রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম কোনটি?
A
দীনবন্ধু
B
সজনীকান্ত
C
ভানুসিংহ
D
সত্যেন্দ্রনাথ
উত্তরের বিবরণ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য প্রতিভা, যিনি কবিতা, গল্প, উপন্যাস, সংগীত, নাটকসহ সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় অবদান রেখেছেন। তিনি কৈশোর বয়সে ছদ্মনাম “ভানুসিংহ ঠাকুর” ব্যবহার করে কিছু পদ রচনা করেন, যা বাংলা সাহিত্যে এক নতুন ধারার সূচনা ঘটায়। এই ছদ্মনাম ব্যবহারের পেছনে ছিল তাঁর সাহিত্যিক কৌতূহল ও সৃষ্টিশীল পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
তথ্যগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরা হলোঃ
-
ছদ্মনাম ব্যবহারের কারণ: রবীন্দ্রনাথ যখন কিশোর, তখন তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন যে প্রাচীন ধাঁচের ভাষায়ও নতুন রচনা করা যায়। এজন্য তিনি “ভানুসিংহ ঠাকুর” নামে এক কল্পিত কবির পরিচয় তৈরি করেন।
-
প্রথম রচনা: তাঁর প্রথম পদ ছিল “গাহি আরো গাহি”, যা পরবর্তীতে “ভানুসিংহের পদাবলী” নামে সংকলিত হয়।
-
ভানুসিংহের পদাবলী: এই সংকলনে বৈষ্ণবধর্মীয় প্রেমকাব্যের ধারা দেখা যায়। এখানে কৃষ্ণ ও রাধার প্রেমের কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে প্রাচীন বৈষ্ণব পদাবলীর অনুকরণে।
-
ভাষার বৈশিষ্ট্য: পদগুলোতে ব্যবহৃত ভাষা ছিল কৃত্রিম প্রাচীন ব্রজবুলি ধাঁচের। কিন্তু এর মধ্যেও রবীন্দ্রনাথের নিজস্ব ভাবপ্রকাশ, শব্দচয়ন ও ছন্দের নতুনত্ব ছিল স্পষ্ট।
-
সাহিত্যিক প্রভাব: “ভানুসিংহের পদাবলী” প্রকাশের পর পাঠকরা প্রথমে ভেবেছিলেন, এটি কোনো অজানা মধ্যযুগীয় কবির লেখা। পরে জানা যায়, রচয়িতা আসলে তরুণ রবীন্দ্রনাথ নিজেই। এতে তাঁর সাহিত্য প্রতিভার পরিচয় দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
-
প্রেরণার উৎস: তিনি বৈষ্ণব পদাবলীর কবি বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাসের রচনায় গভীরভাবে প্রভাবিত হন। সেখান থেকেই প্রেম, ভক্তি ও মানবিক অনুভবের মিশ্রণে “ভানুসিংহ” নামের কবিকে সৃষ্টি করেন।
-
সাহিত্য ইতিহাসে গুরুত্ব: ভানুসিংহের রচনায় রবীন্দ্রনাথ প্রমাণ করেন যে পুরোনো রীতিতেও আধুনিক ভাব প্রকাশ সম্ভব। এই রচনাগুলো বাংলা কাব্যের নবজাগরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
-
ছদ্মনামের তাৎপর্য: “ভানু” অর্থ সূর্য বা আলোক, আর “সিংহ” সাহস ও শক্তির প্রতীক। অর্থাৎ এই নামটি কবির আত্মপ্রকাশের আলোক ও সাহসিকতার প্রতীক হিসেবে ধরা হয়।
-
পরবর্তীতে পরিচিতি: যখন প্রকাশ পায় যে “ভানুসিংহ” আসলে তরুণ রবীন্দ্রনাথের নাম, তখন সাহিত্যজগতে চমক সৃষ্টি হয়। অনেকে বলেন, এই নামটি রবীন্দ্রনাথের প্রতিভার “প্রথম উজ্জ্বল স্ফুলিঙ্গ” ছিল।
-
রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যজীবনের সূচনা: ভানুসিংহ রূপে লেখা পদাবলীই তাঁর সাহিত্যজীবনের প্রাথমিক ও সফল সূচনা করে। পরবর্তীতে তিনি “গীতাঞ্জলি”, “গোরা”, “ঘরে বাইরে”, “সোনার তরী” প্রভৃতি শ্রেষ্ঠ কীর্তি রচনা করেন।
সব মিলিয়ে, “ভানুসিংহ” ছদ্মনামটি রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিশীলতার প্রথম নিদর্শন, যা তাঁকে বাংলা সাহিত্যজগতে অনন্য করে তুলেছিল। এই নামেই লুকিয়ে ছিল তাঁর কিশোর মনের কল্পনা, সৃজনশক্তি ও সাহিত্যিক আত্মপ্রকাশের সূচনা।
0
Updated: 1 day ago
‘মা, তোর বদনখানি মলিন হলে আমি নয়ন জলে ভাসি’ চরণটির রচয়িতা-
Created: 8 hours ago
A
জবিনানন্দ দাশ
B
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
C
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
কাজী নজরুল ইসলাম
এই চরণটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ কবিতার অংশ, যার রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এখানে মাতৃভূমির প্রতি কবির অগাধ ভালোবাসা, মমতা ও আত্মত্যাগের আবেগ প্রকাশ পেয়েছে। এই কবিতায় কবি তাঁর প্রিয় জন্মভূমিকে মায়ের রূপে কল্পনা করে বলেছেন, মায়ের মুখ মলিন হলে সন্তানের হৃদয়ও ভরে ওঠে বেদনায়। নিচে এই বিষয়গুলোর বিশদ ব্যাখ্যা দেওয়া হলো।
• কবিতার উৎস: “মা, তোর বদনখানি মলিন হলে আমি নয়ন জলে ভাসি” চরণটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ কবিতার অংশ। এটি ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনের সময় লেখা হয়। তখন বাংলার মানুষ ঐক্য ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল, আর এই কবিতাই সেই আন্দোলনের প্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে।
