প্রোটিন বেশি থাকে-
A
ছোলার ডালে
B
অড়হর ডালে
C
মসূর ডালে
D
মাষকলাই ডালে
উত্তরের বিবরণ
প্রোটিন মানবদেহের অন্যতম প্রধান গঠন উপাদান, যা দেহের বৃদ্ধি, কোষ মেরামত ও শক্তি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খাদ্য তালিকায় ডাল অন্যতম প্রোটিনের উৎস, তবে সব ডালে প্রোটিনের পরিমাণ সমান নয়। প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে মসূর ডালেই প্রোটিনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
• মসূর ডালে প্রোটিনের পরিমাণ: প্রতি ১০০ গ্রাম মসূর ডালে প্রায় ২৪–২৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এটি একটি উদ্ভিদজাত প্রোটিন উৎস, যা সহজপাচ্য এবং দেহে দ্রুত শোষিত হয়। এতে অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড যেমন লিউসিন, আইসোলিউসিন ও ভ্যালিন বিদ্যমান, যা দেহের পেশি ও টিস্যু গঠনে সহায়তা করে।
• পুষ্টিগুণ: মসূর ডালে প্রোটিন ছাড়াও আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকে। এটি রক্তস্বল্পতা দূর করতে এবং দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
• হজমযোগ্যতা: মসূর ডালের প্রোটিন তুলনামূলকভাবে বেশি হজমযোগ্য। এটি পাকস্থলীতে গ্যাস সৃষ্টি করে না, ফলে এটি শিশু থেকে বৃদ্ধ—সবার জন্য উপযোগী।
• অর্থনৈতিক ও পুষ্টিগত দিক থেকে গুরুত্ব: মসূর ডাল সস্তা, সহজলভ্য এবং প্রাণিজ প্রোটিনের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। যেসব মানুষ মাছ, মাংস বা ডিম নিয়মিত খেতে পারেন না, তাদের জন্য এটি একটি চমৎকার বিকল্প উৎস।
• অন্য ডালের সঙ্গে তুলনা:
– ছোলার ডাল: প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ২০ গ্রাম প্রোটিন থাকে, তবে এতে ফ্যাটের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি।
– অড়হর ডাল: প্রায় ২২ গ্রাম প্রোটিন থাকলেও এতে ফাইবার বেশি, ফলে কিছুটা কঠিনপাচ্য।
– মাষকলাই ডাল: এতে প্রায় ২৩ গ্রাম প্রোটিন থাকে, কিন্তু এতে কিছু অ্যান্টিনিউট্রিশনাল উপাদান থাকে যা হজমে বাধা দেয়।
এই তুলনায় মসূর ডাল সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ, কারণ এতে উচ্চ প্রোটিনের পাশাপাশি ফ্যাট কম এবং হজমযোগ্যতা বেশি।
• স্বাস্থ্য উপকারিতা: নিয়মিত মসূর ডাল খেলে দেহে শক্তি বৃদ্ধি পায়, পেশি দৃঢ় হয়, এবং চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। এটি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে, কারণ এতে কোলেস্টেরল কম থাকে।
• উপসংহার: সব দিক বিবেচনায়, মসূর ডালই প্রোটিনের সর্বোত্তম উদ্ভিদজাত উৎস। এটি শুধু পুষ্টিকর নয়, বরং সহজলভ্য ও অর্থনৈতিকভাবেও সবার নাগালে থাকে, যা সুস্থ জীবনের জন্য অপরিহার্য খাদ্য উপাদান হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 1 day ago