বিখ্যাত চিত্রকর্ম 'তিন কন্যা' এর চিত্রকর কে?
A
জয়নুল আবেদীন
B
কামরুল হাসান
C
এস. এম. সুলতান
D
রফিকুন্নবী
উত্তরের বিবরণ
বিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘তিন কন্যা’ বাংলাদেশের আধুনিক শিল্পকলার ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। এই অসাধারণ চিত্রকর্মটির স্রষ্টা হলেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান। তিনি বাংলাদেশের শিল্পাঙ্গনে “জাতীয় চেতনার চিত্রকর” নামে খ্যাত, কারণ তাঁর তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠেছে গ্রামীণ জীবনের সহজ সৌন্দর্য, মানুষের মুখের অভিব্যক্তি, এবং দেশপ্রেমের গভীর অনুভূতি।
‘তিন কন্যা’ চিত্রকর্মে কামরুল হাসান গ্রামীণ নারীর সৌন্দর্য ও জীবনযাত্রাকে গভীরভাবে তুলে ধরেছেন। ছবিতে তিনজন নারীকে পাশাপাশি বসা বা দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় দেখা যায়—তাদের পোশাক, মুখের ভাবভঙ্গি ও শরীরী ভাষা দিয়ে চিত্রকর তুলে ধরেছেন বাঙালি নারীর সাধারণ অথচ গৌরবময় উপস্থিতি। এখানে নেই কোনো জাঁকজমক, নেই কৃত্রিমতা; বরং ছবিটি জাগিয়ে তোলে মাটির গন্ধ, গ্রামবাংলার আবহ, ও নারীর স্বাভাবিক মর্যাদার প্রতিচ্ছবি।
চিত্রটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর রঙের ব্যবহার ও সরল গঠনশৈলী। কামরুল হাসান উজ্জ্বল কিন্তু নিয়ন্ত্রিত রঙের মাধ্যমে নারী চরিত্রগুলিকে জীবন্ত করে তুলেছেন। ছবিতে ব্যবহৃত বাদামি, সাদা, লাল ও হলুদ রঙের সংমিশ্রণ একদিকে উষ্ণতা সৃষ্টি করে, অন্যদিকে শান্তি ও স্থিরতার অনুভূতি জাগায়। ছবির প্রতিটি রেখা যেন নারীর স্থিতধী চরিত্র, সহনশীলতা ও অন্তর্গত শক্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে।
কামরুল হাসান সবসময়ই বিশ্বাস করতেন, শিল্পের মূল উৎস হলো মানুষের জীবন ও মাটির টান। তাই তাঁর অধিকাংশ কাজেই গ্রামীণ মানুষ, কৃষক, নারী ও প্রকৃতির প্রতিফলন দেখা যায়। তিনি জয়নুল আবেদীনের সমসাময়িক ছিলেন এবং তাঁদের যুগল প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের শিল্পচর্চা এক নতুন মাত্রা পায়। ‘তিন কন্যা’ সেই ধারারই একটি উজ্জ্বল উদাহরণ, যেখানে নারী শুধু বিষয়বস্তু নয়, বরং বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সমাজের প্রতীক হিসেবে উঠে এসেছে।
এই চিত্রকর্মটি বাংলাদেশের শিল্পকলার পাঠ্যক্রমে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত এবং দেশ-বিদেশে বহু প্রদর্শনীতে এটি প্রশংসিত হয়েছে। কামরুল হাসানের শিল্পদৃষ্টিতে যেমন আধুনিকতার ছোঁয়া ছিল, তেমনি গভীরভাবে প্রোথিত ছিল লোকজ ঐতিহ্য ও বাঙালিয়ানার চেতনা। তাঁর অন্যান্য বিখ্যাত চিত্রকর্মের মধ্যে রয়েছে ‘গণজাগরণ’, ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি’, ‘বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি’, ইত্যাদি, যা বাংলাদেশের ইতিহাস ও জাতীয় অনুভূতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত।
সবশেষে বলা যায়, ‘তিন কন্যা’ কেবল একটি চিত্রকর্ম নয়, বরং বাঙালি নারীর সৌন্দর্য, মর্যাদা ও মানবিক শক্তির প্রতীক। কামরুল হাসানের তুলির ছোঁয়ায় এই ছবিটি বাংলাদেশের শিল্প-ঐতিহ্যে স্থায়ীভাবে স্থান করে নিয়েছে। তাঁর এই সৃষ্টির মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি, কীভাবে একজন শিল্পী নিজের জাতির সংস্কৃতি ও আবেগকে চিত্ররূপে অমর করে রাখতে পারেন।
0
Updated: 15 hours ago
কেপ ভারদ (Cape Verde) দ্বীপ রাষ্ট্রটি কোথায় অবস্থিত?
