সংক্রামক ব্যাধি কোনটি?
A
ডায়বেটিস
B
উচ্চ রক্তচাপ
C
যক্ষ্মা
D
হাঁপানী
উত্তরের বিবরণ
সংক্রামক ব্যাধি হলো এমন রোগ যা এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে সংক্রমণের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরনের রোগ সাধারণত ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক বা পরজীবীর মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে যক্ষ্মা একটি সংক্রামক ব্যাধি, যা Mycobacterium tuberculosis নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্টি হয় এবং মূলত বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। নিচে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
যক্ষ্মা সম্পর্কে তথ্য:
• যক্ষ্মা (Tuberculosis) একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ যা প্রধানত ফুসফুসকে আক্রান্ত করে, তবে শরীরের অন্য অংশ যেমন হাড়, কিডনি, মস্তিষ্ক বা ত্বকেও হতে পারে।
• এটি Mycobacterium tuberculosis নামের জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়, যা আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি, হাঁচি বা থুথুর মাধ্যমে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
• আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি অবস্থান করলে বা সংক্রমিত বাতাস শ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করলে অন্য ব্যক্তিও আক্রান্ত হতে পারে।
• যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সময়মতো চিকিৎসা শুরু করা অত্যন্ত জরুরি। এ রোগের চিকিৎসা সরকার নির্ধারিত DOTS (Directly Observed Treatment Short-course) পদ্ধতিতে বিনামূল্যে পাওয়া যায়।
• এর প্রতিরোধে বিসিজি (BCG) টিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যা সাধারণত জন্মের পরপরই শিশুদের দেওয়া হয়।
অন্যান্য বিকল্পগুলো কেন সংক্রামক নয়:
• ডায়বেটিস (Diabetes): এটি একটি অ-সংক্রামক রোগ যা শরীরে ইনসুলিনের ঘাটতি বা ইনসুলিন প্রতিরোধের কারণে ঘটে। এটি বংশগত, খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারার সঙ্গে সম্পর্কিত, কিন্তু এক ব্যক্তি থেকে অন্যজনের মধ্যে ছড়ায় না।
• উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension): এই রোগও অ-সংক্রামক এবং সাধারণত মানসিক চাপ, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ, স্থূলতা, ধূমপান ইত্যাদি কারণে হয়।
• হাঁপানী (Asthma): এটি শ্বাসনালীর প্রদাহজনিত রোগ যা সাধারণত ধুলো, পরাগরেণু, ঠান্ডা, ধোঁয়া বা অ্যালার্জি থেকে হয়। এটি সংক্রমণজনিত নয় এবং অন্যের কাছ থেকে ছড়ায় না।
অতিরিক্ত তথ্য:
• বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্যমতে, যক্ষ্মা এখনো বিশ্বে অন্যতম প্রাণঘাতী সংক্রামক রোগ।
• বাংলাদেশে প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়, তবে নিয়মিত চিকিৎসায় অধিকাংশ রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন।
• যক্ষ্মা প্রতিরোধে সচেতনতা, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং সংক্রমিত রোগীর আলাদা বাসস্থান বা মাস্ক ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকর।
সুতরাং, উপরোক্ত বিশ্লেষণ থেকে স্পষ্ট যে যক্ষ্মা-ই সংক্রামক ব্যাধি, কারণ এটি এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে সংক্রমিত হয়, যেখানে বাকি তিনটি রোগ সম্পূর্ণ অ-সংক্রামক।
0
Updated: 1 day ago
কোনটির সংক্রমণে যক্ষ্মা রোগ হয়?
Created: 1 week ago
A
ভাইরাস
B
ছত্রাক
C
ব্যাক্টেরিয়া
D
প্রোটজয়
যক্ষ্মা Tuberculosis) রোগ হয় ব্যাক্টেরিয়া, বিশেষ করে Mycobacterium tuberculosis নামক জীবাণুর সংক্রমণে। এটি প্রধানত ফুসফুসে আক্রমণ করে এবং একজন আক্রান্ত ব্যক্তি কাশি বা হাঁচির মাধ্যমে অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে।
0
Updated: 1 week ago
কে প্রমাণ করেণ যে অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া জ্বরের জন্য দায়ী?
Created: 1 week ago
A
স্যার আইজ্যাক নিউটন
B
এডিসন
C
স্যার রোনাল্ড রস
D
লুই পাস্তুর
স্যার রোনাল্ড রস প্রমাণ করেন যে অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া সংক্রমণের জন্য দায়ী। ১৮৯৭ সালে তিনি এই গবেষণার জন্য নোবেল পুরস্কার পান। তার আবিষ্কার ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 1 week ago
বর্তমান বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ভয়াবহ রোগ কোনটি
Created: 1 week ago
A
AIDS
B
প্লেগ
C
বসন্ত
D
কোনোটিই নয়
বর্তমান বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ভয়াবহ রোগ হলো AIDS (Acquired Immunodeficiency Syndrome)। এটি HIV (Human Immunodeficiency Virus) দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ, যা মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে ফেলে, ফলে ব্যক্তি সহজেই বিভিন্ন সংক্রামক ও প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
AIDS সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বিষয় হলো:
– AIDS হলো HIV ভাইরাসের চূড়ান্ত পর্যায়, যা রোগীকে দীর্ঘ সময়ের মধ্যে অসুস্থ করে তোলে। HIV ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার পর এটি মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, কিডনি এবং অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতি করতে থাকে।
– HIV ভাইরাস শরীরের CD4 T-cells (এক ধরনের সাদা রক্তকণিকা) ধ্বংস করে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রক্ষা করে। এর ফলে, রোগী সহজেই সংক্রমিত হয়ে যায় এবং বিভিন্ন ভাইরাল, ব্যাকটেরিয়াল ও ফাঙ্গাল সংক্রমণের শিকার হয়।
– AIDS একটি বৈশ্বিক মহামারী হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে, যেখানে এটি জনস্বাস্থ্য সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ।
– AIDS ছড়ায় প্রধানত অসহীন যৌন সম্পর্ক, রক্তের মাধ্যমে, এবং মায়ের দুধের মাধ্যমে।
– বর্তমানে AIDS-এর জন্য কোনো সম্পূর্ণ নিরাময় নেই, তবে অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল থেরাপি (ART) চিকিৎসার মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবনযাত্রা উন্নত করা এবং জীবনের মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব।
– বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং UNAIDS এর মাধ্যমে AIDS প্রতিরোধের জন্য ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচারণা, নিরাপদ যৌন কার্যক্রম, রক্তের নিরাপত্তা এবং মাদকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
– এই রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো সহজে সংক্রামিত হওয়া, এবং চিকিৎসা ব্যয়বহুল ও দীর্ঘমেয়াদি হওয়া।
– AIDS এর কারণে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩৫ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং এর জন্য প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
তবে, অন্য রোগগুলির তুলনায় AIDS আরও মারাত্মক কারণ হলো, এটি মানুষের জীবনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি সৃষ্টি করে এবং বর্তমানে এর প্রতিকার বা স্থায়ী চিকিৎসা নেই, যা এই রোগকে বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়াবহ রোগের মধ্যে অন্যতম করে তোলে।
Answer: ক) AIDS
0
Updated: 1 week ago