Server Anaphylaxis এর তাৎক্ষনিক চিকিৎসা কি?
A
Atropine
B
Adrenaline
C
Digoxin
D
Aminophylline
উত্তরের বিবরণ
Server Anaphylaxis বা তীব্র অ্যানাফাইল্যাক্সিস হলো একটি প্রাণঘাতী অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া, যা কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগীর জীবন বিপন্ন করে দিতে পারে। এই অবস্থায় দ্রুত সঠিক চিকিৎসা না পেলে শ্বাসকষ্ট, রক্তচাপ হ্রাস এবং হার্ট ফেইলিওরের মতো মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই এই অবস্থার তাৎক্ষণিক ও কার্যকর চিকিৎসা হলো Adrenaline (Epinephrine)। এটি জীবনরক্ষাকারী ওষুধ হিসেবে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• Adrenaline-এর ভূমিকা:
Adrenaline শরীরে ইনজেকশন হিসেবে প্রয়োগ করলে এটি তৎক্ষণাত কাজ করে। এটি রক্তনালী সংকুচিত করে রক্তচাপ বাড়ায়, শ্বাসনালীর পেশি শিথিল করে শ্বাস নিতে সাহায্য করে এবং ফুসফুসে জমে থাকা মিউকাস কমায়। ফলে রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
• ডোজ ও প্রয়োগ পদ্ধতি:
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে সাধারণত 0.5 mg (1:1000 দ্রবণ) পেশীতে (Intramuscular) ইনজেকশন দেওয়া হয়, বিশেষ করে mid-anterolateral thigh অংশে। শিশুদের ক্ষেত্রে বয়স ও ওজন অনুযায়ী ডোজ নির্ধারণ করা হয়। প্রয়োজনে ৫–১০ মিনিট পর আবার দেওয়া যেতে পারে যদি উপসর্গ না কমে।
• প্রভাবের সময়:
Adrenaline ইনজেকশন দেওয়ার পর সাধারণত কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগীর অবস্থা উন্নতি হতে শুরু করে। এটি bronchospasm কমায়, vasodilation বন্ধ করে এবং cardiac output বৃদ্ধি করে।
• Adrenaline না দিলে ঝুঁকি:
যদি দ্রুত Adrenaline প্রয়োগ না করা হয়, তাহলে শ্বাসরোধ, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। তাই সন্দেহজনক অ্যানাফাইল্যাক্সিস দেখা দিলে চিকিৎসকরা প্রথমেই এই ইনজেকশনটি প্রয়োগ করেন।
• অন্যান্য সহায়ক চিকিৎসা:
Adrenaline প্রয়োগের পাশাপাশি রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া, IV fluids (Normal saline) প্রদান এবং Antihistamine ও Corticosteroid ব্যবহার করা হয় যাতে পুনরায় প্রতিক্রিয়া না ঘটে। তাছাড়া রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয় অন্তত ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত।
• ভুল অপশনগুলোর ব্যাখ্যা:
Atropine সাধারণত ব্রাডিকার্ডিয়া (হৃদস্পন্দন ধীর হলে) চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, এটি অ্যানাফাইল্যাক্সিসে কার্যকর নয়।
Digoxin হৃদরোগে (বিশেষ করে হার্ট ফেইলিওর) ব্যবহৃত হয়, অ্যালার্জিক শকে এর কোনো ভূমিকা নেই।
Aminophylline ফুসফুসের রোগে (যেমন asthma বা COPD) ব্যবহৃত হয়, তবে তীব্র অ্যানাফাইল্যাক্সিসের তাৎক্ষণিক চিকিৎসায় এটি প্রযোজ্য নয়।
সুতরাং, Server Anaphylaxis-এর একমাত্র সঠিক ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা হলো Adrenaline, যা জীবন রক্ষার জন্য প্রথম ও প্রধান ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 1 day ago
ম্যালেরিয়ার ঔষধ কুইনিন কোন গাছ থেকে পাওয়া যায়?
