‘হামাস’ কোন দেশের সংগঠন?
A
সিরিয়া
B
ইরান
C
ফিলিস্তিন
D
লেবানন
উত্তরের বিবরণ
হামাস হলো ফিলিস্তিনের একটি রাজনৈতিক ও সামরিক সংগঠন, যা মূলত ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও ইসলামিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে। এটি গাজার অন্যতম প্রভাবশালী সংগঠন এবং ফিলিস্তিনি রাজনীতিতে এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হামাস সম্পর্কে কিছু মূল তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো—
-
প্রতিষ্ঠা: হামাস প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৭ সালে, প্রথম ইন্তিফাদার (ফিলিস্তিনিদের গণআন্দোলন) সময়ে। সংগঠনটির পূর্ণ নাম “Harakat al-Muqawama al-Islamiya” যার অর্থ “ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স মুভমেন্ট” বা ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন।
-
প্রতিষ্ঠাতা: এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন শেখ আহমেদ ইয়াসিন, যিনি একজন ধর্মীয় নেতা এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য ছিলেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনে একটি স্বাধীন ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।
-
মূল কার্যালয়: হামাসের কার্যক্রমের কেন্দ্র গাজা উপত্যকা (Gaza Strip)। যদিও ইসরায়েল ও অনেক পশ্চিমা দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে, ফিলিস্তিনে এটি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।
-
রাজনৈতিক ভূমিকা: ২০০৬ সালের ফিলিস্তিনি আইনসভা নির্বাচনে হামাস বিপুলভাবে বিজয়ী হয় এবং সরকার গঠন করে। এই ফলাফলের পর থেকেই গাজা উপত্যকা হামাসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, অপরদিকে পশ্চিম তীর নিয়ন্ত্রণ করে ফাতাহ দল।
-
উদ্দেশ্য: হামাসের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ফিলিস্তিনকে ইসরায়েলি দখল থেকে মুক্ত করা এবং ইসলামিক নীতির ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠন করা। তারা ফিলিস্তিনিদের অধিকার, বিশেষ করে জেরুজালেম শহর ও পবিত্র আল-আকসা মসজিদের সুরক্ষার দাবিতে কাজ করে।
-
সামরিক শাখা: হামাসের সামরিক শাখার নাম “ইজ্জাদ্দিন আল-কাসাম ব্রিগেড”, যা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রকেট হামলা, আত্মঘাতী হামলা এবং বিভিন্ন সামরিক অভিযান পরিচালনা করে।
-
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও জাপানসহ অনেক দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে কিছু দেশ, বিশেষত কাতার, তুরস্ক এবং ইরান হামাসকে রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ও তাদের অর্থনৈতিক সহায়তা করে।
-
বাংলাদেশের অবস্থান: বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যদিও বাংলাদেশ সরাসরি হামাসের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক রাখে না, তবু ফিলিস্তিনের ন্যায়সঙ্গত দাবিকে সমর্থন করে।
-
বর্তমান অবস্থা: বর্তমানে হামাস গাজা উপত্যকার শাসন ক্ষমতায় রয়েছে এবং প্রায়ই ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। ২০২৩ সালের পর থেকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত নতুন মাত্রা পেয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।
সব মিলিয়ে, হামাস মূলত ফিলিস্তিনের একটি ইসলামিক রাজনৈতিক ও সামরিক সংগঠন, যার লক্ষ্য ইসরায়েলি দখল থেকে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করা এবং ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
0
Updated: 1 day ago
হামাস কোন দেশের গেরিলা সংগঠন?
Created: 2 months ago
A
ফিলিস্তিন
B
লেবানন
C
ইয়েমেন
D
ইসরায়েল
• হামাস
-
হামাস হলো ফিলিস্তিনি জাতীয়তাবাদী এবং ইসলামপন্থী আন্দোলন, যা পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় স্বাধীন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে।
-
এটি ফিলিস্তিনের প্রধান স্বাধীনতাকামী সংগঠন।
-
প্রতিষ্ঠাতা: শেখ আহমেদ ইয়াসিন, ১৯৮৭ সালে।
-
নিয়ন্ত্রণ: হামাস বর্তমানে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করছে।
-
সামরিক শাখা: ইজ্জাদিন আল কাসেম বিগ্রেড।
-
রাজনৈতিক শাখার বর্তমান প্রধান: ইসমাইল হানিয়া।
-
অন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ: ইরানের সমর্থনের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের দৃষ্টিতে হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।
উৎস: ব্রিটানিকা, BBC, Al Jazeera ✅
0
Updated: 2 months ago