• মূল ভাব: এই চরণে মাতৃভূমির প্রতি সন্তানের গভীর ভালোবাসা ও আত্মবেদনা প্রকাশ পেয়েছে। এখানে ‘মা’ বলতে বোঝানো হয়েছে মাতৃভূমি বাংলাদেশকে। কবি বলেছেন, যখন এই মাতৃভূমি দুঃখে, অপমানে বা শোকে আচ্ছন্ন হয়, তখন সন্তানের হৃদয়ও ব্যথায় ভরে যায়, চোখে জল আসে।
• রচয়িতা পরিচিতি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১–১৯৪১) বাংলা সাহিত্যের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ কবি, সাহিত্যিক ও দার্শনিক। তিনি বাংলা ভাষার প্রথম নোবেল বিজয়ী, ১৯১৩ সালে তাঁর ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্য নোবেল পুরস্কার পান। তাঁর সাহিত্যকর্মের মধ্যে কাব্য, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, সঙ্গীত ও চিত্রকলা উল্লেখযোগ্য।
• দেশপ্রেম ও মানবতার বার্তা: এই চরণে কবি দেখিয়েছেন, দেশের সুখ-দুঃখ, গৌরব ও অপমান মাতৃস্নেহের মতোই হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলে। মাতৃভূমির দুঃখ মানে সন্তানের দুঃখ—এই চেতনা বাঙালির জাতীয় সংহতির প্রতীক।
• কাব্যিক সৌন্দর্য: এখানে “মা” শব্দটি কবিতায় আবেগ ও শ্রদ্ধার কেন্দ্রবিন্দু। “নয়ন জলে ভাসি” উপমাটি বেদনা ও ভালোবাসার এক অনন্য প্রকাশ। কবির হৃদয়ের অনুরাগ যেন জলের মতো প্রবাহিত হয়ে মাতৃভূমির প্রতি তার অগাধ ভক্তির প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।
• জাতীয় সংগীতে পরিণতি: এই কবিতার প্রথম দশ পংক্তি পরবর্তীতে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়। তাই এই চরণটি কেবল সাহিত্যিক নয়, বরং জাতীয় আবেগ ও ঐক্যের প্রতীক।
• অন্য বিকল্প ব্যাখ্যা:
– জীবনানন্দ দাশ প্রকৃতি ও নির্জনতার কবি, তাঁর কাব্যে ‘বাংলার রূপ’ ও একাকীত্বের চিত্র ফুটে ওঠে।
– দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ঐতিহাসিক নাটক ও দেশাত্মবোধক গানের জন্য বিখ্যাত, যেমন “ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা”।
– কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বিদ্রোহী কবি, তাঁর রচনায় বিপ্লব, মানবতা ও প্রেমের আহ্বান ব্যক্ত হয়েছে।
তবে মাতৃভূমির প্রতি এই গভীর ভালোবাসা ও আবেগময় চিত্রায়ণ কেবল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কলমেই পাওয়া যায়। তাই সঠিক উত্তর গ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
0
Updated: 8 hours ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুস্কারর লাভ করেন-
Created: 1 week ago
A
১৯০৫ সালে
B
১৯১৩ সালে
C
১৯২৩ সালে
D
১৯২৫ সালে
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
সাধারণ জ্ঞান
নোবেল পুরস্কার
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অন্যান্য সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর সাহিত্যকীর্তি শুধু বাংলাতেই নয়, সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল। সাহিত্য ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। নিচে তাঁর নোবেল প্রাপ্তির সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। এটি ছিল বাংলা ভাষার এবং সমগ্র এশিয়ার প্রথম নোবেল পুরস্কার। এই পুরস্কার তাঁকে আন্তর্জাতিক খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দেয় এবং বাংলা সাহিত্যের মর্যাদা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করে।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার পান তাঁর কাব্যগ্রন্থ “গীতাঞ্জলি”-র জন্য। ইংরেজিতে অনূদিত “Gitanjali: Song Offerings” বইটি ১৯১২ সালে লন্ডনে প্রকাশিত হয় এবং এর কাব্যিক ভাব, গভীর আধ্যাত্মিকতা ও মানবতার বার্তা পশ্চিমা পাঠক ও সমালোচকদের গভীরভাবে স্পর্শ করে।
-
১৯১৩ সালে সুইডিশ একাডেমি সাহিত্য ক্ষেত্রে এই অনন্য কীর্তির স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করে।
-
গীতাঞ্জলির কবিতাগুলোতে রবীন্দ্রনাথ ঈশ্বর, মানবতা ও প্রকৃতির এক গভীর মিলন ঘটিয়েছেন। এর ভাষা সহজ অথচ ভাবগভীর, যা ধর্মীয় আধ্যাত্মিকতা ও মানবিক অনুভূতিকে একত্রিত করেছে।
-
নোবেল প্রাপ্তির পর তাঁর খ্যাতি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং তিনি ভারতের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও চিন্তাধারার এক বিশ্বদূত হিসেবে পরিচিত হন।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল প্রাপ্তি শুধু একজন ব্যক্তির সম্মান নয়, এটি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জন্য এক ঐতিহাসিক অর্জন।
