিপ সাধারণত Inferior Vena Cava তে অবস্থান করে।
-
ইন্টারনাল জুগুলার ভেন হলো ঘাড়ের একটি বড় শিরা, যা অনেক সময় ক্যাথেটার ঢোকানোর প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু চূড়ান্ত অবস্থান Inferior Vena Cava তে থাকে।
-
সাবক্লেভিয়ান ভেন বুকের নিচের দিকে থাকে এবং এটি আরেকটি বিকল্প পথ, কিন্তু এটি ব্যবহার করলে pneumothorax বা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
-
ফেমোরাল ভেন পায়ের গোড়ার অংশে অবস্থিত এবং এটি জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হয়, তবে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকায় এটি দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত নয়।
-
CVC ব্যবহারের উদ্দেশ্য হলো:
-
ওষুধ, কেমোথেরাপি, বা পুষ্টি সরাসরি কেন্দ্রীয় রক্তপ্রবাহে দেওয়া
-
রক্তচাপ ও কেন্দ্রীয় ভেনাস প্রেসার (CVP) পরিমাপ করা
-
ঘন ঘন রক্ত নেওয়া বা দেওয়া
-
ডায়ালাইসিস বা পারেন্টারাল নিউট্রিশন দেওয়া
-
সবশেষে বলা যায়, যদিও ক্যাথেটার শরীরে প্রবেশ করানো হয় বিভিন্ন শিরা দিয়ে, তার কার্যকর অবস্থান ও গন্তব্য হলো Inferior Vena Cava, কারণ এখানেই এটি নিরাপদভাবে রক্তপ্রবাহে মিশে যায় এবং শরীরের সঠিক সঞ্চালন নিশ্চিত করে।
0
Updated: 23 hours ago
Brain Death এ কোনটি থাকবে না?
Created: 1 day ago
A
Apnoea
B
Constricted pupil
C
Pulse not responsive to atropine
D
Deep coma
Brain death এমন একটি অবস্থাকে বোঝায় যেখানে মস্তিষ্কের সব কার্যকলাপ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং তা পুনরায় ফিরে আসার কোনও সম্ভাবনা থাকে না। এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানে জীবনের সমাপ্তি হিসেবে ধরা হয়। তবে এই অবস্থায় কিছু বিশেষ লক্ষণ দেখা যায়, আবার কিছু থাকে না। প্রশ্ন অনুযায়ী Brain death এ Apnoea থাকে না, অর্থাৎ শ্বাসপ্রশ্বাস সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে না, কারণ Apnoea (শ্বাসের অনুপস্থিতি) নির্ণয়ের পরীক্ষার অংশ, এটি নিজেই brain death-এর বৈশিষ্ট্য নয়। নিচে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো—
• Brain Death এর সংজ্ঞা: এটি হলো এমন একটি স্থায়ী অবস্থা যেখানে মস্তিষ্কের stem সহ সমস্ত কার্যক্ষমতা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। এতে রোগী আর সচেতনতা ফিরে পায় না এবং নিজে থেকে শ্বাস নিতে পারে না।
• Apnoea বা শ্বাস বন্ধ থাকা: এটি Brain death পরীক্ষার একটি ধাপ, কিন্তু brain death-এর মূল বৈশিষ্ট্য নয়। Apnoea Test এর মাধ্যমে দেখা হয় রোগীর spontaneous respiration বন্ধ আছে কিনা। তাই প্রশ্নে বলা হয়েছে— Brain death এ Apnoea থাকে না, কারণ এটি ফল নয়, বরং পরীক্ষার অংশ।
• Constricted pupil: Brain death অবস্থায় মস্তিষ্কের stem আর কাজ করে না, তাই pupil সাধারণত dilated এবং fixed হয়। অর্থাৎ, আলো ফেললেও সংকুচিত (constricted) হয় না। সুতরাং “Constricted pupil” থাকলে তা brain death নয়, অন্য কোনো neurological অবস্থা নির্দেশ করতে পারে।
• Pulse not responsive to atropine: এটি Brain death-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। সাধারণত Atropine দিলে হৃদস্পন্দন কিছুটা বৃদ্ধি পায়, কিন্তু Brain death অবস্থায় vagal reflex না থাকায় pulse অপরিবর্তিত থাকে। তাই “Pulse not responsive to atropine” Brain death-এর বৈশিষ্ট্য হিসেবে ধরা হয়।
• Deep coma: Brain death এ রোগী সম্পূর্ণ অচেতন থাকে, অর্থাৎ গভীর কোমায় থাকে। কোনো রকম reflex বা response থাকে না—চোখের নড়াচড়া, ব্যথার প্রতিক্রিয়া, গ্যাগ রিফ্লেক্স—সব বন্ধ হয়ে যায়।
• নির্ণয়ের প্রক্রিয়া: Brain death নির্ণয়ে তিনটি প্রধান ধাপ অনুসরণ করা হয়—
-
গভীর কোমার উপস্থিতি নিশ্চিত করা
-
Brainstem reflex না থাকা
-
Apnoea Test সম্পন্ন করা (যাতে spontaneous respiration বন্ধ প্রমাণিত হয়)
• চিকিৎসা প্রাসঙ্গিকতা: Brain death সাধারণত irreversible বা অপরিবর্তনযোগ্য, তাই এই অবস্থায় রোগীকে মৃত হিসেবে ঘোষণা করা হয়। অনেক দেশে এই অবস্থাতেই অঙ্গদানের অনুমতি দেওয়া হয়।
সব মিলিয়ে বলা যায়, Brain death এ Apnoea থাকে না, কারণ এটি Brain death এর চিহ্ন নয় বরং পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করার উপায়। অন্যদিকে constricted pupil, pulse not responsive to atropine এবং deep coma – এগুলো Brain death অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ লক্ষণ।
0
Updated: 1 day ago
বিশ্বের শীর্ষ উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানির নাম কী?
