কত’র নিচে হৃদস্পন্দন হলে Bradycardia বলে?

A

৬০ minute/(৬০)

B

৭০ minute/(৭০)

C

৮০ minute/(৮০)

D

১০০ minute/(১০০)

উত্তরের বিবরণ

img

হৃদস্পন্দনের গতি স্বাভাবিকভাবে মানুষের বয়স, শারীরিক অবস্থা ও মানসিক অবস্থার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। সাধারণত একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের বিশ্রাম অবস্থায় হৃদস্পন্দনের হার প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বার হয়ে থাকে। কিন্তু যখন এই হার প্রতি মিনিটে ৬০ বারের নিচে নেমে যায়, তখন একে Bradycardia (ব্র্যাডিকার্ডিয়া) বলা হয়। এটি মূলত হৃদযন্ত্রের বৈদ্যুতিক সংকেত ধীরগতিতে চলার ফলেই ঘটে।

সংজ্ঞা: প্রতি মিনিটে ৬০ বারের নিচে হৃদস্পন্দন হলে তাকে Bradycardia বলে। এর অর্থ, হৃদযন্ত্র স্বাভাবিকের চেয়ে ধীর গতিতে রক্ত পাম্প করে, ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছাতে দেরি হয়।

স্বাভাবিক হার: একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের বিশ্রাম অবস্থায় হৃদস্পন্দনের স্বাভাবিক হার ৬০–১০০ বিট প্রতি মিনিট। কিন্তু ক্রীড়াবিদদের ক্ষেত্রে এটি ৫০ বা তারও নিচে হতে পারে, যা রোগ নয় বরং তাদের শরীরের অভিযোজন।

কারণ:

  • সাইনোএট্রিয়াল (SA) নোডের সমস্যা, যা হৃদযন্ত্রের প্রাকৃতিক পেসমেকার।

  • ওষুধের প্রভাব, যেমন বিটা-ব্লকার বা ডিজিটালিস।

  • বয়সজনিত পরিবর্তন, যা হৃদযন্ত্রের বৈদ্যুতিক কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে।

  • হাইপোথাইরয়েডিজম, অর্থাৎ থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি।

  • হাইপোথার্মিয়া, শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া।

  • ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা, বিশেষ করে পটাসিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে।

লক্ষণ:

  • মাথা ঘোরা বা দুর্বল লাগা

  • শ্বাসকষ্ট

  • ক্লান্তি

  • বুকে অস্বস্তি

  • অজ্ঞান হয়ে যাওয়া (সিনকোপ)

  • কিছু ক্ষেত্রে একেবারে কোনো লক্ষণ না-ও থাকতে পারে, বিশেষত প্রশিক্ষিত ক্রীড়াবিদদের মধ্যে।

ধরন: Bradycardia সাধারণত দুই প্রকার হতে পারে—

  • Sinus Bradycardia: যেখানে SA নোড স্বাভাবিকভাবে কাজ করলেও গতি কম থাকে।

  • Heart Block: যেখানে বৈদ্যুতিক সংকেত হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন অংশে পৌঁছাতে দেরি করে বা বন্ধ হয়ে যায়।

নির্ণয়: ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ECG) বা হার্ট মনিটরিংয়ের মাধ্যমে হৃদস্পন্দনের হার ও রিদম নির্ণয় করা হয়। কখনও ২৪ ঘণ্টার Holter মনিটরিংও প্রয়োজন হয়।

চিকিৎসা:

  • যদি Bradycardia-এর কারণ কোনও ওষুধ হয়, তবে তা বন্ধ বা পরিবর্তন করা হয়।

  • গুরুতর ক্ষেত্রে পেসমেকার ব্যবহার করা হয়, যা হৃদযন্ত্রকে নিয়মিত স্পন্দনে রাখে।

  • অন্যান্য শারীরিক সমস্যা যেমন থাইরয়েড বা ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য ঠিক করতে হয়।

প্রতিরোধ: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পর্যাপ্ত ব্যায়াম, সুষম খাদ্য গ্রহণ, ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার, এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখলে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখা যায়।

সুতরাং বলা যায়, প্রতি মিনিটে ৬০ বারের নিচে হৃদস্পন্দন হলে সেটিই Bradycardia নামে পরিচিত। এটি অনেক সময় বিপজ্জনক হতে পারে, আবার অনেক সময় শরীরের স্বাভাবিক অভিযোজনও হতে পারে, যা নির্ভর করে ব্যক্তির সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর।

Unfavorite

0

Updated: 23 hours ago

Related MCQ

ইন্সোমনিয়া একটি–

Created: 1 week ago

A

স্নায়ুরোগ

B

নিদ্রাহীনজনিত রোগ

C

চোখের রোগ

D

কোনটাই নয়

Unfavorite

0

Updated: 1 week ago

ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহনকারী মশার নাম কি?

Created: 6 hours ago

A

ইষ্টিগোরিয়া

B

এনোফিলিস

C

কিউলেক্স

D

এডিস

Unfavorite

0

Updated: 6 hours ago

পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি–

Created: 1 week ago

A

৪°C তাপমত্রায়

B

৩°C তাপমাত্রায়

C

৫°C তাপমত্রায়

D

৬°C তাপমত্রায়

Unfavorite

0

Updated: 1 week ago

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD