সাসপেনশন কী?
A
সমসত্ত্ব মিশ্রণ
B
অসমসত্ত্ব মিশ্রণ
C
যৌগ
D
মৌল
উত্তরের বিবরণ
সাসপেনশন এমন একধরনের মিশ্রণ যেখানে দুটি বা ততোধিক পদার্থ একসাথে মিশে থাকে, কিন্তু তাদের কণাগুলি সম্পূর্ণভাবে দ্রবীভূত হয় না। এই কারণে সাসপেনশনকে অসমসত্ত্ব মিশ্রণ বলা হয়। এতে কণাগুলি দৃশ্যমান থাকে এবং কিছু সময় পর নিচে বসে যায়। এটি দৈনন্দিন জীবনে নানা ক্ষেত্রে দেখা যায়—যেমন কাদামাটি মেশানো পানি বা চক পাউডার মেশানো পানি।
নিচে সাসপেনশন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো দেওয়া হলো—
-
গঠন: সাসপেনশনে একটি পদার্থের কণাগুলি অন্য একটি পদার্থে ছড়িয়ে থাকে, তবে সমানভাবে নয়। উদাহরণস্বরূপ, মাটি বা বালি যখন পানিতে মেশানো হয়, তখন কণাগুলি পানিতে কিছুক্ষণ ভেসে থাকে কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নিচে বসে যায়।
-
কণার আকার: কণাগুলির ব্যাস সাধারণত ১০⁻⁷ মিটার থেকে ১০⁻⁵ মিটারের মধ্যে হয়। এই কণাগুলি খালি চোখে বা সাধারণ মাইক্রোস্কোপে দেখা সম্ভব।
-
দৃষ্টিগোচরতা: সাসপেনশনের কণাগুলি চোখে দেখা যায় এবং আলোকে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম। এই আলো বিচ্ছুরণের ঘটনাকে বলা হয় টিন্ডল প্রভাব (Tyndall effect)।
-
স্থিতিশীলতা: সাসপেনশন স্থায়ী নয়। কিছু সময় পর কণাগুলি নিচে জমে যায়, ফলে উপরের স্তর পরিষ্কার তরলের মতো দেখায়। স্থিতিশীল রাখার জন্য মাঝে মাঝে নাড়ানো প্রয়োজন।
-
ছাঁকনি দ্বারা পৃথকীকরণ: সাসপেনশনের কণাগুলি বড় হওয়ায় সাধারণ ছাঁকনি ব্যবহার করে সহজেই কঠিন কণাগুলো আলাদা করা যায়। যেমন, কাদাযুক্ত পানি ছেঁকে পরিষ্কার পানি পাওয়া সম্ভব।
-
উদাহরণ:
-
চক পাউডার মেশানো পানি
-
বালিযুক্ত পানি
-
মাটিযুক্ত পানি
-
দুধে মেশানো কিছু ঔষধ
-
পেইন্ট বা রঙ
-
-
দ্রবণ (Solution) ও কলোয়েড (Colloid)-এর পার্থক্য:
বিষয় দ্রবণ কলোয়েড সাসপেনশন কণার আকার < 10⁻⁹ মিটার 10⁻⁹ – 10⁻⁷ মিটার > 10⁻⁷ মিটার দৃষ্টিগোচরতা দেখা যায় না খালি চোখে দেখা যায় না দেখা যায় স্থিতিশীলতা স্থায়ী অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল অস্থিতিশীল ছাঁকনিতে পৃথক হয় না না হ্যাঁ উদাহরণ লবণ পানি দুধ কাদামাটি মিশ্রিত পানি -
প্রয়োগ ও গুরুত্ব: কিছু ওষুধ বা প্রসাধনী দ্রবণ আকারে তৈরি করা সম্ভব না হলে সেগুলো সাসপেনশন আকারে ব্যবহার করা হয়। যেমন অ্যান্টাসিড সাসপেনশন, আয়রন সাসপেনশন ইত্যাদি।
-
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে: সাসপেনশন হলো এমন একটি মিশ্রণ যেখানে কণাগুলি দ্রবীভূত না হলেও তরলে ছড়িয়ে থেকে সাময়িকভাবে ভাসমান থাকে। এটি তরলের ঘনত্ব, তাপমাত্রা ও কণার আকারের উপর নির্ভর করে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, সাসপেনশন হলো একধরনের অসমসত্ত্ব মিশ্রণ যেখানে কঠিন কণাগুলি তরলে ছড়িয়ে থাকে কিন্তু দ্রবীভূত হয় না। এ ধরনের মিশ্রণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্তরবিন্যাস তৈরি করে এবং ফিল্টার করে আলাদা করা যায়।
0
Updated: 1 day ago
বিশ্বের শীর্ষ উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানির নাম কী?
Created: 1 week ago
A
দাইউ
B
ফিনিক্স
C
ফোর্ড
D
বোয়িং
বোয়িং Boeing) হলো বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি। এটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এবং বাণিজ্যিক ও সামরিক উড়োজাহাজ নির্মাণে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছে।
0
Updated: 1 week ago
Which disease is bacterial in nature?
Created: 3 weeks ago
A
Malaria
B
Ringworm
C
Anthrax
D
AIDS
Anthrax হলো একটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট রোগ। এটি সংক্রামক এবং প্রাণী ও মানুষ উভয়কেই প্রভাবিত করে। রোগটি Bacillus anthracis ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ছড়ায়। Anthrax প্রধানত পশুর চামড়া, পশুর মাংস বা সংক্রমিত পরিবেশ থেকে মানুষকে সংক্রমিত করে। অন্যদিকে, Malaria হলো পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট রোগ, Ringworm হলো ছত্রাকজনিত রোগ, এবং AIDS হলো ভাইরাসজনিত রোগ। তাই প্রদত্ত চারটির মধ্যে শুধুমাত্র Anthrax ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট। দ্রুত শনাক্ত ও চিকিৎসা না করলে এটি গুরুতর সমস্যা তৈরি করতে পারে।
ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ সম্পর্কিত তথ্য:
-
ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত রোগকে ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ বলা হয়।
-
উল্লেখযোগ্য ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ: যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টংকার, মেনিনজাইটিস, কলেরা, গনোরিয়া, সিফিলিস, টাইফয়েড, আমাশয়, প্লেগ, কুষ্ঠ ইত্যাদি।
ভাইরাসজনিত রোগ সম্পর্কিত তথ্য:
-
ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত রোগকে ভাইরাসজনিত রোগ বলা হয়।
-
উল্লেখযোগ্য ভাইরাসজনিত রোগ: জন্ডিস, কোভিড-১৯, হার্পিস, দাদ, গুটি বসন্ত, জল বসন্ত, হাম, মাম্পস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু ইত্যাদি।
0
Updated: 3 weeks ago
পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন খনিজ পদার্থ কোনটি?
Created: 1 week ago
A
লৌহ
B
ইস্পাত
C
হীরক
D
পাথর
পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন খনিজ পদার্থ হলো হীরক ডায়মন্ড)। এটি কার্বনের একটি স্ফটিক রূপ এবং মোহস কঠিনতা স্কেলে এর মান সর্বোচ্চ ১০, যা একে সবচেয়ে কঠিন করে তোলে।
0
Updated: 1 week ago