ABG analysis করার জন্য Blood সংগ্রহ কোথা থেকে করা হয়?
A
Cephalic Vein
B
Femoral Vein
C
Artery
D
Capillary
উত্তরের বিবরণ
ABG বা Arterial Blood Gas analysis হলো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা যার মাধ্যমে রক্তে অক্সিজেন (O₂), কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂), এবং পিএইচ (pH) এর মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এটি মূলত শ্বাসপ্রশ্বাস এবং বিপাকীয় অবস্থার কার্যকারিতা বোঝার জন্য করা হয়। এই পরীক্ষার জন্য রক্ত অবশ্যই ধমনী (Artery) থেকে সংগ্রহ করতে হয়, কারণ ধমনী রক্তে গ্যাসের ঘনত্ব সবচেয়ে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়।
-
Artery থেকে রক্ত সংগ্রহের কারণ: ধমনীর রক্ত অক্সিজেনে সমৃদ্ধ এবং এটি শরীরের টিস্যুগুলিতে সরাসরি অক্সিজেন সরবরাহ করে। ফলে, অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ নির্ণয় করতে ধমনীর রক্তই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য নমুনা। শিরার (Vein) রক্তে এই গ্যাসগুলোর মাত্রা পরিবর্তিত থাকে, তাই সেগুলো ব্যবহার করা যায় না।
-
রক্ত সংগ্রহের স্থান: সাধারণত তিনটি ধমনী ব্যবহৃত হয়—Radial artery (হাতে কব্জির কাছে), Brachial artery (বাহুর ভেতরের দিকে) এবং Femoral artery (উরুর গোড়ায়)। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় Radial artery, কারণ এটি সহজলভ্য, রক্তপ্রবাহ ভালো থাকে এবং এতে জটিলতার আশঙ্কা কম।
-
নমুনা সংগ্রহের পদ্ধতি: রোগীর হাত সামান্য প্রসারিত করে নির্দিষ্ট স্থানে জীবাণুমুক্ত সুচ প্রবেশ করিয়ে রক্ত নেওয়া হয়। এই সময় সাধারণত Heparinized syringe ব্যবহার করা হয় যাতে রক্ত জমাট না বাঁধে। নমুনা সংগ্রহের পর সঙ্গে সঙ্গে তা বরফে রাখা হয় এবং যত দ্রুত সম্ভব ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়।
-
ABG পরীক্ষার উদ্দেশ্য: এই পরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসকরা জানতে পারেন—
-
রক্তে pH মান স্বাভাবিক আছে কিনা (৭.৩৫–৭.৪৫)।
-
PaO₂ (partial pressure of oxygen) এবং PaCO₂ (partial pressure of carbon dioxide) এর মাত্রা স্বাভাবিক আছে কিনা।
-
রোগী Respiratory acidosis, Respiratory alkalosis, Metabolic acidosis বা Metabolic alkalosis অবস্থায় আছে কিনা।
-
-
Cephalic vein, Femoral vein বা Capillary থেকে রক্ত সংগ্রহ সাধারণত ABG পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত নয়, কারণ সেসব রক্তে গ্যাসের মান পরিবর্তিত থাকে। তবে নবজাতক বা শিশুদের ক্ষেত্রে কখনও কখনও Capillary blood ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু তা ধমনীর রক্তের বিকল্প নয়।
-
সতর্কতা ও ঝুঁকি: ধমনীর রক্ত নেওয়ার সময় ব্যথা, হালকা রক্তপাত বা স্থানীয় ফোলা দেখা দিতে পারে। তবে অভিজ্ঞ হাতে এটি খুবই নিরাপদ প্রক্রিয়া। বিশেষ ক্ষেত্রে Allen’s test করা হয় যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় ধমনীর পাশের অন্য রক্তনালী ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা।
সব মিলিয়ে, ABG analysis করার জন্য রক্ত সংগ্রহ করতে হয় Artery থেকে, কারণ এ রক্তই শরীরের গ্যাস বিনিময়ের সঠিক অবস্থা প্রতিফলিত করে এবং রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যার সঠিক মূল্যায়ন করতে সাহায্য করে।
0
Updated: 1 day ago
মানবদেহে কোন গ্রন্থি ইনসুলিন নিঃসরণ করে?
