উত্তরা গণভবন কোথায় অবস্থিত?
A
রাজশাহী
B
নওগাঁ
C
বগুড়া
D
নাটোর
উত্তরের বিবরণ
উত্তরা গণভবন হলো বাংলাদেশের জাতীয় স্বীকৃতির একটি ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক স্থান, যা নাটোর জেলায় অবস্থিত। এটি মূলত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীদের ব্যবহারের জন্য সরকারিভাবে সংরক্ষিত। এর নামকরণ ও কার্যকারিতা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত।
উত্তরা গণভবনের ইতিহাস ও গুরুত্ব বোঝার জন্য জানা দরকার, এটি মূলত রাজনৈতিক বৈঠক, সরকারি অনুষ্ঠান এবং বিশেষ অতিথি আপ্যায়নের জন্য ব্যবহৃত একটি সরকারি ভবন। এখানে দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কাজকর্ম এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রাথমিকভাবে ব্যবহৃত হয়। স্থানীয় প্রশাসন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় এর রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করা হয়।
নাটোরের অবস্থান ও পরিবেশ এই ভবনের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। শহরটি ঢাকার তুলনায় শান্ত এবং প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর, যা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে। এখানকার ভৌগোলিক সুবিধা এবং নিরাপদ পরিবেশ ভবনের কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক।
উত্তরা গণভবনের স্থাপত্য ও নির্মাণ কৌশলও আকর্ষণীয়। এটি আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত হলেও, স্থানীয় স্থাপত্যশৈলীর ছোঁয়া রয়েছে। বিভিন্ন কক্ষে অফিস, সভা কক্ষ এবং অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থা রয়েছে। ভবনের চারপাশে ল্যান্ডস্কেপিং ও সবুজায়ন করা হয়েছে, যা প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের মনও আনন্দ দেয়।
এই ভবন শুধু প্রশাসনিক কাজের কেন্দ্র নয়, বরং এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ও সাংস্কৃতিক চেতনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান, সম্মেলন এবং বিশেষ সভার জন্য এটি প্রাথমিকভাবে ব্যবহার করা হয়।
সবশেষে বলা যায়, উত্তরা গণভবন নাটোর জেলায় অবস্থিত এবং এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এটি দেশের রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক সভা এবং সরকারি অতিথি আপ্যায়নের ক্ষেত্রে একটি মূল স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়।
0
Updated: 15 hours ago
বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি ঔষধ রপ্তানি হয় কোন দেশে?
Created: 3 days ago
A
যুক্তরাজ্য
B
যুক্তরাষ্ট্র
C
জাপান
D
মিয়ানমার
বাংলাদেশের ঔষধ শিল্প বর্তমানে দেশের অর্থনীতির অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত। দেশীয়ভাবে উৎপাদিত ওষুধ এখন শুধু দেশের চাহিদা মেটাচ্ছে না, বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশের তৈরি মানসম্মত ওষুধ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে জনপ্রিয়। এর মধ্যে মিয়ানমার হলো সেই দেশ যেখানে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ঔষধ রপ্তানি করা হয়।
বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ঔষধ রপ্তানির কারণ ও সম্পর্কিত তথ্যগুলো নিচে দেওয়া হলো—
• মিয়ানমার বাংলাদেশের অন্যতম বড় ফার্মাসিউটিক্যাল বাজার। ভৌগোলিকভাবে প্রতিবেশী হওয়ায় রপ্তানি পরিবহন ব্যয় তুলনামূলকভাবে কম, ফলে বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো সহজেই এই বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে।
• বাংলাদেশের ওষুধের মান আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি যেমন বেক্সিমকো, স্কয়ার, ইনসেপ্টা, রেনেটা, অপসনিন ইত্যাদি বিশ্বমানের উৎপাদন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে থাকে। এসব কোম্পানির ওষুধ মিয়ানমারে চিকিৎসা সেক্টরে বিশেষ জনপ্রিয়।
• রপ্তানিকৃত ওষুধের ধরন বৈচিত্র্যময়। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক, পেইন কিলার, ভিটামিন, ট্যাবলেট, সিরাপ, ইনজেকশন এবং জীবনরক্ষাকারী ওষুধ। বিশেষত মিয়ানমারে সাধারণ রোগব্যাধির জন্য ব্যবহৃত এসব ওষুধের চাহিদা বেশি।
• বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পের ইতিহাস উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী। স্বাধীনতার পর থেকে সরকার এই খাতে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করেছে। ১৯৮২ সালের ‘ড্রাগ কন্ট্রোল অর্ডিন্যান্স’ ঔষধ শিল্পকে নতুন গতি দেয়, যার ফলস্বরূপ দেশ এখন ১৫০টিরও বেশি দেশে ঔষধ রপ্তানি করে।
• মিয়ানমারের বাজারে বাংলাদেশের ঔষধের সুনাম উচ্চ। মানসম্পন্ন প্যাকেজিং, কম দাম ও কার্যকারিতার কারণে স্থানীয় ফার্মেসি ও হাসপাতালগুলো বাংলাদেশি ওষুধকে অগ্রাধিকার দেয়।
• বাংলাদেশের অন্যান্য রপ্তানি বাজারের তুলনা: যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানে ঔষধ রপ্তানি তুলনামূলকভাবে কম, কারণ এসব দেশে কঠোর ও দীর্ঘ অনুমোদন প্রক্রিয়া রয়েছে। তবে বাংলাদেশের কিছু কোম্পানি ইতিমধ্যে ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারেও প্রবেশ করছে। কিন্তু পরিমাণগত দিক থেকে এখনো মিয়ানমারই শীর্ষস্থানে রয়েছে।
• রপ্তানি বৃদ্ধির প্রভাব: এই রপ্তানি বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তা করছে এবং দেশের ফার্মাসিউটিক্যাল খাতকে আন্তর্জাতিকভাবে আরও শক্তিশালী করছে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, মিয়ানমার বাংলাদেশের ঔষধ রপ্তানির প্রধান গন্তব্য, যেখানে প্রতিবেশী সম্পর্ক, কম খরচ, উচ্চমান এবং সহজ পরিবহন ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো সফলভাবে নিজেদের বাজার তৈরি করেছে।
0
Updated: 3 days ago
'চরমপত্র' খ্যাত ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন-
Created: 6 days ago
A
মাওলানা ভাষানী
B
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
C
এম . আর . আখতার মুকুল
D
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
"চরমপত্র" খ্যাত ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন এম. আর. আখতার মুকুল। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক এবং সমাজ সংস্কারক। "চরমপত্র" তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা, যা সমাজের অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার, এবং ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে। তাঁর লেখায় সামাজিক অবক্ষয়ের প্রতিবাদ এবং মানবতার প্রতি তাঁর গভীর দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে।
-
এম. আর. আখতার মুকুলের সাহিত্যকর্ম: তিনি বাংলা সাহিত্যের একজন প্রথিতযশা লেখক, যার লেখায় সমাজের নানা অন্ধকার দিক উন্মোচন করা হয়েছে। তাঁর অন্যতম উল্লেখযোগ্য কাজ "চরমপত্র"।
-
"চরমপত্র": এই বইটি ছিল এক ধরনের সমাজ সমালোচনা, যেখানে তিনি অন্ধবিশ্বাস ও ধর্মীয় মৌলবাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বক্তব্য রেখেছিলেন।
-
প্রভাব: তাঁর রচনা সমাজের প্রচলিত রীতিনীতি ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করেছিল, যা তখনকার তরুণ সমাজের মধ্যে বেশ প্রভাব ফেলেছিল।
এই কারণেই এম. আর. আখতার মুকুল কে "চরমপত্র" খ্যাত ব্যক্তিত্ব হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
0
Updated: 6 days ago
'মেইন ক্যাম্প' এর লেখক-
Created: 6 days ago
A
রুজভেল্ট
B
এডলফ হিটলার
C
উড্রো উইলসন
D
ট্রু ম্যান
"মেইন ক্যাম্প" (Mein Kampf) বইটির লেখক হলেন এডলফ হিটলার। এটি হিটলারের আত্মজীবনী এবং তার রাজনৈতিক মতাদর্শের পরিচয় দেয়। এই বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৫ সালে এবং এটি হিটলারের নাজি দলের আদর্শ প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়ায়।
-
আত্মজীবনী: "মেইন ক্যাম্প" হিটলারের জীবন ও তার রাজনৈতিক সংগ্রামের বর্ণনা দেয়।
-
রাজনৈতিক আদর্শ: বইটিতে হিটলার তার জাতি, রাজনৈতিক দর্শন, ইহুদি বিদ্বেষ এবং আধিকারিক দর্শনের ওপর বিশদ আলোচনা করেছেন।
-
প্রকাশকাল: বইটি ১৯২৫ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং হিটলারের রাজনৈতিক অবস্থান প্রতিষ্ঠার একটি হাতিয়ার হয়ে ওঠে।
-
জাতীয় সমাজতন্ত্র: বইটির মাধ্যমে হিটলার তার নাজি আদর্শ প্রচার করেন এবং এটি তার রাজনীতির ভিত্তি গঠন করে।
-
আন্তর্জাতিক প্রভাব: "মেইন ক্যাম্প" বিশ্ব ইতিহাসের একটি বিতর্কিত বই হিসেবে বিবেচিত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পেছনে একটি তাত্ত্বিক ভিত্তি তৈরি করেছিল।
এডলফ হিটলারের এই বইটি তার ক্ষমতা লাভ এবং পরবর্তীতে নাজি জার্মানির প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 6 days ago