-
উল্লেখযোগ্য যে, তিনি তখনো ভারতের স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ে এই সম্মান পান, যা উপনিবেশিক ভারতে এক বিরল ঘটনা ছিল।
-
গীতাঞ্জলির ইংরেজি অনুবাদের ভূমিকাটি লিখেছিলেন বিখ্যাত ইংরেজ কবি ডব্লিউ. বি. ইয়েটস (W. B. Yeats), যিনি রবীন্দ্রনাথের কবিতা দেখে গভীরভাবে মুগ্ধ হয়েছিলেন।
-
তাঁর এই অর্জন বিশ্বে প্রমাণ করে যে, পূর্বের সাহিত্যও পশ্চিমের সমান গভীরতা ও সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ হতে পারে।
সবশেষে বলা যায়, ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার অর্জন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন ও সাহিত্যজগতে এক অনন্য মাইলফলক। এটি শুধু তাঁর ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং সমগ্র বাংলা জাতির গর্ব ও আত্মমর্যাদার প্রতীক।
0
Updated: 1 week ago
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন কোনটি?
Created: 4 days ago
A
২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ
B
২৫ বৈশাখ ১২৯৮ বঙ্গাব্দ
C
২৫ বৈশাখ ১২৭৬ বঙ্গাব্দ
D
কোনটিই নয়
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক বিশেষ দিন হিসেবে চিহ্নিত। তিনি ছিলেন বিশ্বকবি, যিনি সাহিত্য, সংগীত, চিত্রকলা ও দর্শনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখে গেছেন। তাঁর জন্ম হয়েছিল ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দে (৭ মে ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে। এই দিনটি প্রতিবছর “রবীন্দ্রজয়ন্তী” নামে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা ছিলেন মহার্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, যিনি তৎকালীন ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন।
-
তাঁর মাতা শারদা দেবী, যিনি ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ ও স্নেহশীলা নারী।
-
ঠাকুর পরিবারটি ছিল প্রভাবশালী ও শিক্ষিত—যেখানে সংগীত, সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চা ছিল নিয়মিত। এই পরিবেশেই রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যিক প্রতিভা বিকশিত হয়।
-
ছোটবেলা থেকেই তিনি কবিতা লিখতে শুরু করেন। মাত্র আট বছর বয়সে তাঁর প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়।
-
১৮৭৮ সালে তিনি ইংল্যান্ডে গিয়ে আইন পড়ার উদ্দেশ্যে ভর্তি হন, কিন্তু সাহিত্যের প্রতি প্রবল আকর্ষণের কারণে তিনি আইন শিক্ষা সম্পূর্ণ করেননি।
-
সাহিত্যজগতে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘কবিকাহিনী’ (১৮৭৮) প্রকাশিত হয়, যা পাঠকদের নজর কাড়ে।
-
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বাংলা ভাষার প্রথম নোবেল বিজয়ী; তিনি ১৯১৩ সালে তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘গীতাঞ্জলি’-র জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।
-
তিনি শুধু কবি নন, বরং নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, সংগীতজ্ঞ ও দার্শনিক হিসেবেও সমানভাবে পরিচিত।
-
তাঁর লেখা দুটি গান—‘আমার সোনার বাংলা’ (বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত) এবং ‘জনগণমন’ (ভারতের জাতীয় সংগীত)—দুই দেশের জাতীয় মর্যাদায় স্থান পেয়েছে, যা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল এক উদাহরণ।
-
তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (১৯২১), যা শান্তিনিকেতনে অবস্থিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য ছিল পূর্ব ও পশ্চিমের শিক্ষার সমন্বয় ঘটানো।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সাহিত্য ও মানবতার সেবা করে গেছেন। তাঁর মৃত্যু হয় ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ (৭ আগস্ট ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ)।
২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ দিনটি তাই শুধু একজন কবির জন্মদিন নয়, বরং বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির নবজাগরণের সূচনা-বিন্দু। তাঁর জন্মদিনকে ঘিরে প্রতিবছর নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও সংগীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। তাঁর অমর সৃষ্টি আজও বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে বেঁচে আছে।
0
Updated: 4 days ago