Created: 1 month ago
A
থাইরয়েড
B
পিটুইটারি
C
অ্যাড্রিনাল
D
অগ্ন্যাশয়
ইনসুলিন ও অগ্ন্যাশয়:
-
অগ্ন্যাশয় (Pancreas):
-
অগ্ন্যাশয়ের Islets of Langerhans-এর β-cells থেকে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়।
-
ইনসুলিন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
-
-
ইনসুলিনের বৈশিষ্ট্য ও কাজ:
-
ইনসুলিন হলো একটি হরমোন, যা ৫১টি অ্যামাইনো অ্যাসিড নিয়ে গঠিত।
-
রক্তে থাকা গ্লুকোজকে দেহের কোষে প্রবেশে সাহায্য করে।
-
গ্লুকোজকে লিভারে গ্লাইকোজেনে রূপান্তর করে সংরক্ষণ করে।
-
শরীরে শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে।
-
ইনসুলিনের অভাব বা কার্যকারিতা হ্রাস পেলে রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে যায়, যা ডায়াবেটিস সৃষ্টি করে।
-
ডায়াবেটিক রোগী প্রয়োজনে ইনসুলিন ইনজেকশন নেয়।
-
-
অন্যান্য গ্রন্থি:
-
পিটুইটারি গ্রন্থি: বৃদ্ধি হরমোন, TSH ইত্যাদি নিঃসরণ করে, ইনসুলিন নয়।
-
থাইরয়েড গ্রন্থি: থাইরক্সিন নিঃসরণ করে, যা বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে।
-
অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি: অ্যাড্রেনালিন নিঃসরণ করে, যা চাপের সময় শরীরকে প্রস্তুত করে।
-
0
Updated: 1 month ago
লোহিত কণিকা কোথায় উৎপন্ন হয়?
Created: 4 weeks ago
A
অস্থিমজ্জায়
B
লিভারে
C
প্লীহায়
D
হৃৎপিণ্ডে
রক্ত কণিকা তিন ধরনের হয়, যা রক্তের বিভিন্ন কার্যাবলীর সঙ্গে জড়িত।
ক. লোহিত কণিকা:
-
রক্তে লোহিত কণিকার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি থাকে।
-
এক ঘন মিলিলিটার রক্তে পুরুষদের জন্য প্রায় ৫০ লক্ষ, এবং মহিলাদের জন্য প্রায় ৪৫ লক্ষ লোহিত কণিকা থাকে।
-
এটি অস্থিমজ্জায় উৎপন্ন হয় এবং ১২০ দিন পর প্লীহায় বিনষ্ট হয়।
-
ব্যায়াম করলে লোহিত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং এগুলো দীর্ঘদিন বাঁচে।
-
লোহিত কণিকা হিমোগ্লোবিনের সহায়তায় দেহের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
খ. শ্বেত কণিকা:
-
শরীরে রক্তে শ্বেত কণিকার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম থাকে।
-
এক মিলিলিটার রক্তে প্রায় ৬–৮ হাজার শ্বেত কণিকা থাকে।
-
এরা বর্ণহীন এবং নিউক্লিয়াসযুক্ত।
-
সাধারণত এরা ১২–১৩ দিন বাঁচে।
-
ব্যায়াম করলে এদের বেঁচে থাকার সময় ও সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
-
শ্বেত কণিকা রক্তে প্রবেশকারী জীবাণুকে ঘিরে ধরে বিনষ্ট করে এবং দেহকে রক্ষা করে, ফলে শরীরের ক্ষমতা ও শক্তিশালীতা বৃদ্ধি পায়।
গ. অণুচক্রিকা:
-
অণুচক্রিকা দেখতে ডিম্বাকার বা ডিস্কের মতো।
-
দেহের বৃহদাকার কোষ ভেঙ্গে অণুচক্রিকা সৃষ্টি হয়।
-
দেহের কোনো স্থানে ক্ষত হলে সেখানে ৩ মিনিটের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
0
Updated: 4 weeks ago
উদ্ভিদের পুরুষ জনন অঙ্গ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
গর্ভদণ্ড
B
পুংকেশর
C
গর্ভাশয়
D
পাপড়ি
ফুল ও তার প্রজনন অঙ্গ:
-
ফুল:
-
উদ্ভিদের প্রজননের অঙ্গ, বিশেষভাবে রূপান্তরিত শাখা (shoot)।
-
প্রধানত পাঁচটি অংশে বিভক্ত:
-
পুষ্পাক্ষ (Receptacle): ফুলের দণ্ড বা বোঁটার উপর অবস্থান করে।
-
বৃতি (Calyx): ফুলকে রক্ষা করে।
-
পত্রমন্ডল (Corolla): পোকামাকড় আকৃষ্ট করে।
-
পুংকেশর (Androecium): পুরুষ প্রজনন অঙ্গ, পরাগ (pollen) উৎপন্ন করে।
-
স্ত্রীকেশর (Gynoecium): স্ত্রী প্রজনন অঙ্গ, ডিম্বাণু বহন করে।
-
-
-
পুংকেশর (Stamen):
-
পুরুষ প্রজনন অঙ্গ।
-
গঠিত:
-
অন্তর (Anther): পরাগধানু বহন করে।
-
পুংদণ্ড (Filament): অন্তরকে ধরে রাখে।
-
-
পরাগধানু (Pollen grain): পুরুষ গ্যামেট বহন করে।
-
0
Updated: 1 month ago