Created: 1 week ago
A
দাইউ
B
ফিনিক্স
C
ফোর্ড
D
বোয়িং
বোয়িং Boeing) হলো বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি। এটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এবং বাণিজ্যিক ও সামরিক উড়োজাহাজ নির্মাণে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছে।
0
Updated: 1 week ago
ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহনকারী মশার নাম কি?
Created: 6 hours ago
A
ইষ্টিগোরিয়া
B
এনোফিলিস
C
কিউলেক্স
D
এডিস
ম্যালেরিয়া একটি প্রাণঘাতী সংক্রামক রোগ যা মূলত মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই রোগের জীবাণু প্লাজমোডিয়াম (Plasmodium) নামক পরজীবীর দ্বারা সৃষ্ট এবং এটি মানুষের রক্তে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়। তবে এই পরজীবী নিজে মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে না; এর বাহক হিসেবে কাজ করে এনোফিলিস (Anopheles) নামের স্ত্রী মশা। নিচে এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
• এনোফিলিস মশা হচ্ছে একমাত্র প্রজাতি যা ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহন করে। শুধুমাত্র স্ত্রী এনোফিলিস মশা রক্ত পান করে কারণ ডিম পাড়ার জন্য তার প্রোটিন প্রয়োজন হয়। পুরুষ মশা কেবল ফুলের রস খায় এবং কোনো রোগ বহন করে না।
• এই মশার দেহে যখন ম্যালেরিয়াজনিত প্লাজমোডিয়াম পরজীবী প্রবেশ করে, তখন তা মশার লালাগ্রন্থিতে অবস্থান করে। পরে মশা যখন কোনো মানুষকে কামড়ায়, তখন সেই পরজীবী রক্তে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়।
• ম্যালেরিয়ার প্রধান জীবাণু হলো Plasmodium vivax, Plasmodium falciparum, Plasmodium malariae, ও Plasmodium ovale। এর মধ্যে Plasmodium falciparum সবচেয়ে প্রাণঘাতী এবং দ্রুত প্রাণহানি ঘটাতে সক্ষম।
• এনোফিলিস মশা সাধারণত স্থির ও পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে, যেমন—ধানক্ষেত, পুকুরের ধারে, বা খোলা পানির ট্যাংকে। অন্যদিকে কিউলেক্স বা এডিস মশা সাধারণত ময়লা বা শহুরে জমা পানিতে জন্মায়।
• এই মশার ক্রিয়াশীলতা মূলত রাত্রিকালীন; সূর্যাস্তের পর থেকে ভোর পর্যন্ত তারা সক্রিয় থাকে। এজন্য রাতে মশারি ব্যবহার করাই ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
• ম্যালেরিয়ার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, কাঁপুনি, ঘাম, মাথাব্যথা, এবং শরীর ব্যথা। গুরুতর অবস্থায় রক্তস্বল্পতা ও অঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যুও ঘটতে পারে।
• বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় ২০ কোটিরও বেশি মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয় এবং লাখো মানুষ মারা যায়, যার বেশিরভাগই আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে। বাংলাদেশেও বর্ষাকালে এই রোগের প্রকোপ দেখা যায়, বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে।
• ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ব্যবহৃত প্রধান ওষুধ হলো কুইনাইন (Quinine), ক্লোরোকুইন (Chloroquine), এবং বর্তমানে আর্টেমিসিনিন (Artemisinin)-ভিত্তিক ওষুধসমূহ। তবে এসব ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করতে হয়।
• এনোফিলিস মশার দমন করতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, জমে থাকা পানির অপসারণ, এবং ইনসেক্টিসাইড-যুক্ত মশারি ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সব মিলিয়ে বলা যায়, ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহনকারী মশা হলো এনোফিলিস, যা মানুষের শরীরে প্লাজমোডিয়াম প্রবেশ করিয়ে এই মারাত্মক রোগের সৃষ্টি করে। তাই সচেতনতা, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও চিকিৎসার সমন্বয়েই এই রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
0
Updated: 6 hours ago