ভারতের কোন শহরকে Wifi শহর বলা হয়?
A
দিল্লি
B
কলকাতা
C
বেঙ্গালুরু
D
জয়পুর
উত্তরের বিবরণ
ভারতের প্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত বেঙ্গালুরু (Bengaluru) শহরটি জনপ্রিয়ভাবে “WiFi শহর” নামে খ্যাত। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, ডিজিটাল পরিকাঠামোর বিস্তার এবং উচ্চমানের প্রযুক্তি-নির্ভর জীবনধারার কারণে এই উপাধি পেয়েছে বেঙ্গালুরু। একে অনেক সময় ভারতের “সিলিকন ভ্যালি” বলেও অভিহিত করা হয়, কারণ এটি তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প, সফটওয়্যার উন্নয়ন এবং স্টার্টআপ সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু।
বেঙ্গালুরু শহরটি ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের কর্ণাটক রাজ্যে অবস্থিত। স্বাধীনতার পর থেকেই এটি শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দ্রুত অগ্রগতি অর্জন করে। বিশেষত ১৯৯০-এর দশকে ভারতের অর্থনৈতিক উদারীকরণের পর থেকে শহরটি আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি ও সফটওয়্যার শিল্পের জন্য আকর্ষণীয় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। Infosys, Wipro, IBM, Microsoft, Google, Amazon প্রভৃতি বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন এলাকায় তাদের প্রধান কার্যালয় বা বড় আকারের অফিস স্থাপন করেছে।
“WiFi শহর” উপাধি পাওয়ার পেছনে মূল কারণ হলো শহরটির উন্নত ডিজিটাল অবকাঠামো। ভারতের প্রথম দিকের শহরগুলোর মধ্যে বেঙ্গালুরুই সর্বজনীন ফ্রি ও পাবলিক WiFi পরিষেবা চালু করে। শহরের বিভিন্ন পার্ক, ক্যাফে, অফিস জোন, রেলস্টেশন, বিমানবন্দর এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করা হয়। এতে নাগরিকদের পাশাপাশি পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের জন্যও যোগাযোগ ও তথ্য বিনিময় সহজ হয়ে ওঠে।
শহরটির প্রযুক্তিনির্ভর সংস্কৃতি এখানকার তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্টার্টআপ এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগ গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে। ভারতের মোট প্রযুক্তি স্টার্টআপের একটি বড় অংশই বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত। শহরটিতে প্রতিদিন হাজারো প্রযুক্তিবিদ, সফটওয়্যার ডেভেলপার এবং উদ্যোক্তা তাদের উদ্ভাবনী প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করেন। ফলে শহরটি আজ ভারতের ডিজিটাল অগ্রগতির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বেঙ্গালুরুর শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন Indian Institute of Science (IISc), Indian Institute of Management (IIM Bangalore), এবং বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ—এই ডিজিটাল বিপ্লবের ভিত্তি আরও মজবুত করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও গবেষকরা তথ্যপ্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা ও ডেটা সায়েন্সে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
এছাড়া শহরটির সরকারও “Digital Bengaluru” নামে একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যার মাধ্যমে নাগরিকদের জন্য অনলাইন সরকারি সেবা, স্মার্ট ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং ই-গভর্ন্যান্স প্রবর্তন করা হয়েছে। এর ফলে শহরটি ভারতের অন্যতম স্মার্ট সিটি মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
সবশেষে বলা যায়, বেঙ্গালুরুকে ‘WiFi শহর’ বলা হয় কারণ এটি ভারতের ডিজিটাল বিপ্লবের সূতিকাগার, যেখানে প্রযুক্তি, সংযোগ ও উদ্ভাবনের মিলনে গড়ে উঠেছে এক আধুনিক নগর সংস্কৃতি। এই শহর আজ কেবল ভারতের নয়, বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের গর্বিত প্রতীক।
0
Updated: 15 hours ago
Research and Analysis Wing কোন দেশের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা?
Created: 1 month ago
A
ভারত
B
আমেরিকা
C
রাশিয়া
D
চায়না
ভারতের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা RAW জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৮ সালে এবং এর মাধ্যমে ভারতের বহিরাগত গোয়েন্দা কার্যক্রম আলাদাভাবে পরিচালিত হতে থাকে।
-
পূর্ণরূপ: Research and Analysis Wing (RAW)।
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৬৮ সালে।
-
RAW প্রতিষ্ঠার আগে ভারতের Intelligence Bureau (IB) দেশের অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত উভয় ধরনের গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করত।
-
প্রথম পরিচালক: রামেশ্বর নাথ কাও।
0
Updated: 1 month ago
'ব্লাক ক্যাট' কোন দেশের কমান্ডো বাহিনী?
Created: 3 months ago
A
নেপাল
B
ভারত
C
মিয়ানমার
D
ইরান
ব্ল্যাক ক্যাট – ভারতের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবিরোধী কমান্ডো ইউনিট
‘ব্ল্যাক ক্যাট’ নামটি আসলে ভারতের ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (NSG)-এর জন্য ব্যবহৃত একটি জনপ্রিয় উপাধি। এটি একটি বিশেষায়িত অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনী,
যা মূলত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের জন্য গঠিত। NSG হচ্ছে একটি অভিজাত কমান্ডো ফোর্স, যেখানে দেশের বিভিন্ন সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনী থেকে দক্ষ সদস্য বাছাই করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এই ইউনিটটি শুধুমাত্র ভারতের অভ্যন্তরে কাজ করে এবং দেশের ভেতরে যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম মোকাবিলায় দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা রাখে। ব্ল্যাক ক্যাট বাহিনী ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়।
এই বিশেষ বাহিনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ১৬ই অক্টোবর, ১৯৮৪ সালে। বর্তমানে এর প্রধান কার্যালয় অবস্থিত ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে।
তথ্যসূত্র: National Security Guard (NSG) – Government of India Official Website.
0
Updated: 3 months ago
বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
চীন
B
ভারত
C
ব্রাজিল
D
যুক্তরাষ্ট্র
ভারত
-
বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারত।
-
প্রধান কারণ: দেশের উচ্চ জনসংখ্যা এবং ভোটার সংখ্যা, যা অন্য যেকোনো দেশে নেই।
-
জনসংখ্যা: প্রায় ১৪০ কোটি।
-
ভোটার সংখ্যা: প্রায় ৯৬ কোটি ৯০ লাখ।
সংবিধান ও সংসদীয় ব্যবস্থা:
-
ভারতের পার্লামেন্ট দুই কক্ষ বিশিষ্ট:
-
উচ্চ কক্ষ: রাজ্যসভা
-
নিম্ন কক্ষ: লোকসভা
-
-
সদস্য সংখ্যা:
-
লোকসভা: ৫৪৩
-
রাজ্যসভা: ২৪৫
-
-
সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন: লোকসভার মোট ৫৪৩ আসনের মধ্যে ২৭২ আসন।
-
ভারতীয় সংবিধান বিশ্বের বৃহত্তম এবং সর্বাধিক বিস্তারিত ব্যাখ্যাসমৃদ্ধ সংবিধান।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
0
Updated: 2 months ago