Created: 1 week ago
A
সিনকোনা
B
পাথরকুচি
C
নীম গাছ
D
তুলসী গাছ
কুইনিন হলো ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত একটি প্রধান ঔষধ, যা সিনকোনা গাছের ছাল থেকে পাওয়া যায়। সিনকোনা গাছ দক্ষিণ আমেরিকার অরণ্যে জন্মায়। এই গাছ থেকেই প্রথম কুইনিন আবিষ্কৃত হয়।
0
Updated: 1 week ago
খাবার স্যালাইন বানানোর পর খাওয়ানোর যাবে-
Created: 2 days ago
A
৬ ঘন্টা
B
১২ ঘন্টা
C
৩ ঘন্টা
D
২ ঘন্টা
খাবার স্যালাইন বা ওরাল রিহাইড্রেশন সল্যুশন (ORS) হলো পানিশূন্যতা রোধে ব্যবহৃত এক অত্যন্ত কার্যকর ঘরোয়া সমাধান। এটি সাধারণত ডায়রিয়া, বমি বা অতিরিক্ত ঘাম ইত্যাদি কারণে শরীর থেকে পানি ও লবণ বের হয়ে গেলে পূরণ করার জন্য তৈরি করা হয়। তবে সঠিকভাবে তৈরি হলেও এটি কতক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদে খাওয়ানো যাবে, তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সময় বেশি হলে স্যালাইনে জীবাণু জন্ম নিতে পারে, যা শরীরের ক্ষতি করতে পারে। সঠিক তথ্য অনুযায়ী, খাবার স্যালাইন বানানোর পর ১২ ঘন্টার মধ্যে খাওয়ানো যেতে পারে।
এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হলো:
• স্যালাইন তৈরির উপাদান: সাধারণত এক লিটার পরিষ্কার পানিতে আধা চা চামচ লবণ ও ছয় চা চামচ চিনি মিশিয়ে খাবার স্যালাইন তৈরি করা হয়। এতে শরীরের লবণ ও গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ হয়।
• তাজা পানির ব্যবহার: স্যালাইন তৈরির সময় অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করা জরুরি। ফুটানো ও ঠান্ডা পানি ব্যবহার করলে জীবাণুর ঝুঁকি থাকে না।
• সংরক্ষণকাল: তৈরি করা স্যালাইনকে ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত রাখা যেতে পারে। এর পর তা ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। কারণ এই সময়ের পর স্যালাইনে জীবাণু বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা খেলে ডায়রিয়া বা পেটের সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
• ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে করণীয়: ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে বাকি স্যালাইন ফেলে দিতে হবে। নতুন করে একই পদ্ধতিতে স্যালাইন তৈরি করতে হবে।
• খাওয়ানোর পদ্ধতি: রোগীর বয়স ও অবস্থা অনুযায়ী অল্প অল্প করে বারবার খাওয়াতে হবে। শিশুকে চামচে করে এবং বড়দের গ্লাসে করে অল্প অল্প করে দিতে হয়।
• সংরক্ষণের পরিবেশ: স্যালাইন ঠান্ডা ও ছায়াযুক্ত স্থানে রাখতে হবে। ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন নেই, তবে রোদে রাখা সম্পূর্ণভাবে নিষেধ।
• খাবার স্যালাইনের উপকারিতা: এটি শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখে, ইলেকট্রোলাইট ঘাটতি পূরণ করে এবং ডিহাইড্রেশনজনিত মৃত্যু প্রতিরোধ করে।
• ভুল ধারণা সংশোধন: অনেকে মনে করেন স্যালাইন অনেকক্ষণ রেখে খাওয়ানো যায়, কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল। ১২ ঘণ্টার বেশি পুরনো স্যালাইন পচে যায় এবং তা খাওয়ানো বিপজ্জনক।
অতএব, খাবার স্যালাইন সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবহার করতে হবে। এর বেশি সময় পার হলে তা ফেলে দিয়ে নতুন করে বানানো উচিত। এটি মেনে চললে স্যালাইন নিরাপদ ও কার্যকর থাকে এবং ডায়রিয়ার মতো রোগ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে।
0
Updated: 2 days ago
হেমোডায়ালাইসিস চিকিৎসা পদ্ধতি-
Created: 1 week ago
A
হার্ট-ফেইলরের
B
স্ট্রোক এর
C
কিডনী বিকলতার
D
রেসেপেরেটরি ফেইলরের
হেমোডায়ালাইসিস হলো একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যা কিডনী বিকলতার রোগীদের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি এমন এক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে রক্ত পরিশোধন করা হয়, যাতে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত তরল বের করা যায়, যা সাধারণত কিডনী দ্বারা করা হয়। যখন কিডনী পুরোপুরি কাজ করতে ব্যর্থ হয়, তখন হেমোডায়ালাইসিসের মাধ্যমে শরীরের বর্জ্য ও অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করা হয়।
হেমোডায়ালাইসিসের মূল উদ্দেশ্য:
-
কিডনী বিকল হয়ে যাওয়ার পর, রক্তে জমে থাকা টক্সিন ও বর্জ্য পদার্থ পরিশোধন করা।
-
অতিরিক্ত পানি ও সোডিয়াম শরীর থেকে বের করা।
-
রক্তের অম্লতা এবং এসিড-বেসের ভারসাম্য বজায় রাখা।
এই পদ্ধতিতে রক্ত একটি কৃত্রিম ডায়ালাইসার বা যন্ত্রের মাধ্যমে ফিল্টার করা হয় এবং তারপর শরীরে ফেরত পাঠানো হয়।
সুতরাং, হেমোডায়ালাইসিস কিডনী বিকলতার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
উ. গ) কিডনী বিকলতারc
0
Updated: 1 week ago