Created: 2 weeks ago
A
গালফ অফ গিনি
B
ফ্রেঞ্ছ পলিনেশিয়া
C
দক্ষিন আফ্রিকা
D
পশ্চিম আফ্রিকা
কেপ ভার্দে পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলের কাছে অবস্থিত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র, যা তার ভৌগোলিক অবস্থান ও সংস্কৃতির জন্য পরিচিত।
-
এটি আফ্রিকার উত্তর-পশ্চিম উপকূলের কাছাকাছি আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপপুঞ্জ।
-
রাজধানী: প্রাইয়া (Praia)।
-
সরকারি ভাষা: পর্তুগিজ।
-
মুদ্রা: কেপ ভার্দীয় এসকুডো (CVE)।
-
ধর্ম: প্রধানত খ্রিস্টধর্ম (বিশেষ করে রোমান ক্যাথলিক); অল্পসংখ্যক মুসলমানও আছে।
-
রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান হচ্ছেন রাষ্ট্রপতি এবং সরকারপ্রধান হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
-
দেশটি পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে।
0
Updated: 2 weeks ago
'ব্লাক ফরেস্ট কোন দেশে অবস্থিত?
Created: 6 days ago
A
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
B
যুক্তরাজ্য
C
জার্মানি
D
ফ্রান্স
ব্লাক ফরেস্ট, যা জার্মানিতে অবস্থিত, একটি বিখ্যাত বনাঞ্চল যা দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মানিতে সীমিত। এটি মূলত স্বাভাবিক সৌন্দর্য, প্রাণীজীবন এবং পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয় একটি স্থান হিসেবে পরিচিত। এই বনাঞ্চলটি তার ঘন গাছপালা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য সুপরিচিত, যা একটি বিশেষ রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা প্রদান করে। ব্লাক ফরেস্টের আয়তন প্রায় ৬,০০০ বর্গকিলোমিটার এবং এটি মূলত বাডেন-ভূর্তেমবের্গ রাজ্যে অবস্থিত।
ব্লাক ফরেস্টের বিশেষত্ব হলো:
-
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: এই বনটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এবং তাতে অনেক ঝর্ণা, পাহাড়, এবং সুন্দর হাইকিং ট্রেইল রয়েছে।
-
পশু ও উদ্ভিদ জীবন: এই বনাঞ্চলে অনেক ধরনের উদ্ভিদ এবং প্রাণী পাওয়া যায়। বিশেষ করে, এটি প্রাণীজীবনের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ আবাসস্থল।
-
পর্যটন: ব্লাক ফরেস্ট এক জনপ্রিয় পর্যটন স্থান, যেখানে বারো মাস ধরে পর্যটকরা বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করতে পারেন, যেমন হাইকিং, সাইক্লিং, এবং স্কি।
এছাড়া, ব্লাক ফরেস্টের নাম সর্বদা ঐতিহ্যবাহী জার্মান রূপকথার সাথে সম্পর্কিত, যেমন "ব্লাক ফরেস্ট ট্রেডিশন" যা জার্মান ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির একটি অংশ।
এটি অনেক ছোট গ্রামের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, যেখানে বেশিরভাগ ঘরগুলি ঐতিহ্যবাহী জার্মান স্থাপত্যের অধীনে নির্মিত।
0
Updated: 6 days ago
GATT-এর পূর্ণরূপ কী?
Created: 3 weeks ago
A
General Agreement on Taxes and Tariffs
B
General Agreement on Tariffs and Trade
C
Global Agreement on Tariffs and Trade
D
Global Arrangement on Trade and Tariffs
জেনারেল অ্যাগ্রিমেন্ট অন ট্যারিফস অ্যান্ড ট্রেড (GATT – General Agreement on Tariffs and Trade) হলো একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি, যা মূলত বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং মুক্তবাজার অর্থনীতি উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রণীত হয়।
-
প্রতিষ্ঠিত হয়: ১৯৪৭
-
কার্যকর হয়: ১৯৪৮
-
উদ্দেশ্য: বিশ্ব বাণিজ্য পুনর্গঠন, নতুন বাণিজ্য কর্মসূচি প্রণয়ন এবং মুক্তবাজার অর্থনীতিকে গতিশীল করা
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
১৯৪৭ সালের ৩০ অক্টোবর, মোট ২৩টি দেশ GATT-এ স্বাক্ষর করে।
-
চুক্তি প্রণয়নের মূল উদ্দেশ্য ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা।
-
চুক্তিটি ১৯৪৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়।
0
Updated: 3 weeks ago