সকালে রংধনু সৃষ্টির কারণ-
A
বায়ুস্তর
B
ধূলিকণা
C
বায়ুমন্ডল
D
বৃষ্টির কণা
উত্তরের বিবরণ
সকালে বা আকাশে রংধনু দেখা যায় তখন সূর্যের আলো বৃষ্টির ছোট ছোট কণার সঙ্গে মিশে প্রতিফলিত এবং ভগ্ন হয়। রংধনু মূলত বৃষ্টির কণা এবং সূর্যের আলো একসঙ্গে কাজের ফলে সৃষ্টি হয়। এই প্রাকৃতিক দৃশ্যটি সাধারণত বৃষ্টির পর বা হালকা বৃষ্টির সময় দেখা যায়, যখন সূর্য আকাশে ওঠা অবস্থায় থাকে।
রংধনু গঠনের প্রক্রিয়াটি হলো আলো প্রতিফলন, প্রতিসরণ এবং ভগ্নের সমন্বয়ে। সূর্যের সাদা আলো বিভিন্ন রঙের মিশ্রণ, এবং যখন এটি বৃষ্টির কণার মধ্য দিয়ে যায়, তখন আলোর প্রিজমের মতো ভগ্ন হয়। প্রতিটি রঙ আলাদা কোণে প্রতিফলিত হয়, ফলে মানুষের চোখে একটি চক্রাকারে রঙিন চিত্র সৃষ্টি হয়। রংধনুর বর্ণ সাধারণত লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, নীল, ইন্দিগো এবং বেগুনি আকারে পর্যায়ক্রমে প্রদর্শিত হয়।
বৃষ্টির কণার আকার এবং সূর্যের অবস্থান রংধনুর দৃশ্যমানতা নির্ধারণ করে। সকাল বা সন্ধ্যার সময় সূর্য নীচে থাকায় আলোটি দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে এবং রংধনু তুলনামূলকভাবে সুস্পষ্ট দেখা যায়। আলোর ভগ্ন প্রক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডল বা ধূলিকণা সরাসরি রংধনু সৃষ্টি করে না; তারা আলোকে কিছুটা ছড়িয়ে দিতে পারে, কিন্তু আসল রংধনু তৈরি হয় বৃষ্টির কণার কারণে, কারণ কণাগুলোই আলোকে প্রতিসরণ এবং ভগ্নের জন্য পর্যাপ্ত ঘনত্ব এবং আকার প্রদান করে।
রংধনুর প্রাকৃতিক সুন্দরতা শুধু চোখের জন্য আকর্ষণীয় নয়, এটি আলোর বৈজ্ঞানিক বৈশিষ্ট্যও প্রকাশ করে। এটি প্রমাণ করে যে, সূর্যের আলো একক নয় বরং বিভিন্ন রঙের মিশ্রণ, এবং বৃষ্টির কণার সঙ্গে আলোর সংযোগেই এই রঙিন স্পেকট্রাম দৃশ্যমান হয়। সুতরাং, সকালের রংধনু প্রকৃতির এক চমকপ্রদ উপস্থাপনা, যা বৃষ্টির কণার উপস্থিতি এবং সূর্যের আলো একসাথে কাজ করার ফল।
0
Updated: 1 day ago